কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
যাতায়াতের এই ভয়াবহ অবস্থার জন্য গর্ভবতী মহিলারা ওই কেন্দ্রে নিজেদের ওজন মাপাতে আসছেন না। তাঁদের কথায়, ওই সরু কংক্রিটের পাটাতন দিয়ে যাওয়ার অর্থ বিপদ ডেকে আনা। একবার খালের জলে পড়লে পেটের শিশুর জীবনমরণ সমস্যা হবে। মহিলাদের অভিযোগ, যাতায়াতের এই সমস্যা নিয়ে বৈঠকে অনেকবার বলেছি। রাস্তার একটা ব্যবস্থা যাতে করা হয়, তার দাবিও জানিয়েছি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা সমাধানের কোনও উদ্যোগ নেই।
এই নিয়ে এলাকাবাসীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পরিচালন সমিতির সঙ্গে যুক্ত অনেকে স্বীকার করেছেন সমস্যাটি অনেকদিনের। ফলতার বিধায়ক থেকে সিডিপিও এবং বিডিও– সব জায়গাতেই জানানো হয়েছে। কিন্তু কারও কোনও হেলদোল নেই। জানা গিয়েছে, মা ও শিশু মিলিয়ে ষাটজনের বেশি ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে পরিষেবা নেন। এক আধিকারিক বলেন, আসলে কেন্দ্রটি খালের ধারে যেখানে করা হয়েছে, সেখানে যাতায়াতের স্থায়ী কোনও রাস্তা নেই। একজন ব্যক্তি তাঁর জায়গার উপর দিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। তিনিই খালের উপর একটি বিদ্যুতের খুঁটি পেতে দিয়েছেন। না হলে যাওয়ার কোনও উপায় নেই। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে শিশু থেকে মহিলাদের যেতে হয়। বর্ষাকাল হলে সমস্যা আরও বৃদ্ধি পায়। তখন জল বেড়ে যাওয়ার জন্য পারপার করা রীতিমতো আতঙ্কের হয়।
বিডিও শানু বক্সি বলেন, সবে কয়েকমাস হল এসেছি। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। আর ফলতার সিডিপিও পুষ্পেন্দু নস্কর বলেন, বিডিও অফিসে বিষয়টি জানানো আছে। পরে অবশ্য বলেন, বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিচ্ছি। তাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, সিডিপিও তো অনেকদিন ধরেই বিষয়টি জানেন। তাহলে এখনও কেন তাঁকে খোঁজ নিতে হবে? কেন গর্ভবতী মহিলারা ওই কেন্দ্রে যেতে পারছেন না? এটা নিয়ে কেন তিনি তৎপর হচ্ছেন না?