কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
এদিন সকালে রানাঘাট-১ ব্লকের আইশতলার একটি বেসরকারি প্রেক্ষাগৃহে তৃণমূলের বিশেষ কর্মিসভার আয়োজন করা হয়। মহুয়া মৈত্রের সেই কর্মিসভায় উপস্থিত ছিলেন আনুলিয়া, পায়রাডাঙা, ন’পাড়া মসুন্ডা, তারাপুর সহ মোট ৬টি পঞ্চায়েতের বুথ সভাপতি ও দলীয় কর্মীরা। এরপর রানাঘাট-২ ব্লকের নোকারি পঞ্চায়েতের একটি বেসরকারি লজেও মাঝেরগ্রাম, দেবগ্রাম, আইসমালি, বৈদ্যপুর এক সহ মোট ৮টি পঞ্চায়েত ও কুপার্স পুরসভার নেতা কর্মীদের নিয়ে দ্বিতীয় বৈঠকে বসেন মহুয়া। গত লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট দক্ষিণের প্রায় ৩৭ হাজার ভোটের ব্যবধানকে মিটিয়ে কীভাবে জয় ফিরিয়ে আনা সম্ভব, সেই উপায়ই এদিনের ঘরোয়া বৈঠকে কর্মীদের বাতলে দিতে শোনা গিয়েছে কৃষ্ণনগরের সাংসদকে।
রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, লোকসভা নির্বাচনে দলের পরাজয়ের পিছনে সাংগঠনিক সমন্বয়ের অভাব ছিল। কর্মীরা টানা লড়াই করে গিয়েছেন। হারের পর নিঃসন্দেহে অনেকটাই মুষড়ে পড়েছিলেন তাঁরা। রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ভোকাল টনিক কাজ করেছে। মুকুটমণিকে দিয়ে উপনির্বাচনে আমরা জয় ফিরিয়ে আনবই।
এদিকে, উপনির্বাচনের শেষ ১০ দিনের প্রচারে চমক আনার চেষ্টা করছে বিজেপিও। এদিন তারাপুর পঞ্চায়েতের বিদ্যানন্দপুরে বিজেপির জনসভায় আসেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্যজুড়ে শুধু হওয়া ফুটপাত দখল মুক্ত অভিযান নিয়ে শাসক দল তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন তিনি। বিজেপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়গুলোই তো বেআইনিভাবে তৈরি করা হয়েছে। সেগুলির অধিকাংশেরই কাগজপত্র নেই। এসব আই ওয়াশ করা ছাড়া আর কিছুই নয়। বিজেপির এই জনসভায় প্রার্থী মনোজ বিশ্বাস ও বিজেপি বিধায়কেরা উপস্থিত থাকলেও শক্তিপ্রমুখ ও বুথস্তরের কার্যকর্তাদের অনেকেই গরহাজির ছিলেন।