পারিবারিক ধর্মাচরণে মানসিক শান্তি। পেশাদার আইনজীবী, বাস্তুবিদদের অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
এদিন সকাল দশটা থেকে তৃণমূলের গড় হিসেবে পরিচিত নলহাটি বিধানসভার বিভিন্ন গ্রামে ছোট ছোট সভার মাধ্যমে প্রচার সারেন শতাব্দী। প্রতিটি সভাতেই মহিলাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। গরম থেকে বাঁচতে হাল্কা রঙের শাড়ি পরেছিলেন তারকা প্রার্থী। ক্রিম, কালো ও লাল রঙের মিশ্রণে শাড়ি পরে তিনি প্রচার করেন। হাজরাপুর গ্রামে আসতেই সেই একই রকমের শাড়ি উপহার চাইলেন মহিলা ভোটাররা। তাঁরা বলেন, দিদি এই শাড়িতে আপনাকে খুব সুন্দর লাগছে। একইকরম শাড়ি আমাদের পাঠান। ১৩ মে সেই শাড়ি পড়ে আমরা ভোট দিতে যাব। আব্দার শুনে শতাব্দী হেসে ফেলেন। তিনি বলেন, নির্বাচনী বিধি চালু আছে। এখন দেওয়া যাবে না। ভোটের পর।
এদিন মেহেগ্রামেও ছোট ছোট সভা করে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান শতাব্দী। সেখানে গ্রামবাসীরা তাঁকে জানান, এই গ্রামে আপনার একজন ৯০ বছরের বৃদ্ধা ফ্যান রয়েছে। বয়সের ভারে আসতে পারেননি। কিন্তু আপনাকে দেখার খুবই ইচ্ছে। শতাব্দী সভা শেষ করেই ইরা ঘোষ হাজরা নামে ওই বৃদ্ধার বাড়িতে দেখা করতে আসেন। ইরাদেবী তাঁকে বলেন, তোমাকে কেউ হারাতে পারবে না। আমরা আছি, তোমাকে জেতাবই। শতাব্দীকে আশীর্বাদও করেন তিনি।
শতাব্দী বলেন, যে গ্রামেই যাচ্ছি, লাইন করে মহিলা আসছে। ওদের বলেছি, এত রোদের মধ্যে তোমরা আমার কথা শুনতে আসছ। তখন ভোটটা দিয়ে ভালোবাসা সম্পূর্ণ করো। এদিন বিকেলে নলহাটি শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডেও একইভাবে প্রচার করেন তিনি।
এদিন একইভাবে প্রখর সূর্যের তাপ মাথায় নিয়ে এই বিধানসভার কুশমোর ১, কুশমোর ২ ও রুদ্রনগর গ্রামে কখনও টোটোয় চেপে, কখনও হেঁটে জনসংযোগ সারেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদ। সঙ্গে ছিলেন এলাকার সিপিএম নেতা আলি রেজা, কংগ্রেসের আশিক ইকবাল। মিল্টন বলেন, ভালো সাড়া পাচ্ছি। নির্বাচনের ময়দানে মানুষই শেষ কথা বলবে। এদিন বিকেলে তারাপীঠে মিছিল করে প্রচার সারেন তিনি। নিজস্ব চিত্র