কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
ডোমজুড়ে সোনার দোকানে ডাকাতির পর রাজ্য পুলিসের পাঠানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে রবীন্দ্রকে চিহ্নিত করে বিহার পুলিস। অপারেশনে থাকা বাকিদের পরিচয়ও জানা যায়। সমস্তিপুরের এই গ্যাংটির পান্ডা হল রবীন্দ্র ও বিকাশ। বিহার পুলিসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই দু’জন প্রথমে বৈশালী, সমস্তিপুরে ছোটখাটো লুটপাট করত। ধরা পড়ার পর বেউর জেলে গিয়ে সুবোধের সঙ্গে পরিচয় হয়। তারপর তার গ্যাং-এর সদস্য হয়। রবীন্দ্রকে গ্যাংস্টার সুবোধ দায়িত্ব দিয়েছিল ভিন রাজ্যে অপারেশনের। রবীন্দ্র নিজে যাতে অপারেশন চালাতে পারে সেজন্য টিম তৈরিরও অনুমতি দিয়েছিল সুবোধ। রফা হয় এখান থেকে রবীন্দ্র যে সোনা লুট করবে, তার এক তৃতীয়াংশ যাবে ‘ডন’-এর কাছে।
পুলিস সূত্রের খবর, ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, তামিলনাডু, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরুসহ একাধিক রাজ্যে ৫০টির বেশি অপারেশন চালিয়ে একশো কেজির বেশি সোনা লুট করেছে। কিছু জায়গায় বাধা পাওয়ায় গুলি চালিয়ে খুনও করেছে। ডাকাতির পর পালিয়ে নেপাল ও বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার সময় দুই দেশের ডাকাত দলের যোগাযোগ তৈরি হয়। তাদের সঙ্গে মিলে অপারেশন চালায় নেপাল ও বাংলাদেশে। এখানকার বেশকিছু ডাকাতিতে তার সঙ্গে এই দুই দেশের ডাকাত দলের পান্ডারা ছিল। তদন্তে জানা গিয়েছে, রাজ্য পুলিসের অফিসাররা রবীন্দ্রর নাম জানতে পারেন ২০২২ রানিগঞ্জে সোনার দোকানে লুটের পর। সুবোধের নির্দেশমতো এই অপারেশন করেছিল সে। কিন্তু তাকে বিহার পুলিস চিহ্নিত করে দিলেও ধরা যায়নি। নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে সোনার দোকানের বিষয়ে খোঁজ নিত। ডোমজুড়ের দোকানের খবর তার মাধ্যমে সুবোধের কাছে পৌঁছয়। এরপর গ্যাংস্টার নির্দেশ দেয় অপারেশন চালাতে। ভোলবদল করে এখানে এসে ডাকাতির পর বাইকে করে পালায়। বারবার ট্রেন বদল করে নাটকীয় কায়দায় বিহার পৌঁছয়।