কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, সেকেন্দ্রা গ্রামপঞ্চায়েতের ইমামনগরের দুই যুবক জমি কেনাবেচার কারবার করে। সম্পর্কে তারা ভায়রাভাই। দু’জনের মধ্যে একটি জমির রেজিস্ট্রির কথা পাকা হয়। সোমবার সেই জমি রেজিস্ট্রি হওয়ার কথা ছিল। বড় ভায়রা পরে সেই জমি বিক্রি করতে অস্বীকার করে। এদিকে অপর ভায়রা জমি রেজিস্ট্রির জন্য অর্থ সংগ্রহ থেকে যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়। এমন অবস্থায় এক পক্ষ জমি বিক্রি করতে অস্বীকার করায় নবকান্তপুর মোড়ে বচসা শুরু হয়। বচসা থেকে শুরু হয় হাতাহাতি। স্থানীয় লোকজন তাদের গণ্ডগোল থামাতে গেলে পুলিস গ্রামবাসীর উপর লাঠি চালায় বলে এলাকাবাসীর দাবী। তাতেই গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এদিকে এক পক্ষের এক যুবককে দোকানের মধ্যে আটকে রেখে সাটার বন্ধ করে দেয় জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে জঙ্গিপুর ফাঁড়ির পুলিস। যুবককে উদ্ধার করতে এলে পুলিসের গাড়িতে হামলা চালায় গ্রামবাসী। গ্রামবাসীর আক্রমণে পড়ে পুলিস সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ফাঁড়ির এএসআই কিশোর ঘোষ ঘটনাস্থলে যান। উত্তেজিত জনতা ওই এএসআইকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে। তাতে ওই পুলিস কর্মীর মাথা ফেটে যায়।
পরে জঙ্গিপুরের এসডিপিওর প্রবীর মণ্ডলের নেতৃত্বে বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিস ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের মধ্যে চারজন মহিলাও রয়েছে। অন্তত দশখানা বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। স্থানীয় গৃহবধূ হামিলা বিবি বলেন, আমাদের সঙ্গে কোনও ঝামেলা হয়নি। আমাদের ছেলেরাও এরসঙ্গে জড়িত নয়। অথচ পুলিস আমার স্বামীকে ধরেছে।
এ প্রসঙ্গে মিঠিপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান উমর শেখ বলেন, গণ্ডগোলের বিষয়টি পরে জেনেছি। পুলিসের উপর আক্রমণ চালানোটা ঠিক হয়নি। যারা এলাকায় অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করেছে, তাদের সমর্থন করি না। পুলিস অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। • নিজস্ব চিত্র