উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, টোটনের এলাকা চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগরেই মৃতের বাড়ি। তাদের দু’জনের মধ্যে কৈশোর থেকে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। টোটনের ডান হাত হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠে। বসের হাত তার মাথায় থাকায় এলাকার বাসিন্দারা তাকে সমঝে চলত। কিন্তু কে এই টোটন? পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, একসময় সে চুঁচুড়ায় সুপারির ব্যবসা করত। পরে জমির দালালির কাজে হাত পাকায়। ধীরে ধীরে জোর করে জমি দখল, দাদাগিরি, তোলাবাজিতে সে সিদ্ধহস্ত হয়ে ওঠে। তাকে পাকড়াও করতে গেলে ২০১৯ সালে ফিল্মি কায়দায় তার গ্যাং পুলিসের উপর আক্রমণ করে। আলো বন্ধ করে পুলিসকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। পুলিসও পাল্টা গুলি চালায়। তার প্রতিবাদে টোটনের লোকজন পরেরদিন রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। সেইবছরই অবশ্য সে পুলিসের জালে ধরা পড়ে। তার কাছ থেকে একটি কার্বাইন সহ ১২টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল। ৩৬ রাউন্ড গুলিও উদ্ধার হয়েছিল। ত্রাস গ্রেপ্তার হওয়ায় চুঁচুড়ায় স্বস্তি নেমে আসে। সে জামিন পেলেও জেলার বাইরে রয়েছে। পুলিসের একাংশের মতে, সে নদীয়া জেলায় গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। কালনা থেকে নদীয়ার দূরত্ব বেশি নয়। এখানেই রাজা আশ্রয় নিয়েছিল। ছোটখাট বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করতে থাকে। কিন্তু আড়ালে জুয়ার কারবার চালাচ্ছিল কিনা সেটাই পুলিস খতিয়ে দেখছে। পূর্ব বর্ধমানের পুলিস সুপার আমনদীপ বলেন, ওই ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর এক পুলিস আধিকারিক বলেন, কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাতে জুয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে। তবে এই কারণেই সে খুন হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মৃত যুবকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ ছিল। সে জেলেও গিয়েছিল। তার সঙ্গীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রয়োজনে হুগলি পুলিসের সহযোগিতা নেওয়া হবে।