কাজকর্মে আকস্মিক বিঘ্ন ও ভোগান্তি। আইনজীবী ও মুদ্রণ, কাগজ ও কৃষিজ পণ্যের ব্যবসায়ীদের শুভদিন। ... বিশদ
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, হকারদের সমস্যা না করে ফুটপাত দখলমুক্ত করে সুন্দর চেহারা দিতে হবে। সেই প্রচেষ্টায় শহরে কত হকার রয়েছে, তা জানা প্রয়োজন। সেজন্য ময়নাগুড়ি নতুন বাজার ও পুরাতন বাজারের হকারদের চিহ্নিতকরণ হচ্ছে। পুরাতন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির কাছে ৪৭১ জন হকারের নাম রয়েছে। এরপরও আরও কেউ রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখে তালিকা তৈরি হচ্ছে। এমন তালিকা তৈরি করছে পুরাতন বাজার ব্যবসায়ী সমিতিও।
শহরে যেখানে সেখানে মাংস কাটায় যেমন পরিবেশ দূষণ হচ্ছে, তেমনই দৃশ্যদূষণও হচ্ছে। সোমবারের এই বৈঠকে উঠে আসে সেই প্রসঙ্গও। পুরসভা কর্তৃপক্ষ বৈঠকে হাজির ব্যবসায়ীদের জানিয়েছে, এটা বন্ধ করতে হবে। ময়নাগুড়ি দিয়ে মাংস কাটার আলাদা জায়গা রয়েছে। কিন্তু অনেকেই তা না করে বাজার এলাকা সহ বিভিন্ন অলিগলিতে মাংস কেটে বিক্রি শুরু হয়েছে। যা দৃষ্টিকটূ।
পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবসায়ী নিজেদের দোকান ছেড়েও ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছেন। সেটাও বন্ধ করতে চলেছে ময়নাগুড়ি পুরসভা। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মনোজ রায় বলেন, হকারদের পুনর্বাসন দিয়ে কীভাবে শহর ও গ্রামীণ এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখা যায়, সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ময়নাগুড়ির বেশকিছু ব্যবসায়ী ফুটপাত থেকে সামগ্রী সরিয়ে নিয়েছেন। তবে অনেক ব্যবসায়ী এখনও তাঁদের সামগ্রী সরাননি। আমরা শীঘ্রই অভিযান চালাব। টোটোর দৌরাত্ম্য কমাতে শহর ও গ্রামীণ এলাকার টোটো চিহ্নিতকরণ করব। পুরাতন বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুমিত সাহা, নতুন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সিদ্ধার্থ সরকার বলেন, প্রশাসন যে উদ্যোগ নিয়েছে, তার সাধুবাদ জানাই। আমরা হকারদের তালিকা তৈরি করছি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পুর চেয়ারম্যান অনন্তদেব অধিকারী, ভাইস চেয়ারম্যান মনোজ রায়, ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল ঘোষ, বিডিও প্রসেনজিৎ কুণ্ডু, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সীতেশ বর। হকার সংক্রাম্ত আলোচনায় হাজির ছিলেন ময়নাগুড়ির নতুন ও পুরাতন বাজারের ব্যবসায়ী সমিতি, বিভিন্ন কাউন্সিলার ও বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকরাও।