উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর থেকেই ফুটপাত জবরদখলমুক্ত করার ভাবনাচিন্তা শুরু করে পুরসভা। সিদ্ধান্ত হয়, মেদিনীপুর কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুলের গা ঘেঁষে নিকাশি নালা ও ফুটপাত দখল করে যেসব দোকান রয়েছে সেগুলি প্রথমে সরানো হবে। মঙ্গলবার এনিয়ে মেদিনীপুরের মহকুমা শাসক মধুমিতা মুখোপাধ্যায় তাঁর দপ্তরে পুলিস, পুরসভা কর্তৃপক্ষ ও হকারদের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে হকারদের পুনর্বাসন দেওয়ার পাশাপাশি নতুন জায়গায় জল ও আলোর বন্দোবস্ত করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। এমনকী হকারদের ট্রেড লাইসেন্সও দেওয়া হবে প্রস্তাব দেওয়া হয়। প্রশাসনের প্রস্তাব মেনে নেন হকাররা। কিন্তু বুধবার দখলমুক্ত শুরু হতেই বেঁকে বসেন তাঁরা।
এদিন সকাল ১১টা নাগাদ পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ফুটপাত দখলমুক্ত করার কাজ শুরু করেন। কিন্তু আচমকা হকাররা পুনর্বাসনের বিরোধিতা শুরু করেন। চেয়ারম্যানের কাছে কাকুতি মিনতিও শুরু করেন তাঁরা। কাজ না হওয়ায় তৃণমূলের ঝান্ডা নিয়ে কলেজের সামনের রাস্তা অবরোধ করে বসেন পড়েন তাঁরা। ডালপুরির ব্যবসায়ী শ্যামাপদ দাস বলেন, ২০বছর ধরে দোকান চালাচ্ছি। দোকানের আয় দিয়েই সংসার চলে। নতুন জায়গায় যদি ব্যবসা না চলে তাহলে তো পথে বসতে হবে। আর এক ব্যবসায়ী অমিত মান্না বলেন, পুরসভা জল ও আলোর ব্যবস্থা করে দেবে বলেছে। কিন্তু কিছুই করেনি। আগে সেইসব ব্যবস্থা করুক। তারপর না হয় আমরা নিজেরাই সরে যাব।
দীর্ঘক্ষণ ধরে অবরোধ চলার পর ঘটনাস্থলে আসেন মহকুমাশাসক। তিনি হকারদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ‘আমরা পুনর্বাসন দিচ্ছি। শহর যানজটমুক্ত করতে গেলে এটা অত্যন্ত জরুরি।’ যদিও অন্যান্য হকাররা বলেন, পুরসভা আমাদের জন্য আগে স্টল করে দিক। তারপর সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করুক। মহকুমা শাসক পাল্টা বলেন, ‘এভাবে গোটা শহরের হকারদের স্টল করে দিতে হলে পুরসভার সমস্ত টাকাই শেষ হয়ে যাবে।’ দীর্ঘক্ষণ ধরে মাথা ঠান্ডা রেখে হকারদের সঙ্গে কথা বলেন মহকুমা শাসক। মেদিনীপুর শহরে প্রাণকেন্দ্রে এই পদক্ষেপ কতটা জরুরি তা বোঝান। নতুন জায়গায় দোকান ভালো চলবে বলেও আশ্বাস দেন। তারপরেই অবরোধ ওঠে। দোকানদাররা নিজেরাই দোকান সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন। চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা হকার-বিরোধী নই, আমরা তাঁদের ও শহরের ভালোর জন্যই এই কাজ করছি। তা তাঁরাও বুঝতে পেরেছেন। তাই শুরুতে বিক্ষোভ করলেও পরে তাঁরা নিজেরাই দোকান সরিয়ে নেন।