আজ অর্থাগম ক্ষেত্রটি মধুর। কাজ করেও সাফল্যের অভাব। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উন্নতি। ... বিশদ
এবার শতাব্দী চতুর্থবারের জন্য নির্বাচনে লড়াই করছেন। দলের নেতা কর্মীদের পাশাপাশি বহু অনুরাগী সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর হয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। সেইভাবে এক ভক্ত জয়ের আগাম শুভেচ্ছা জানাতে কুমড়োর বীজের উপর শতাব্দী মুখাবয়ব এঁকে তাঁর হাতে তুলে দিতে চলেছেন। রামপুরহাটের বাসিন্দা সেই চিত্রশিল্পী হলেন প্রাণকৃষ্ণ সিমলান্দি। উল্লেখ্য, তাঁর শিল্পকর্ম দিল্লির পার্লামেন্ট, ন্যাশনাল মিউজিয়াম, রাজভবন ও মহাকরণে প্রদর্শিত হয়েছে। ম্যাজিক বুক অব রেকর্ডস তাঁকে বেস্ট মাইক্রো আর্টিস অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে।
এর আগে পোস্তর দানার উপর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মসুর ডালের উপর মা কালী, চালের উপর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল, কুমড়োর বীজের উপর মা দুর্গা এঁকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রয়াত সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর প্রতিকৃতি এঁকেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেও তাঁর শিল্পকর্ম তুলে দিয়েছেন। এবার তাঁর শিল্পকর্ম শতাব্দী রায়ের হাতে তুলে দিতে চলেছেন। প্রাণকৃষ্ণ বলেন, আমি শতাব্দী রায়ের ভক্ত। তাঁর অভিনীত এমন কোনও সিনেমা নেই যা দেখিনি। ২০০৯ সালে তিনি যখন এই বীরভূমের প্রার্থী হলেন তখন মনে প্রশ্ন জেগেছিল, রাজনীতিতেও কী সমান জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারবেন। পরে দেখলাম, তিনি রাজনীতিতে মানুষের জন্য কাজ করতে এসেছেন। কত মানুষের কত কল্যাণে যে জড়িয়ে গিয়েছে তাঁর নাম, তা বলে শেষ করা যাবে না। এবারও তিনি বড় ব্যবধানে জয়ী হবেন। সেই জয়ের আগাম শুভেচ্ছা জানাতেই জল রং দিয়ে তাঁর ছবি আঁকছেন। বুধবার সারাদিনই প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন শতাব্দী। তাঁর ফাঁকে তিনি জানালেন, এটা আমার কাছে এক বড় পাওনা হবে। যা সারাজীবন আমার কাছে থেকে যাবে।