হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
ঝাড়গ্রাম জেলা হোটেল মালিক সংগঠনের সম্পাদক শিবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, গরমে পর্যটকদের সংখ্যা খুবই কম ছিল। ধীরে ধীরে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। এতে ব্যবসা চাঙ্গা হবে। জুলাই ও আগস্ট মাস থেকে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে।
চারিপাশে জঙ্গলের মাঝেই রয়েছে কনকদুর্গা মন্দির। শতাব্দী প্রাচীন এই মন্দিরের পরিকাঠামো একসময় একেবারে ভেঙে পড়েছিল। ২০০৭ সালের পর থেকে জেলাজুড়ে মাওবাদী আন্দোলন শুরু হয়। তার জেরে মন্দির চত্বরে পর্যটকদের দেখা পাওয়া যেত না। তবে সরকার বদলের পর থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। বছরখানেক আগে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে চিল্কিগড় মন্দিরের পরিকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ শুরু হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্দির পরিদর্শন করে সংস্কারের জন্য ২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন। সেই টাকা খরচ করে মন্দির চত্বর ঢেলে সাজানোর কাজ হয়েছে।
ডুলুং নদীর ধারে প্রায় ৬০ একর জঙ্গল এলাকার মধ্যে রয়েছে কনকদুর্গার মন্দির। প্রাকৃতিক পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রেখেই মন্দিরের পরিকাঠামোগত পরিবর্তন করা হয়। জঙ্গলপথে মন্দিরে ঢোকার আগে তৈরি করা হয়েছে বিশাল আকৃতির গেট। মন্দির প্রাঙ্গণে দর্শনার্থীদের জন্য জঙ্গল ঘেঁষে তৈরি করা হয় বসার জায়গা। মন্দিরের চারপাশ বাঁধিয়ে দেওয়া হয়। একইসঙ্গে মন্দির চত্বরে তৈরি করা হয় শিশু উদ্যান। মন্দিরের পাশেই বিশাল জায়গাজুড়ে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। এমনকী মূল মন্দিরের পাশে থাকা প্রাচীন বিষ্ণু মন্দিরও সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়া মন্দির প্রাঙ্গণে তৈরি হয়েছে গেস্ট হাউস।
মন্দিরের এক কর্মী বলেন, শনি ও রবিবার মন্দিরে বেশ ভিড় হচ্ছে। পরের মাস থেকে ভিড় আরও বাড়বে। মন্দিরে দিন দিন হনুমানের উপদ্রব বাড়ছে। এতে অনেক সময় পর্যটকদের সমস্যায় পড়তে হয়। অপরদিকে মন্দির চত্বর বাঁধিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে বর্ষায় আর সমস্যা হবে না।
এদিন কনকদুর্গা মন্দিরে বেড়াতে এসেছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির বাসিন্দা অশোক মণ্ডল। তিনি বলেন, আবহাওয়া ঠিক হতেই ঝাড়গ্রাম বেড়াতে এলাম। আগের চেয়ে মন্দির চত্বর খুবই পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন। অনেক কাজ হয়েছে। এতে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে।-নিজস্ব চিত্র