হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
গত সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া নির্দেশের পর অবশেষে সরকারি জমি পুনরুদ্ধারে নেমেছে ভূমিদপ্তর। এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরের পাশে সরকারি একটি জমি দখলমুক্ত করতে বোর্ড লাগায় নকশালবাড়ি ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর। নকশালবাড়ি ব্লকের বাগডোগরায় প্রায় আড়াই একর জমি উদ্ধার করেন দপ্তরের আধিকারিকরা। বাগডোগরা বিমানবন্দরের ঠিক পিছনেই দক্ষিণ বাগডোগরা মৌজার ভুট্টাবাড়িতে প্রায় ২.৫৭ একর জমির চারপাশ খতিয়ানভুক্ত হলেও মাঝের একটি অংশ খাসজমি হিসেবে চিহ্নিত ছিল। ভূমিদপ্তরের কর্মীরা জমিটিতে সাইনবোর্ড লাগিয়ে সরকারি মালিকাধীন বলে জানিয়ে দেন। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে চাষবাস করে আসা জমিটি বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায়। বাগডোগরা বিমানবন্দরের ঠিক পিছনেই জমিটি হওয়ায় জমির বাজার মূল্য দিন দিন বাড়ছিল। সম্প্রতি জমি মাফিয়ারা নিজেরাই একটি রাস্তা বানিয়ে প্লটিং করে জমি বিক্রি করা শুরু করে দেয়। ফাঁকা এবং নির্জন জায়গায় বেশ কয়েকটি বড় বাড়িও নির্মাণ করা হয়েছে। যদিও এসব আদৌ খাসজমি কি না সেই ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি ভূমিদপ্তরের আধিকারিকরা। এদিন জরিপের সময় উপস্থিত ছিলেন নকশালবাড়ি ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের রেভিনিউ অফিসার নর্দন ভুটিয়া, বাগডোগরার আরআই প্রিয়া সুব্বা।
নকশালবাড়ি ব্লক ভূমিদপ্তরের বাগডোগরার দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক প্রিয়া সুব্বা বলেন, জমিটি যদি ব্যক্তি মালিকানাধীন বলে কেউ দাবি করেন তবে দপ্তরে এসে উপযুক্ত নথি দেখাতে হবে। আপাতত সরকারি জমি বলে নিজেদের দখলে নেওয়া হল।
অন্যদিকে, ভূমিদপ্তরের আধিকারিকরা জমিতে আসতেই পুর্সা ওরাওঁ নামে এক ব্যক্তি এসে জমিটি তাঁর মালিকনা বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, জন্ম থেকে জমিটি আমাদের। দীর্ঘদিন ধরে চাষবাস করে আসছি। সরকার জমি নিয়ে নিলে যাব কোথায়। যদিও ভূমিদপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি জমির কোনও নথি দেখাতে পারেননি। অন্যদিকে, এদিনই মাটিগাড়া ব্লকের রঙ্গিয়া, আঠারোখাই গ্রাম পঞ্চায়েতের বৈরাতিশাল, শিবমন্দিরে এসডিও অফিসের জন্য চিহ্নিত জমিতে সরকারি জমি সংক্রান্ত বোর্ড লাগানো হয়েছে।