আজ অর্থাগম ক্ষেত্রটি মধুর। কাজ করেও সাফল্যের অভাব। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উন্নতি। ... বিশদ
শনিবার পশ্চিম বর্ধমানে নির্বাচনী সভা করে হেলিকপ্টারে বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ বহরমপুর স্টেডিয়ামের স্থায়ী হেলিপ্যাডে নামেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তাঁর কনভয় তৈরি ছিল। হেলিপ্যাডে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ও বেলডাঙার বিধায়ক হাসানুজ্জামান শেখ সহ অন্যান্য নেতারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেলিকপ্টার থেকে নেমে নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেন। মুর্শিদাবাদ জেলার তিনটি কেন্দ্রে নির্বাচনে যাতে ভালো ফল হয়, সেই দিকে নজর দেওয়ার নির্দেশ দেন।
মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে বিদায়ী সাংসদ আবু তাহের খান এবারও তৃণমূলের টিকিট লড়াই করছেন। জঙ্গিপুর কেন্দ্রেও বিদায়ী সাংসদ খলিলুর রহমান তৃণমূলের প্রার্থী। তাই এই দু’টি আসন নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন তৃণমূল সুপ্রিমো। বহরমপুর আসনটি দখল করতে চাইছে তৃণমূল। এদিন দলীয় নেতাদের সঙ্গে মমতার সংক্ষিপ্ত কথোপকথনে সেই বার্তা মিলেছে। হুমায়ুন ও হাসানুজ্জামানকে বহরমপুর কেন্দ্রটি নিয়ে আরও বেশি লড়াই করতে বলেন নেত্রী। ইউসুফকে জেতানোর জন্য নেতাদের যে ভোকাল টনিক নেত্রী দিলেন, তাতে কাজ হয় কি না, সেটাই এখন দেখার।
দুই বিধায়কের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলার পর মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় ছুটতে থাকে শিল্প তালুকের দিকে। সেখানকার একটি বেসরকারি হোটেলে রাত্রিবাস করবেন মমতা। গাড়ি করে হোটেলে ঢোকেন নেত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য তাঁর কপ্টার আসার আগে থেকেই হেলিপ্যাড থেকে শিল্পতালুক পর্যন্ত প্রায় ৭০০ মিটার এই রাস্তার দখল নেয় বিশাল পুলিস বাহিনী। হোটেলের চারিদিকে সশস্ত্র পুলিস মোতায়েন রয়েছে। বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, নির্বাচনের প্রচারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী জেলায় এসেছেন। তিনি আমাদের বললেন সকলকে নিয়ে একসঙ্গে ভালোভাবে নির্বাচন করতে হবে। মুর্শিদাবাদ জেলার তিনটি আসন যেন আমরা জিততে পারি, সেই দিকটা দেখতে বললেন। বিশেষ করে বহরমপুর আসনটি যাতে জয়লাভ করা যায়, সেই জন্য আমাকে এবং হাসানুজ্জামান ভাইকে ভালো করে নজর দিতে বললেন। ২৯ তারিখ থেকে পরপর জনসভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। ফরাক্কা, কান্দি, খড়গ্রাম ও ভগবানগোলায় আমাদের নেত্রীর সভা হবে। সেগুলি নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি চলছে। এই জেলায় এবার আমাদের ফল ভালো হবে।