গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
মঙ্গলবার মাঠ ভর্তি কর্মী সমর্থক নিয়ে অশোকনগরে নির্বাচনী সভা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই বুধবার হাবড়ায় জনসভা ছিল নাড্ডার। হাবড়া বিধানসভার শিমুলপুর খেলার মাঠে সভামঞ্চ করা হয়েছিল। সামনে পাতা হয়েছিল চার হাজারের মতো চেয়ার। সভাস্থলে মাথার উপর ছাউনিও দেওয়া হয়। বুধবার সকাল ১০টায় সভা নির্ধারিত ছিল। কিন্তু তখনও মাঠে দেখা গেল হাতেগোনা কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে। সময় গড়ালেও কর্মীদের উপস্থিতি বাড়েনি। কর্মীদের উপস্থিতির পরিমাণ কম থাকায় সভার সময় বাড়িয়ে ১২টা করা হল। কিন্তু তখনও কর্মী নেই। সামনের দিকের কয়েকটা চেয়ারে কর্মীরা বসে থাকলেও সভাস্থল ছিল ফাঁকা। মঞ্চে উপস্থিত বারাসত লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার, বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তরুণকান্তি ঘোষ, ফাল্গুনী পাত্র, তাপস মিত্র প্রমুখ। যে ক’জন কর্মী এসেছিলেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে তাদেরও ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটে। শেষে মঞ্চে উঠে আবহাওয়া খারাপের কথা জানিয়ে এদিনের সভা ‘বাতিল’ বলে ঘোষণা করেন প্রার্থী নিজেই। এরপরেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন উপস্থিত কর্মীরা। তাঁরা ঘিরে ধরেন বারাসত সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতিকে। তাঁর সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান সাধারণ কর্মীরা। কেউ কেউ তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। স্বপন বলেন, ‘খারাপ আবহাওয়ার কারণে নাড্ডাজির কপ্টার নামার অসুবিধার জন্য সভা বাতিল হয়।’ এ নিয়ে বারাসতের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, ‘এটা লজ্জার! বিজেপির প্রতি সাধারণ মানুষের মোহ যে ক্রমশ ভঙ্গ হচ্ছে তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।’
অন্যদিকে, কলকাতায় গার্ডেনরিচ এলাকায় জনসভা করার কথা ছিল নাড্ডার। কলকাতা দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরীর সমর্থনে এই সভাতেও অনুপস্থিত থাকলেন বিজেপির সভাপতি। বিজেপি সূত্রে খবর, দেড়টায় সভার সময় ছিল। সভাস্থলে কর্মী-সমর্থকরা এসেও গিয়েছিলেন। তার কয়েক ঘণ্টা বাদে খবর আসে নাড্ডা আসছেন না। এর ফলে বুধবার কোনও প্রচারই করতে পারলেন না দেবশ্রীদেবী। সূত্রের খবর, ঢাকুরিয়ায় পার্টি অফিসে বসেই নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। এদিকে, বড়বাজারেও কলকাতা উত্তরের বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের সমর্থনে সভা করার কথা ছিল জে পি নাড্ডার। স্বভাবতই সেখানেও উপস্থিত ছিলেন না তিনি। তবে তাপস রায় নিজে সভা করেন।