শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতির অধীনে হাওড়ার শিবপুর লঞ্চঘাট থেকে ওপারে বাবুঘাট পর্যন্ত প্রতিদিন লঞ্চ চলাচল করত। প্রতিদিন যাতায়াত করতেন কয়েক হাজার যাত্রী। লঞ্চঘাটের তিনটি কাউন্টারে দিনভর নিত্যযাত্রীদের ভিড় লেগে থাকত। গত কয়েক বছর ধরে জেটিঘাট সংস্কারে ঢিলেমি, পুরনো লঞ্চগুলির বেহাল অবস্থার কারণে লঞ্চ পরিষেবা প্রায় সময় বিঘ্নিত হতো। ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে এই রুটে লঞ্চ চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়। সেই রায় বের না হওয়া পর্যন্ত শিবপুর থেকে লঞ্চ পরিষেবা কার্যত বিশবাঁও জলে। জানা গিয়েছে, আগে সরাসরি শিবপুর ঘাট থেকে লঞ্চ ধরে বাবুঘাট হয়ে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় কাজে যেতেন বাসিন্দারা। সব থেকে বেশি সুবিধা হতো খুচরো ব্যবসায়ী, দিনমজুর ও শ্রমিকদের। বর্তমানে হয় চাঁদপাল ঘাট পর্যন্ত গিয়ে তাঁদের লঞ্চে ধরে হাওড়া স্টেশনে আসতে হচ্ছে, নাহলে বাস ধরে শিবপুরে ফিরতে হচ্ছে।
এদিকে, লঞ্চঘাট বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন গঙ্গাপাড়ের দোকানিরা। সকাল থেকে দোকান খুলে এখন দিনভর মাছি তাড়াতে হয় তাঁদের। আর্থিক অনটনে ভুগছেন সাইকেল ও বাইক স্ট্যান্ডের কর্মীরাও। ১৯৮০ সাল থেকে জেটিঘাটের পাশেই দোকান রয়েছে দেবু মাইতির। হাইকোর্টে দায়ের হওয়া জনস্বার্থ মামলার আবেদনকারীদের মধ্যে তিনিও একজন। দেবুবাবু বলেন, ‘আগে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দোকানে খদ্দেরের অভাব হতো না। এখন দিনে ২০০ টাকারও বিক্রি হয় না। লঞ্চ পরিষেবা চালু না হলে দোকান বন্ধ করে দিতে হবে।’ এ নিয়ে হুগলি জলপথ পরিবহণ সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা চলায় এখন রায়দানের দিকেই সকলে তাকিয়ে রয়েছেন। জেটিঘাটের পূর্ণ সংস্কার প্রয়োজন। যেহেতু কয়েকটি লঞ্চ সারাই হয়ে আসছে, তাই আইনি জটিলতা মিটলে লঞ্চ পরিষেবা চালু করা সম্ভব। নিজস্ব চিত্র