শাস্ত্র অধ্যয়নে গতি বৃদ্ধি ও পরীক্ষায় শুভ ফল লাভের সম্ভাবনা। নতুন কর্মপ্রাপ্তি হতে পারে। দাম্পত্যে ... বিশদ
একসময় গোটা জেলাতেই দোর্দণ্ডপ্রতাপ ছিল কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর। তুখোড় বক্তা। ১৯৯৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত টানা সাংসদ। সামলেছেন প্রদেশ সভাপতির পদও। এখন তিনি অবশ্য প্রাক্তন। সেই অধীরের অতীত আধিপত্যের জমিতে কূপন ধরিয়ে টাকা তুলতে দেখা যাচ্ছে কংগ্রেস কর্মীদের! মুর্শদাবাদ জেলা কংগ্রেসের নামে ছাপানো হয়েছে কূপন। মূল্য পঞ্চাশ টাকা। দোকানে দোকানে এবং পরিচিতদের কাছ থেকে দেদার টাকা তোলা হচ্ছে। কূপনের নিচে জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হেনা ও কোষাধ্যক্ষ হীরেন ভট্টাচার্যের সই রয়েছে। আদায়কারীর জায়গা ফাঁকা। সেখানে কারও নাম বা সই নেই। সংগঠনের তহবিল বাড়াতেই এই পন্থা বলে সূত্রের খবর। জেলায় এই প্রথম জেলা কংগ্রেসের নামে কূপন ছাপিয়ে টাকা তোলাকে ঘিরে হতবাক রাজনৈতিক মহল। যদিও জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এমন নির্দেশ দেওয়া হয়নি বলেই জানিয়েছেন জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস। তিনি দলীয়স্তরে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন।
তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে মুর্শিদাবাদ জেলায় অধীর চৌধুরী রাজ করেছেন। সাংগগঠনিক তহবিল নিয়ে কোনওদিন কংগ্রেসকে ভাবতে হয়নি। এবার জেলা কংগ্রেসের নামে কুপন ছাপিয়ে টাকা তোলায় রাজনীতির বাতাসে একটাই প্রশ্ন ভাসছে। বিধায়ক শূন্য এই জেলায় কি তা হলে কংগ্রেস আর্থিকভাবেও দেউলিয়া হয়ে পড়ল?
বড়ঞা ব্লক কংগ্রেসের মহিলা সভানেত্রী পারু বিবি নিজের এলাকায় কূপন দিয়ে টাকা তুলছিলেন। তিনি বলেন, ‘২১ ফেব্রুয়ারি মহিলা কংগ্রেসের জেলা সম্মেলন রয়েছে। সম্মেলনের জন্য খরচ রয়েছে। মানুষের সাহায্য চেয়েছি। কিন্তু কারও কাছে জোর জবরদস্তি করা হচ্ছে না। স্বেচ্ছায় যে যা দিচ্ছেন, তাই নিচ্ছি।’ মহিলা সম্মেলনের জন্য টাকা তোলা হলে কেন জেলা কংগ্রেসের নাম জড়ানো হচ্ছে? কেন জেলা সভাপতি আবু হেনার নাম আসছে? মহিলা সংগঠনের কারও নাম নেই কেন? এমন প্রশ্নের জবাব অবশ্য তিনি দিতে পারেননি।
জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘বিষয়টি আমার কানেও এসেছে। এর সত্যতা যাচাই করা দরকার। ফেক খবর রটিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে কি না, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে টাকা তোলা হচ্ছে কি না, দলীয় স্তরে তদন্ত করা হচ্ছে।’ নিজস্ব চিত্র