পেশাদার উকিল, সাহিত্যিক, বাস্তুবিদদের কর্মের প্রসার ও ব্যস্ততা বৃদ্ধি। বিদ্যা ও পুজোপাঠে শুভ দিন। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, প্রণতবাবু ইস্তফাপত্র দিলেও রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর আপত্তি জানায়। এরপর প্রণতবাবু কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন। বুধবার বিচারপতি রাজ শেখর মান্থার এজলাসে সেই আবেদন ওঠে। বিচারপতি নির্দেশ দেন, প্রণতবাবু পদত্যাগ করতে পারেন। এই নির্দেশের পরেই স্বাস্থ্যদপ্তর নির্দেশিকায় জানিয়ে দেয় তাঁর ইস্তফাপত্র গ্রহণ করা হল। এদিন প্রণতবাবু বলেন, বিজেপিকে আমি ভালোবাসি। আপাতত এইটুকুই বলতে পারি।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন প্রণতবাবু। ইস্তফা দিলেও স্বাস্থ্যভবন তাঁকে রিলিজ করছিল না। স্বাস্থ্যভবনের তরফে এনওসি পাচ্ছিলেন না প্রণতবাবু। তাই প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারছিল না বিজেপি।
বিজেপির এক নেতা বলেন, প্রার্থী ঘোষণা করতে অনেক দেরি হয়ে গেল। কর্মী সমর্থকদের মনোবল তলানিতে নেমে এসেছে। প্রণতবাবুকে সামনে রেখে আমরা লড়াইয়ে নামব। উনি বিজেপির বিভিন্ন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
জানা গিয়েছে, প্রণতবাবুর আদি বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোয়ালতোড় থানার দোবাটি গ্রামে। তিনি প্রায় ১২ বছর ধরে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত। তাঁর বাবা প্রয়াত যদুনাথ টুডু ছিলেন আকাশবাণী কলকাতার স্টেশন ডিরেক্টর। একইসঙ্গে তিনি কবি, সাহিত্যিক ছিলেন। প্রণতবাবু সেভাবে সক্রিয়ভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।
বিজেপির এক নেতা বলেন, প্রণতবাবু ছাড়াও জেলা তৃণমূলের এক প্রথম সারির নেত্রী প্রার্থী হওয়ার জন্য ঝাঁপিয়েছিলেন। একইসঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন চিকিৎসকের নাম উঠে আসে। তবে চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়ায় প্রণতবাবু এগিয়ে রয়েছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ১৬ দিন আগে ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের জন্য প্রার্থী ঘোষণা করেছে তৃণমূল। পদ্মশ্রী সাহিত্যিক কালীপদ সোরেনকে সামনে রেখেই গোটা জেলাজুড়ে প্রচারে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল। এমনকী সাহিত্যিকের জীবনপঞ্জি ছাপিয়ে বিলি করা হচ্ছে। প্রার্থী নিজেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ সারছেন। কিন্তু, সেই দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে গেরুয়া শিবির। কারণ, তারা এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারেনি।
জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ঝাড়গ্রামে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। প্রায় ১২ হাজার ভোটে জয়ী হন কুনার হেমব্রম। সম্প্রতি তিনি দলত্যাগ করেন। তারপর থেকেই নতুন প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু বলছেন, বিজেপির প্রার্থী যিনিই হোন, তাঁর হার নিশ্চিত। কেউ আটকাতে পারবে না।