কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিজেপির দাবি, মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে দলের প্রধানকে। তৃণমূলের অভিযোগ, বাংলাকে অশান্ত করা চক্রান্ত করছে বিজেপি। আইন আইনের পথে চলবে। সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে হরিপুর এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র পাচার হবে বলে খবর পায় পুলিস। হনুমান মন্দির এলাকায় আলোচনা চলাকালীন পুলিস দুষ্কৃতীদের ঘিরে ফেলে। দেখা যায়, দলের মধ্যে রয়েছেন নাজিরপুর পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান দেবাশিস মণ্ডল, মানিকচক ব্লক যুব তৃণমূল কমিটির সদস্য শ্রবণ মণ্ডল, নাজিরপুর ও ভূতনির চর এলাকার সঞ্জীব মণ্ডল, অনন্ত মণ্ডল, জয়ন্ত মণ্ডল ও সুমিত মণ্ডল। ধৃতদের তল্লাশি করতেই উদ্ধার হয় একটি সেভেন এমএম পিস্তল, দু’টি ম্যাগাজিন, আটটি তাজা কার্তুজ ও ১২ হাজার টাকা। এছাড়াও দু’টি বাইক ও পাঁচটি মোবাইল ফোনও উদ্ধার হয়। এরপরই প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করে মানিকচক থানার পুলিস। আইসি পার্থসারথি হালদার বলেন, অস্ত্র কেনাবেচা নিয়ে আলোচনার খবর পেয়েই অভিযান চালানো হয়। বিজেপি প্রধান সহ অন্যদের আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও টাকা সহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর কেউ জড়িত কি না তাও তদন্ত করা হচ্ছে। ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে প্রধান বলেন, তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে মানিকচক থানার পুলিস। আমার কাছে আগ্নেয়াস্ত্রই ছিল না। চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। এই ঘটনাকে ঘিরে তৃণমূলকে নিশানা করেছেন দক্ষিণ মালদহ জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক গৌড়চন্দ্র মণ্ডল। তাঁর কথায়, বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের কাজ থামাতে এবং প্রধানকে অপসারণ করার জন্যই চক্রান্ত করা হয়েছে। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। তৃণমূল নেতা বাবলা সরকারের দাবি, বাংলাকে অশান্ত করতেই ঝাড়খণ্ড, বিহারের দুষ্কৃতীদের সঙ্গে অস্ত্র কেনাবেচা করছে বিজেপি। তার প্রমাণ হাতেনাতে মিলেছে। তৃণমূলের এক নেতার ধরা পড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কেউ যুক্ত থাকলে দল পাশে থাকবে না। মালদহের পুলিস সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, বেআইনি অস্ত্র কেনাবেচার অভিযোগে ছ’জনকে মানিকচক থানার পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। শ্রবণ মণ্ডল, সঞ্জীব মণ্ডল ও
অনন্ত মণ্ডলের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা
দিয়ে দেবাশিস মণ্ডল অস্ত্র কিনছিল। ওই টাকাও উদ্ধার হয়। গতমাসে মানিকচকে ডাকাতির চেষ্টার সঙ্গে ধৃতদের কোনও ভূমিকা ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। - নিজস্ব চিত্র