কর্মে অগ্রগতি হবে। চাকরিজীবীদের পদোন্নতি ও বদলির যোগ আছে। সৎজন সান্নিধ্যে মানসিক আনন্দ। ... বিশদ
চণ্ডীপুর ব্লকের দামোদরপুর ও লাগোয়া গাজিপুর গ্রামে তিনটি বাড়িতে বিষধর সাপ লুকিয়ে রাখা হয়েছে বলে বনদপ্তর সূত্র মারফত জেনেছিল। সেইমতো এদিন সকাল ৭টা নাগাদ বনদপ্তর এবং চণ্ডীপুর জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ মঞ্চ যৌথ অভিযান চালায়। বনদপ্তরের বাজকুল রেঞ্জ অফিসারের নেতৃত্বে কর্মীরা তিনটি টিমে ভাগ করে দু’টি গ্রামে হানা দেয়। প্রথমে একটি দল বৃন্দাবনপুর-২ পঞ্চায়েতের গাজিপুর গ্রামে সুদর্শন সিংয়ের বাড়িতে পৌঁছে যায়। আগে সুদর্শন সাপ ধরতেন। গত পাঁচ-ছ’বছর ধরে তিনি অসুস্থ। তাঁর স্ত্রী জ্যোৎস্না সাপ ধরার সঙ্গে যুক্ত। ত্রিপল খাটানো ভাঙাচোরা সুদর্শনের বাড়ির ভিতর থেকে সারি সারি মাটির হাঁড়ি পাওয়া যায়। প্রতিটির ভিতর একটি করে গোখরো সাপ ছিল। জ্যোৎস্না নিজে বাড়ির ভিতর থেকে হাঁড়িগুলি এনে বনদপ্তরের কর্মীদের সামনে রাখে। তার বাড়ি থেকে মোট ১২টি মাটির হাঁড়ি পাওয়া যায়। প্রত্যেকটির ভিতর একটি করে সাপ ছিল।
বনদপ্তরের আরও দু’টি টিম গাজিপুর লাগোয়া ঈশ্বরপুর পঞ্চায়েতের দামোদরপুর গ্রামে উত্তম দাস ও সুকুমার বরের বাড়িতে হানা দেয়। উত্তমের বাড়ি থেকে তাঁর স্ত্রী ১০টি মাটির হাড়ি বের করে আনেন। সবকটির ভিতর বিষধর সাপ ছিল। উত্তম বাড়িতে ছিল না। সুকুমারের বাড়িতে বাঁশের ঝুড়ির ভিতর দু’টি গোখরো পাওয়া যায়। দু’টি গ্রামে তিনজনের বাড়ি থেকে ২৪টি সাপ উদ্ধার করার পর বন দপ্তর এলাকা ছাড়ে। জ্যোৎস্না ও সুকুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গিয়েছে, দামোদরপুর গ্রামে অনেক আগে থেকে বিষধর সাপ ধরে বিক্রি করার চক্র রয়েছে। আগে একটি পরিবার এই কাজে জড়িত ছিল। ধীরে ধীরে আরও বেশকিছু পরিবার পেশা হিসেবে সাপ ধরাকে বেছে নেয়। তারা ওই বিষধর সাপ বিক্রি করে দেয়। বিষ বিক্রির চক্র এরসঙ্গে যুক্ত বলে সন্দেহ করছে বনদপ্তর। ধৃতদের জেরা করে অজানা কাহিনী বের করার চেষ্টা চালাবে বনদপ্তর।
পূর্ব মেদিনীপুরের ডিএফও সত্যজিৎ রায় বলেন, ২৪টি গোখরো উদ্ধার হয়েছে। দু’জনকে ধরা হয়েছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা তথা ঈশ্বরপুর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান সুনীল আড়ি বলেন, এখানে কয়েকজন বিষধর সাপ ধরার কাজে যুক্ত। অনেকেই বাড়ি থেকে সাপ উদ্ধার করার জন্য সুকুমার, উত্তম, জ্যোৎস্নাদের গাড়ি পাঠিয়ে দেন। সেইসব সাপ উদ্ধার করার পর এরা বিক্রি করে দিত।