Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সমাজে আলোর দিশারি দুই চিরজাগ্রত আলোকবর্তিকা
অতূণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শীতের শেষ বসন্তের আগমন। বসন্ত যেন নতুনের শুরু। প্রকৃতি এই সময় শীতের রুক্ষতা ত্যাগ করে নতুন করে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। শীত বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে গাছে গাছে গজিয়ে ওঠা নতুন কচি কচি পাতায় প্রকৃতি তার অপরূপ রূপে সেজে ওঠে। ফুল ফোটে। বাংলা ক্যালেন্ডার অনুসারে ফাল্গুন মাস। ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে ফেব্রুয়ারি মাস। বছরের সবচেয়ে কম দিনের মাস। এই ফেব্রুয়ারি মাস বাংলা তথা বাঙালির খুব গর্বের মাস। মাতৃভাষা বাংলার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এসেছিল এই মাসেই। আর এমন একটি মাসের ১৮ তারিখটি সর্বকালের বরেণ্য দুই বাঙালি মহামানবের জন্মদিন। প্রায় ৩৫০ বছরের ব্যবধানে দুই মহাপুরুষ জন্মগ্রহণ করেন এই দিনটিতে। দেশ কাল সময়ের বাধা অতিক্রম করে তাঁরা দুজনই আজও স্বমহিমায় আমাদের অন্তরে প্রতিষ্ঠিত। ফেব্রুয়ারি মাসের ১৮ তারিখটি যেন এক মিলন সূত্র। 
আজ থেকে ৫৩৯ বছর আগে নদীয়ার নবদ্বীপে জগন্নাথ মিশ্রের ঘরে ফাল্গুনের এক পূর্ণিমার সন্ধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন বিশ্বম্ভর মিশ্র। দোল পূর্ণিমার দিন শচীমাতার কোলে জন্ম নেওয়া সেই শিশু পরবর্তীকালে শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য নামে হন জগৎ বিখ্যাত। তবে বাঙালির কাছে তাঁর পরিচয় মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেব বলে। অসাধারণ প্রতিভার অধিকারী। অত্যন্ত ছোটবেলা থেকে পড়াশোনায় অত্যন্ত মেধাবী। তৎকালীন সারস্বত আরাধনার মূল কেন্দ্র ভূমি নবদ্বীপে তাঁর পরিচয় নিমাই পণ্ডিত নামে। তাঁর পাণ্ডিত্যের খ্যাতি বাংলার সীমা ছাড়িয়ে দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত পণ্ডিতদের তর্কে পরাজিত করে তিনি তখন খ্যাতির শীর্ষে। প্রথমা স্ত্রী লক্ষ্মী  দেবীর অকাল মৃত্যুর পর বিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর সঙ্গে বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হন তিনি। পিতার মৃত্যুর পর  গয়াতে  পিণ্ডদান শেষ করে আসার পর তিনি ঈশ্বর পুরীর কাছে কৃষ্ণ মন্ত্রের দীক্ষিত হন। এই দীক্ষা লাভের পর সমাজে অন্য সকলের মতো বেড়ে ওঠা নিমাইয়ের জীবনে আসে এক বিরাট পরিবর্তন। কৃষ্ণ নাম সাধনায়  নিজেকে নিয়োজিত করে ধীরে ধীরে তিনি অধ্যাপনার কাজ  বন্ধ করে দেন। কৃষ্ণ নাম সাধনা ও  রস আস্বাদনের মাধ্যমে তাঁর জীবনে আসে রূপান্তর। শুরু হয় সাধকের জীবন। এরপর সংসার থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে কেশব ভারতী কাছে সন্ন্যাস ব্রত গ্রহণ করে হলেন শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য ভারতী। শচীনন্দন পরিণত হন এক নতুন মানুষে। কৃষ্ণ সাধনায় পদব্রজে ঘুরে বেড়ান দেশের নানা প্রান্তে। ইসলাম শাসনের শেষ দিকে তৎকালীন ভারতবর্ষে ধর্মের নামে মানুষে মানুষের বিভেদ সমাজকে জর্জরিত করে রেখেছিল।  মানুষের মধ্যে উচ্চ -নিচ শ্রেণি বিভাগের ভয়াবহ ছবিটা তিনি প্রত্যক্ষ করলেন পরিব্রাজক জীবনে। সুদীর্ঘ কঠোর তপস্যা শেষে তিনি আচণ্ডালে হরিরাম মহামন্ত্র ছড়িয়ে দিলেন। 
সমাজে পিছিয়ে পড়া  শত দুঃখ কষ্ট যন্ত্রণায় ক্ষতবিক্ষত মানুষকে দিলেন মর্যাদা। নামের মহিমায় অভিষিক্ত করলেন সমাজের সকল স্তরের মানুষকে। শ্রীগৌরাঙ্গের জীবন 
অধ্যাত্ম সাধনা ও জনকল্যাণের এক অদ্ভুত মেলবন্ধন। তাই শ্রীরামকৃষ্ণ বলছেন, ‘হাতির বাইরের দাঁত যেমন 
শত্রুকে আক্রমণের জন্য এবং ভেতরের দাঁত খাদ্যচর্বন 
করিয়া নিজের শরীর পোষণের জন্য থাকে, তদ্রূপ শ্রী গৌরাঙ্গের অন্তরে ও বাহিরে দুই প্রকার ভাবের প্রকাশ ছিল। বাইরে মধুর ভাব সহায়ে তিনি লোককল্যাণ সাধন করিতেন এবং অন্তরের অদ্বৈতভাবে প্রেমের চরম পরিপুষ্টিতে ব্রহ্মভাবে প্রতিষ্ঠিত হইয়া স্বয়ং ভূমানন্দ অনুভব করতেন’। শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্যের  সর্বজীবে প্রেম ও দয়ার কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেছেন স্বামী বিবেকানন্দ। তিনি বলছেন ,‘সমুদয় ভারতেই শ্রীচৈতন্যের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।... তাঁহার প্রেমের সীমা ছিল না। সাধু -পাপী, হিন্দু মুসলমান, পবিত্র অপবিত্র , বেশ্যা-পতিত, সকলেই তাঁর প্রেমের ভাগী ছিল’। স্বামীজি বলছেন, ‘জ্ঞান মিশ্র ভক্তির সঙ্গে ভগবানকে ডাকবে। ভক্তির সঙ্গে বিচারবুদ্ধি রাখবে। এছাড়া চৈতন্যদেবের থেকে আরও নেবে ,তাঁর heart( হৃদয় বত্তা), সর্বজীবে ভালোবাসা, ভগবানের জন্য টান,আর তাঁর ত্যাগটা জীবনে আদর্শ করবে’।
শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্যের জন্মের  ৩৫০ বছর পর হুগলির কামারপুকুরে জন্মগ্রহণ করেন শ্রী গদাধর চট্টোপাধ্যায়। পুঁথিকার অক্ষয় কুমার সেন লিখছেন—
প্রসবের স্থান নির্ধারিত ঢেঁকিশালে।
প্রসব হইল আই কুশলে কুশলে।।
সন বারো বিয়াল্লিশ ছয়ই ফাল্গুনে।
শুক্লপক্ষ বুধবার দ্বিতীয়া সেই দিনে।।
এই দিনটিও ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে ছিল ১৮৩৬ সালের১৮ ফেব্রুয়ারি। ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় পুত্র গদাধর অত্যন্ত মেধাবী হলেও প্রথাগত শিক্ষায় তিনি বাধা পড়তে চাননি। তবে বড়দের কাছ থেকে শুনে অসাধারণ স্মৃতিধর গদাধরের শাস্ত্র পুরাণ মহাভারতের কথা ছিল কণ্ঠস্থ। কৈশোর শেষে দাদা রামকুমারের হাত ধরে কলকাতায় উপস্থিত হন। প্রথমে ঝামাপুকুর পরে দক্ষিণেশ্বরে। রানি রাসমণির প্রতিষ্ঠিত ভবতারিণী মন্দিরে গদাধর চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘ বারো বছর সুদীর্ঘ সাধনার করেন।   গদাধর থেকে তিনি শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস-এ পরিণত হলেন। তিনি কখনও ভৈরবী যোগেশ্বরী, কখনও বা নাগা সন্ন্যাসী তোতাপুরি বা কখনও মুসলিম  সুফি সাধক গোবিন্দ রায়ের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে সাধনার সর্বোত্তম অংশে পৌঁছে যান। উপলব্ধি করেন সব মত ও পথ দিয়েই ঈশ্বরের সাধনা করলে সেই একই ঈশ্বরের কাছেই পৌঁছানো যায়। সমাজের  উচ্চ নিচ, ধনী দরিদ্র শিক্ষিত -অশিক্ষিত নানা বেড়াজালে আবদ্ধ মানুষকে শোনালেন সম্প্রীতির কথা। পুরুষ শাসিত সমাজের পিছিয়ে পড়া নারীদেরকে তিনি মাতৃভাবে সম্বোধন করে এক বিপ্লব এনে দিলেন। সাড়ে ৩০০ বছরের ব্যবধানে একই দিনে জন্মগ্রহণ করা এই দুই মানুষ ছিলেন যথার্থভাবেই সমাজকে অন্ধকার থেকে আলো নিয়ে যাওয়ার এক আলোকবর্তিকা। নিজেদের সময় থেকে শত সহস্র যোজন আগে অবস্থান করে জগদ্বাসীকে শেখালেন আত্মমর্যাদা। দীর্ঘ সাধনা শেষে তাঁরা উপলব্ধির জগতে সাধারণ মানুষের কল্যাণের ভিত্তি গড়ে দিল। তাঁদের সপ্রেম আহ্বান ও লোককল্যাণকর শিক্ষা জগৎকে নতুন বিষয় দেখাল। যা শুধু বিগত দিনেই নয়, অনাগত ভবিষ্যতের মানুষকেও সঠিক পথের দিশা নির্দেশ করে। তাঁদের দুজনের জীবনের ত্যাগ -তপস্যা, সর্বোপরি মানুষের প্রতি ভালোবাসা তাঁদেরকে মানব থেকে দেবতায় পরিণত করেছে। তাই তাঁরা আজ  জগৎ জুড়ে দেবতার আসনে অধিষ্ঠিত। কোটি কোটি মানুষের জীবন দেবতা। মহাপ্রভু শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য, কিংবা শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব সকল অন্ধকার  হতে আলোর যাত্রাপথের উত্তরণের দুই চির জাগ্রত আলোকবর্তিকা।
ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে তাঁরা একই দিনে জগতে আবির্ভূত হয়েছেন। দুজনেই সময় উত্তীর্ণ লোকশিক্ষক। শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব ও শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্যের জীবন, শিক্ষা, সকল মানুষের প্রতি তাঁদের ভালোবাসা যে জগতের জন্য চিরকল্যাণকর—-তা জগদ্বাসীকে মানতেই হবে।
18th  February, 2025
ব্যর্থ নবরত্নসভা এবং দিল্লির নারী মুখ্যমন্ত্রী 
সমৃদ্ধ দত্ত

নরেন্দ্র মোদির আমলে মনোনীত বিজেপি’র প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রেখা গুপ্তাকে কি দৃষ্টান্তমূলক এক সফল শাসক হয়ে ওঠার সুযোগ আদৌ তাঁর দল দেবে? এটা কিন্তু এক বড়সড় সুযোগ বিজেপির কাছে। প্রমাণ করা যে, তারা নারী ক্ষমতায়নের একটি জোরদার উদাহরণ স্থাপন করে যাচ্ছেন। নাকি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আর একজন পুতুল হবেন?
বিশদ

‘আত্মঘাতী বাঙালি’র মুখের ভাষা আজ বিপন্ন
তাপসী দাস

সাহেবদের ভাষা বিহনে এখন উচ্চশিক্ষার জগৎ অন্ধকার। শৈশব থেকে তাই ইংরেজি শিখতে হবে। কিন্তু তার সঙ্গে মাতৃভাষা বাংলা ভুলতে হবে কেন? তাকিয়ে দেখুন, দক্ষিণ ভারতের দিকে। ইংরেজি সেখানেও স্বমহিমায় বিরাজমান। তবে কখনওই মাতৃভাষাকে বিসর্জন দিয়ে নয়। আজ দক্ষিণ ভারতের ছেলেমেয়েরা দেশ-বিদেশ সর্বত্রই উচ্চ পদমর্যাদার চাকরিতে বহাল। অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের সঙ্গে যদি ভাষাকে যুক্ত করা না যায়, তবে সেই ভাষা একদিন হারিয়ে যেতে বাধ্য।
বিশদ

মিস্টার কো-প্রেসিডেন্ট!
মৃণালকান্তি দাস

মাস্ক এমনভাবে মার্কিন কংগ্রেসের উপরও ছড়ি ঘোরাতে শুরু করেছেন, যেখানে বিভ্রান্ত রিপাবলিকান পার্টির মাথারাও। মাস্ক একেবারে ট্রাম্প সুলভ। প্রতিদিনই কার্যত উল্টোপাল্টা কিছু না কিছু বলেই চলেছেন। সারাক্ষণ সংবাদমাধ্যমের চর্চায় থাকতে ভালোবাসেন। ফলে রিপাবলিকান পার্টি ও ট্রাম্পের প্রশাসনে মাস্কের প্রভাব বাড়ছে দিন-দিন। ‘মাস্কম্যানিয়া’ নামে একটা শব্দই তৈরি হয়ে গিয়েছে আমেরিকায়।
বিশদ

20th  February, 2025
নতুন লড়াইয়ে দৃপ্ত হবে একুশের ময়দান
সন্দীপন বিশ্বাস

বাংলাদেশে উন্মত্ত এই নতুন প্রজন্ম কি চেনে আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে? এই মুহূর্তে যারা দাপাদাপি করে দেশটাকে আর একটা পাকিস্তান বানাতে চাইছে, তারা কি চেনে আব্দুল লতিফ কিংবা আলতাফ মামুদকে? এই আত্মঘাতী প্রজন্ম চেনে না রফিক, আজাদ, জব্বারকেও।
বিশদ

19th  February, 2025
তথ্য গোপনে প্রাপ্তিটা কী?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

কুম্ভ থেকে দিল্লি
কিছুই তো হয়নি! পদপিষ্ট? না না, পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি। এটাই প্রাথমিক বয়ান। প্রয়াগের কুম্ভ থেকে দিল্লি স্টেশন পর্যন্ত। চারদিকে পড়ে আছে মৃতদেহের স্তূপ।
বিশদ

18th  February, 2025
বাজেটে পরিত্যক্ত উপদেবতারা 
পি চিদম্বরম

 

তামিল ভাষায় একটি প্রবাদ আছে এইরকম: ‘পেটে টান পড়লে দশটার মধ্যে দশটাই উড়ে যাবে’। দশটি হল সম্মান, বংশ, শিক্ষা, উদারতা, জ্ঞান, দান, তপস্যা, প্রচেষ্টা, অধ্যবসায় এবং আকাঙ্ক্ষা। আধুনিক যুগে, নির্বাচনের সময় দশটি—এবং আরও—অনেক গুণ অদৃশ্য হয়ে যায় বলে মনে হয়।
বিশদ

17th  February, 2025
বিকশিত গেরুয়া, দেশ ও মানুষ সেই তিমিরেই?

বিকশিত ভারত, না বিকশিত বিজেপি। গেরুয়া নেতামন্ত্রীদের লাফিয়ে সম্পদ বৃদ্ধি, না গরিবের ঘরে দু’মুঠো খাবার? ‘মেক ইন্ডিয়া গ্রেট’ যেন শেষে ‘মেক বিজেপি গ্রেট’-এ পর্যবসিত না হয়। তাহলে ইতিহাস কিন্তু দেশের স্বঘোষিত ‘বিশ্ব কাঁপানো সেবক’কে ক্ষমা করবে না।
বিশদ

16th  February, 2025
বাংলা যে দিল্লি নয় জানে বিজেপিও
তন্ময় মল্লিক

২৭ বছর পর দিল্লির ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। অরবিন্দ কেজরিওয়াল হারায় বঙ্গ বিজেপি প্রচণ্ড উত্তেজিত। তাই একুশে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অর্ধেক পুঁজি জোগাড়ে ব্যর্থ হয়েও বাংলায় সরকার গড়ার হুঙ্কার দিচ্ছে। 
বিশদ

15th  February, 2025
ভারতের ডিপসিক মোমেন্ট
সুদীপ্ত রায়চৌধুরী

‘সবার মুখে একটা কথা প্রায়ই শুনি... কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দৌড়ে আমেরিকা ও চীনের মধ্যে কমপক্ষে এক-দু’বছরের ব্যবধান থাকবেই। কিন্তু বাস্তবে ব্যবধান সময়ের নয়। আসল ব্যবধান হল নিজস্বতা ও অনুকরণের মধ্যে। যদি সেখানে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চীনকে আজীবন অনুগামী হয়েই থেকে যেতে হবে।’
বিশদ

15th  February, 2025
এগারো বছরের বঙ্গবঞ্চনার পিছনে রহস্য কী? 
সমৃদ্ধ দত্ত

বঞ্চনা। অবহেলা। উপেক্ষা। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। এসব কারণের উল্লেখ করে বহুবার নানা সমালোচনা করা হয়েছে। সুতরাং এই একই অভিযোগে আবার সরব হওয়ার সত্যিই অর্থ হয় না। কিন্তু একটানা এগারো বছর ধরে লাগাতার একই প্যাটার্ন দেখার পর বঙ্গবাসীর মধ্যে একটি বিস্ময়কর প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে।
বিশদ

14th  February, 2025
পরিকাঠামোয় জোর দিয়ে উন্নয়নমুখী বাজেট রাজ্যের
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

ভোটের আগের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। আর সকলকে খুশি করেই নতুন উন্নয়নের দিশা দেখিয়ে গেলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের আগেই সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ বাড়িয়ে পুরনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিলেন তিনি।
বিশদ

13th  February, 2025
বাঁধের জবাবে বাঁধ! চীন-ভারতের নয়া সংঘাত
মৃণালকান্তি দাস

চীনের কৌশলী মারপ্যাঁচ বোঝা কঠিন। এবং যখন প্রতিবেশী দেশ হয় সেই কৌশলের মূল টার্গেট, তখন ভারতের উদ্বেগ বাড়াটাই স্বাভাবিক। সম্প্রতি সেই উদ্বেগের কেন্দ্রে চীন-নিয়ন্ত্রিত তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদের নিম্ন উপত্যকায় বাঁধ নির্মাণের তোড়জোড়।
বিশদ

13th  February, 2025
একনজরে
গত ২৪ মাস ধরে গ্রামীণ ভারতের ক্রয়-বিক্রয় তলানিতে। বিশেষ করে ভোগ্যপণ্য ক্রয়ে পিছিয়ে পড়ছে গ্রামীণ ভারত। এর অন্যতম প্রধান কারণ হাতে নগদ টাকা না থাকা। এবং কর্মসংস্থান কমে যাওয়া। ...

ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিদের আলু রাখার জন্য হিমঘরে ৩০ শতাংশ জায়গার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য। বৃহস্পতিবার হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্য এব্যাপারে সর্ব শিক্ষা মিশনের কনফারেন্স হলে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন। ...

পশ্চিমবঙ্গের গ্রাহকদের জন্য ডাক ও পেনশন আদালত বসাতে চলেছে ডাকবিভাগ। এ রাজ্যের পাশাপাশি আন্দামান ও নিকোবর এবং সিকিমের গ্রাহকরাও এতে অংশ নিতে পারবেন, জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সার্কেল। ...

হোসে মোলিনাকে স্বস্তি দিয়ে অনুশীলনে ফিরলেন মনবীর সিং। বৃহস্পতিবার দলের সঙ্গে সিচুয়েশন মুভমেন্টেও বেশ চাঙ্গা দেখাল তাঁকে। আসলে কোচিতে কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে চোট পান মনবীর। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস
১৮৪৮- কার্ল মার্ক্স প্রকাশ করেন কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো
১৮৭৮- ঋষি অরবিন্দের শিষ্যা মিরা আলফাসা ওরফে ভারতের পুদুচেরী অরবিন্দ আশ্রমের শ্রীমার জন্ম
১৮৯৪- ডাঃ শান্তিস্বরূপ ভাটনগরের জন্ম
১৯৩৭- অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৫২- পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) ভাষা আন্দোলনে প্রাণ দিলেন চারজন
১৯৬১- নোবেলজয়ী ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৭০- অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার মাইকেল স্লেটারের জন্ম
১৯৯১- অভিনেত্রী নূতনের মৃত্যু
১৯৯৩- বিশিষ্ট শিশু সাহিত্যিক ও কবি অখিল নিয়োগীর (যিনি স্বপনবুড়ো ছদ্মনামে পরিচিত) মৃত্যু
২০০০- বিশ্বে প্রথমবারের মতো ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালিত হয়
২০১৩- হায়দরাবাদে জোড়া বোমা বিস্ফোরণে ১৭ জনের মৃত্যু
২০২২ – বিশিষ্ট গীতিকার ও সুরকার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৩ টাকা ৮৭.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩৭ টাকা ১১১.১৪ টাকা
ইউরো ৮৮.৭৮ টাকা ৯২.১৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৬,৮০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৭,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৮২,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৭,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৭,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ ফাল্গুন, ১৪৩১, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। অষ্টমী ১৪/৩৫ দিবা ১১/৫০। অনুরাধা নক্ষত্র ২৪/২৫ দিবা ৩/৫৪। সূর্যোদয় ৬/৮/২০, সূর্যাস্ত ৫/৩২/২৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৮ মধ্যে পুনঃ ৮/২৪ গতে ১০/৪২ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে পুনঃ ৪/১ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১৩ গতে ৮/৫৪ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৬ গতে ৪/২৬ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে পুনঃ ৪/২৬ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৫৯ গতে ১১/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪১ গতে ১০/১৫ মধ্যে।
৮ ফাল্গুন, ১৪৩১, শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। অষ্টমী দিবা ৮/২৮। অনুরাধা নক্ষত্র দিবা ১/০। সূর্যোদয় ৬/১১, সূর্যাস্ত ৫/৩১। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৯ মধ্যে ও ৮/১৬ গতে ১০/৩৭ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/৩১ মধ্যে ও ৪/৫ গতে ৫/৩১ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/১৭ গতে ৮/৫৫ মধ্যে ও ৩/২৮ গতে ৪/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৩ মধ্যে ও ৪/১৭ গতে ৬/১০ মধ্যে। বারবেলা ৯/১ গতে ১১/৫১ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪১ গতে ১০/১৬ মধ্যে। 
 
২২ শাবান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ডব্লুপিএল: বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ৪ উইকেটে জয়ী মুম্বই

01:20:38 AM

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫: আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ১০৭ রানে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা

12:11:00 AM

ফের হাওড়ার প্রকাশ্য রাস্তায় চলল গুলি, এলাকায় স্থানীয় প্রোমোটারকে  লক্ষ্য করে তাঁর বাড়ির সামনেই গুলি চালায় দুই দুষ্কৃতী

11:59:00 PM

মাদারিহাটে শিলাবৃষ্টি
প্রায় ২০ মিনিটের ঝড়-সহ শিলাবৃষ্টির সাক্ষী থাকল আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট ...বিশদ

11:17:30 PM

বীরভূমে কাঁকরতলা থানা এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতার উপর হামলা, জখম, ভর্তি সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে

10:42:00 PM

মহম্মদবাজার থানার ওসি বদল
শুক্রবার রাতে মহম্মদবাজার থানার ওসির দায়িত্ব থেকে সরানো হল অরূপকুমার ...বিশদ

10:21:00 PM