উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
হিসেব ভুল দেখিয়ে কলেজগুলির অনুমোদন আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধেই অভিযোগ এনেছে। বুধবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের
তরফে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তুলেছে তারা।
২০২৩ সালে বেসরকারি বিএড কলেজগুলির অনুমোদন ঘিরে বিস্তর জলঘোলা হয়। এই অবস্থায় মঙ্গলবার অনুমোদনের লিঙ্ক দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। ১০ দিন তা খোলা থাকবে। তাতে বিভিন্ন তথ্যাদি দিয়ে আবেদন জানাতে হবে কলেজগুলিকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অনুমোদন দেওয়ার সম্মতিবার্তা পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে নির্ধারিত ফি জমা করতে হবে। তারপরেই মিলবে চূড়ান্ত অনুমোদন। ২০২৩ সালে যারা অনুমোদন পায়নি, তারা আগে সমস্ত যোগ্যতার শর্তপূরণ করে রেজিস্ট্রারের কাছে আবেদন জানাবে। তার ভিত্তিতে তারা লিঙ্ক পাবে। তার মধ্যেই সংগঠনের তোলা ১৪ দফা অভিযোগ ঘিরে দানা বেঁধেছে বিতর্ক।
এই অভিযোগ সম্পর্কে অবশ্য কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘সংগঠনটির কোনও রেজিস্ট্রেশন নেই বলেই শুনেছি। তবে, ওদের অভিযোগপত্র হাতে এসেছে। ভিত্তিহীন অভিযোগের জবাব দেওয়া হবে।’ অন্দরের খবর, আজই অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়। সোমাদেবী অভিযোগ করেন, ‘সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশন বিভাগের জনৈক অধ্যাপক আবার বেসরকারি বিএড কলেজও চালান। এটা করা যায় না। এমন ব্যক্তিই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কুৎসা করছেন।’ আবার পাল্টা হিসেবে কলেজগুলির দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়েও নানা অনিয়ম রয়েছে। মামলা হলে তারাও সেগুলি তুলে ধরবে। যদিও, এই ইস্যুতে বেসরকারি কলেজগুলির সংগঠন ইউনাইটেড ফোরামের সভাপতি তপন বেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশেই দাঁড়িয়েছেন।