শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহরের ‘ফুসফুস’ হিসেবে পরিচিত মহানন্দা নদী। তা দূষণ মুক্ত করার দাবি বহুদিনের। এখনও পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নদীর পাড় থেকে গবাদি পশুর খাটালই হটানো হয়নি বলে অভিযোগ। নদী সংলগ্ন বহু বাড়ির শৌচাগার নেই। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে নদীর চরে খোলা আকাশের নীচে যান সেই বাসিন্দারা। যার জেরে সংশ্লিষ্ট নদী দূষণ অব্যাহত। এবার বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে পুরসভা। এদিন সেচদপ্তরের সঙ্গে বৈঠকের পর মেয়র বলেন, জোড়াপানি এবং ফুলেশ্বরী নদী দু’টি সংস্কার করছে সেচদপ্তর। ইতিমধ্যে তারা দু’কিমি এলাকা সংস্কার করেছে। সংশ্লিষ্ট নদী দু’টির উপর ২৪টি সেতু রয়েছে। সেগুলি সংস্কার করা হচ্ছে। ঘোগোমালি বাজারের কাছে নদীর পাড়ে নেট বসানো হবে। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট নদীর পাড়ে জগিং ট্র্যাক গড়া হবে। সেই ট্র্যাকের পাশেই থাকবে বাহারি গাছ এবং বাতিস্তম্ভ। পাশাপাশি, মহানন্দা, জোড়াপানি ও ফুলেশ্বরী নদীর তীরবর্তি ৩৭৬টি বাড়িতে টয়লেট তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। নদীদূষণ রুখতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, মহানন্দা নদীর থাবায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মোহনবাগান লেন। মেয়র বলেন, সেচদপ্তর ওই এলাকায় পাড় বাঁধানোর কাজ করবে। এজন্য তারা প্রকল্প তৈরি করেছে। এছাড়া, বেশকিছু জায়গায় নদীর গতিপথ বাধা পাচ্ছে। এতে নদী বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। এজন্য নদীর সীমানা থেকে কিছু বাড়ি সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। দু’মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কাজ শেষ করা হবে।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়রের সঙ্গে ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকারও ছিলেন। মেয়র বলেন, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরিদপ্তরের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে। শীঘ্রই শহরে আটটি গভীর নলকূপ বসানো হবে। ওভারহেড রিজার্ভার তৈরি করা হবে। এজন্য জমিও চিহ্নিত করা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।