কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
কয়েক দিন আগে নবান্নের সভাগৃহে পুরসভাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই এদিন শিলিগুড়ি পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে সরব হন ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলার দীপ্ত কর্মকার। তিনি বলেন, বেআইনি নির্মাণ নিয়ে শুধু মাত্র কোর্টের নির্দেশ কার্যকরী করা হচ্ছে। এর বাইরে পুরসভা নিজে থেকে কিছু করছে না। আমি নিজে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে সাতটি অভিযোগ করেছি। সেগুলির কি হল বুঝতে পারছি না। সিপিএম কাউন্সিলারের এমন বক্তব্য নিয়ে আপত্তি তোলেন তৃণমূল কাউন্সিলাররা। তাঁদের অভিযোগ, বামফ্রন্ট পরিচালিত বিগত পুরবোর্ডের আমলেই শহরে বেআইনি নির্মাণ বেড়েছে। সভায় এনিয়ে হইহট্টগাল শুরু হয়।
সকলকে থামিয়ে পরিসংখ্যান দিয়ে মেয়র বলেন, ২০১৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত পুরবোর্ড ছিল বামফ্রন্টের দখলে। এক বছর তাদের নেতারাই প্রশাসক বোর্ডের দায়িত্বে ছিলেন। ওই সময় বেআইনি নির্মাণ নিয়ে নোটিস ইস্যু হয়েছে মাত্র ৬৪টি। যারমধ্যে ১৮টি অভিযোগ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিন্তু ২০২১ সালের মার্চ মাস থেকে ২০২৪ সালের ২৭ জুন পর্যন্ত আমরা বেআইনি নির্মাণ নিয়ে ১০১টি প্রথম নোটিস ইস্যু করেছি। দ্বিতীয় ২৩টি এবং ১৩টি চূড়ান্ত নোটিস দেওয়া হয়েছে। ২০২৩ সালে ১০৬টি এবং ২০২৪ সালে ৬৯টি বেআইনি নির্মাণ ভাঙা হয়েছে। পুরসভার নোটিস পেয়ে ২১ জন অভিযুক্ত নিজেরাই বেআইনি অংশ ভেঙে নিয়েছেন। কাজেই বর্তমান বোর্ড হাত গুঁটিয়ে বসে নেই। বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
শুধু তাই নয়, বেআইনিভাবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান গড়ার বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন মেয়র। তিনি বলেন, বাড়ি বা আবাসনের প্লান্টে পার্কিং ও রুফটপ দেখিয়েছে অনেকে। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাড়ির সামনে নালা দখল করে বসানো হচ্ছে দোকান। এধরনের বেআইনি নির্মাণ আর হতে দেব না। এসব বিষয়ে জিরো টলারেন্স অবস্থান নিয়েছি।
এদিনের বোর্ড মিটিংয়ে শহরের দখলমুক্ত অভিযান, ট্রাফিক ব্যবস্থা এবং পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে সরব হন বিরোধীরা। পুরসভার বিরোধী দলনেতা বিজেপির অমিত জৈন বলেন, বেছে বেছে বিনা নোটিসে গরিবদের উচ্ছেদ করা হচ্ছে। কিন্তু, জবরদলকারী বড় প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এসএফ রোডে ফুটপাত দখল করেই বসানো হচ্ছে ফুডকোর্ট। এসবের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামব। শহরে টোটোর দাপট ও ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে সিপিএম কাউন্সিলার মৌসুমি হাজরা সরব হন।
পাল্টা মেয়র বলেন, গরিব মানুষের কথা মাথায় রেখেই দখলমুক্ত অভিযান চালানো হয়েছিল। তবে রাজ্য সরকার শীঘ্রই ভেন্ডিং ও নন ভেন্ডিং জোন নিয়ে নতুন এসওপি আনছে। তা দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুলিস ট্রাফিক সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করার কাজ করছে। আমরা বিকল্প কিছু রাস্তা তৈরির চেষ্টা করছি।