আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সলপ এলাকার একটি ঝুপড়িতে থাকেন ওই বৃদ্ধা। প্রতিদিনই তিনি গোরু নিয়ে যান পাকুড়িয়া রেল ব্রিজের নীচে। সেখানে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখেন গোরু। সারাদিন ওই চত্বরে ঘাস খাওয়ার পর রাতের দিকে তাকে ঘরে নিয়ে আসেন বৃদ্ধা। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ তিনি ব্রিজের নীচে গিয়েছিলেন গোরুকে ঘরে নিয়ে আসার জন্য। পুলিসের দাবি, রেললাইন ধরে হেঁটে আসার সময় তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এক যুবক। তাঁকে জাপটে পাশের ঝোপে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে সে। বৃদ্ধার চিৎকারে আশপাশ থেকে কয়েকজন চলে আসায় যুবক পালিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, ওই যুবক নেশাগ্রস্ত। রেললাইনের পাশে বসে শুকনো নেশা করছিল সে। তবে স্থানীয় এক মহিলা বলেন, বৃদ্ধাকে দেখে তাঁর মনে হয়েছে, তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তিনি ওই অবস্থায় কোনওমতে টলতে টলতে আমাদের ঘরের কাছে এসে একটি পোলের নীচে বসে পড়েছিলেন। আমাদের দেখতে পেয়ে বাঁচাও বাঁচাও করে আর্তনাদ করেন। তিনি যেখানে বসেছিলেন সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল রক্ত। আমরা তারপর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। পুলিসকেও সে কথা জানিয়েছি। স্থানীয় বাসিন্দা নিখিলেশ খাঁ বলেন, রাতে অন্য এলাকা থেকে বহু যুবক এখানে রেললাইনের ধারে এসে নেশা করে। মদ-গাঁজার আসর বসায়। অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। এ নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার।
এদিকে, ডোমজুড় থানা এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার মামলা রুজু করেছে। যদিও পুলিস শনিবার রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পুলিসের এক কর্তার দাবি, লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সবদিক খতিয়ে দেখেই তদন্ত করা হচ্ছে। আমরা ধর্ষণের চেষ্টার মামলার রুজু করেছি। আক্রান্ত মহিলা কিছুটা সুস্থ হলে তাঁর বয়ান নেওয়া হবে।