শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাচীন এই শিবমন্দির প্রতিষ্টা করে কান্দির বাঘডাঙা রাজ পরিবার। রাজা কালীশঙ্কর মহারাজ মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। শক্তি অর্জনের জন্যই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা হয়। তবে মন্দির প্রতিষ্ঠার প্রথমদিকে এখানে সাধারণের প্রবেশের অনুমতি ছিল না। মন্দিরের পুজোর্চ্চনা থেকে হোমযজ্ঞ রাজবাড়ির পক্ষ থেকেই করা হত। তবে সময়ের সঙ্গে রাজাদের আধিপত্য কমে যায়। পরে এখানে সাধারণের প্রবেশ ও পুজো দেওয়ার অধিকার মেলে।
বাঘডাঙা রাজবাড়ির পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, একসময় নেপালের রাজাদের সঙ্গে বাঘডাঙা রাজ পরিবারের চরম মেলবন্ধন ছিল। মন্দির প্রতিষ্ঠার সময় নেপালের রাজপরিবার বাঘডাঙা রাজপরিবারকে এই শিবলিঙ্গ উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন। নেপালের রাজাদের পাঠিয়ে দেওয়া এই লিঙ্গই পঞ্চমুখী শিবলিঙ্গ নামে পরিচিত।
বাঘডাঙা রাজবাড়ির সদস্য তথা মন্দিরের পুরোহিত স্বাগত রায়চৌধুরী বলেন, গোটা এশিয়া মহাদেশের মধ্যে এমন পঞ্চমুখী শিবলিঙ্গ মাত্র দুটি রয়েছে। একটি রয়েছে নেপালের কাঠমাণ্ডুতে পশুপতিনাথ মন্দিরের পাশে নেপাল রাজাদের মন্দিরে। অপরটি আমাদের এখানে। এখানকার শিবলিঙ্গে পাঁচটি মুখ রয়েছে। যা বিরল লিঙ্গ বলে জানা গিয়েছে। প্রতিবছর শ্রাবণ মাস ছাড়াও শিবরাত্রিতে এখানে কয়েক হাজার ভক্ত লিঙ্গদর্শন করে পুজো দেন। এখন তারই প্রস্তুতি চলছে।
মন্দির কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, শিবরাত্রির দিন মন্দিরে হাজার হাজার ভক্ত পুজো দিতে আসেন। ভোর থেকেই পুজোর লাইন পড়ে যায়। এবছরও তেমনই আশা করা হচ্ছে। তাই শিবরাত্রির আগে মন্দির চত্বর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার পাশাপাশি রং করা হচ্ছে। পানীয় জলের ব্যবস্থা থেকে ভক্তদের বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা করা হচ্ছে। এমনকি শিবরাত্রিতে স্থানীয় যুবক যুবতীদের নিয়ে স্বেচ্ছাসেবী টিমও তৈরি করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শান্তিপদ সিনহা বলেন, শিবরাত্রিতে কয়েকহাজার ভক্তের উপস্থিতি ঘটে এখানে। তবে বাবার কৃপায় সবকিছু ভালভাবে মিটে যায়। ওইদিন পাড়ার অন্যরাও ভক্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসবেন। অপর বাসিন্দা সুশীল বিশ্বাস বলেন, শিবরাত্রির দিন এখানে মেলা বসে যায়। শুধু হিন্দু বলে নয়। অন্য সম্প্রদায়ের মানুষও ভিড় জমান। কান্দি পুরসভা থেকে পানীয় জলের ব্যবস্থা সহ মেডিক্যাল টিম পাঠান হয়। এবছর অ্যাম্বুলেন্সও মজুত রাখা হবে।
এখানে মোট ১৪টি শিবমন্দির রয়েছে। রাজবাড়ি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগে এখানে একাদশ শিবমন্দির ছিল। তবে কোনও একসময় এক সাধক এসে রাজবাড়ির রানিমা ভবানীকে আদেশ দেন এখানে চতুর্দশ শিবমন্দির বানাতে হবে। আর সেটা হলে জ্যোর্তিলিঙ্গ দর্শন করা যাবে। সেইমত রাজবাড়ির পক্ষ থেকে পরবর্তীতে আরও তিনটি মন্দির তৈরি করা হয়েছিল। নিজস্ব চিত্র