বিমা, মেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থকড়ি আয় বাড়বে। ঝামেলা থেকে দূরে থাকুন। ধর্মে মতি। ... বিশদ
জয়ের হ্যাটট্রিকে আইপিএল পয়েন্ট তালিকার একেবারে মগডালে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ১১ ম্যাচ খেলে শ্রেয়সদের ঝুলিতে এখন ১৬ পয়েন্ট। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে প্লে-অফ নিশ্চিত শাহরুখ খানের দলের। নেট রান রেটও ঈর্ষনীয় (+১.৪৫৩)। বাকি আরও তিনটি ম্যাচ। নাইটরা যে গতিতে এগচ্ছে, তাতে ইডেনে শনিবার মুম্বইকে আরও একবার নারিনরা উড়িয়ে দিলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। সেক্ষেত্রে প্লে-অফের টিকিট যেমন পাকা হবে, তেমনি পরের ম্যাচগুলিতে রিজার্ভ বেঞ্চ পরখ করে নিতে পারবে কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট।
২০১৪ সালে শেষবার খেতাব জিতেছিল শাহরুখ খানের দল। তারপর প্রাপ্তি শুধুই হতাশা। দীর্ঘ ন’বছর ধরে স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হয়েছে সমর্থকদের। তবে এবার চাকা ঘোরার ইঙ্গিত প্রবল। শেষ পর্যন্ত শ্রেয়সদের হাতে কাপ উঠবে কিনা, তা সময়ই বলবে। কিন্তু বেগুনি জার্সিধারীদের এই সাফল্য সত্যিই চমকপ্রদ। নেপথ্যে ব্যক্তি নৈপুণ্য না টিম গেম, তা নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে। কারণ, ওপেনার হিসেবে ফিল সল্ট, নরিন দুরন্ত ফর্মে। পাওয়ার প্লে’তে তাঁরা ঝড় তুলছেন। সেই সুবাদে সহজেই দুশোর উপর রান খাড়া করছে কেকেআর। যেমনটা দেখা গেল রবিবার একানা স্টেডিয়ামে। টসে জিতেও লখনউ সুপার জায়ান্টসের ক্যাপ্টেন লোকেশ রাহুল প্রথমে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন। ঘরের মাঠে রান তাড়া করে ম্যাচ জিততে সুবিধা হবে বলেই তাঁর ধারণা ছিল। কিন্তু নারিনের ৩৯ বলে ঝোড়ো ৮১ কেকেআরকে পৌঁছে দেয় রানের পাহাড়ে (২৩৫-৬)। আর তা তাড়া করতে গিয়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে লখনউ। আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে ৯৮ রানে জয় অবিশ্বাস্য বলাই ভালো। নাইট রাইডার্সের সামনে লখনউ কার্যত ধরাশায়ী হয়েছে। শুধু স্বস্তির জয় নয়, নেট রান রেটেও অন্য দলগুলির থেকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে কেকেআর। তাই বাকি তিনটি ম্যাচে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কারণে পয়েন্ট নষ্ট হলেও ভালো নেট রান রেটের সুবাদে প্লে-অফের দৌড়ে অ্যাডভান্টেজ পজিশনে থাকবে নাইট ব্রিগেড।
জয়ের পর কেকেআর ক্যাপ্টেন শ্রেয়সের গলায় ধরা পড়েছে আত্মবিশ্বাসের সুর, ‘ড্রেসিং-রুমের পরিবেশ খুবই ভালো। আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দলকে জেতানোর লক্ষ্যে ঝাঁপাই। তাই টস হারলেও তেমন প্রভাব পড়ছে না। ম্যাচ আমরাই জিতছি। আসলে পাওয়ার প্লে’তে ভালো রান ওঠার ফলেই লড়াই অনেক সহজ হয়ে যাচ্ছে। ডানহাতি-বাঁহাতি কম্বিনেশনও কাজে দিচ্ছে। প্রত্যেক ক্রিকেটারকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে চাপমুক্ত হয়ে খেলার জন্য। সেটাই বের করে আনছে সেরা পারফরম্যান্স।’
আইপিএল যে শুধু তারকাদের মঞ্চ নয়, নতুন তারকাও বানায় সেটা হর্ষিত রানার সাফল্যই বলে দিচ্ছে। নির্বাসন কাটিয়ে ফিরেই গতির আগুনে লখনউকে চুরমার করলেন তরুণ পেসার। নিলেন তিনটি উইকেট। তাঁর সাফল্যে ঢাকা পড়লেন স্টার্কও। কখনও কখনও রিঙ্কু, শ্রেয়সদের ব্যর্থতাও বুঝতে দিচ্ছেন না রঘুংবশীর মতো উদীয়মান ব্যাটসম্যান। ক্রিকেট শুধু বাইশ গজের লড়াই নয়, ডাগ-আউটে বসে মগজাস্ত্রেও শান দিতে হয় থিঙ্ক ট্যাঙ্ককে। চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত কোচ হলেও দল পরিচালনার ব্যাটন কিন্তু মেন্টর গম্ভীরের হাতে। তাঁর ক্ষুরধার মস্তিষ্ক এবং ক্রিকেটারদের জেতার উদগ্র বাসনাই এবার কলকাতা নাইট রাইডার্সকে বদলে দিয়েছে।