সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
সায়নীর সঙ্গে বারুইপুরে প্রচারে ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ তথা এলাকার বিধায়ক বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন, বারুইপুরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের অলিগলিতে টোটো চেপে প্রচার শুরু করেন সায়নী। বেহারাপাড়া এলাকায় এক গৃহবধূ সায়নীকে ঠাণ্ডা জল এনে দেন। সাংসদ হওয়ার পর তিনি যাতে এখানে আসেন, তার জন্য সায়নীকে নেমন্তন্নও করে রাখেন তিনি। সায়নী বলেন, ‘মানুষ এত আপন করে আমায় কাছে টেনে নিচ্ছে যে আমি অভিভূত। এর ফল ফলবেই ব্যালটে।’ ১২ নম্বর ওয়ার্ড লাগোয়া ১ নম্বর ওয়ার্ড। সেই ওয়ার্ডেও প্রচার সেরে নেন সায়নী। এরপর সায়নীর প্রচার শুরু হয় বারুইপুরের শিখরবালি ১ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায়। সেখানে সায়নী যেতেই এক দল মহিলা তাঁকে স্বাগত জানান। সেখানে এক কর্মীসভায় বক্তব্য রাখেন সায়নী। সন্ধ্যায় বারুইপুরের মল্লিকপুরের পেটুয়া এলাকায় এক পথসভায় যোগ দেন তৃণমূল প্রার্থী। সেখানে বলেন, ‘সিপিএমকে ভোট দেওয়া মানে ভোট নষ্ট করা। এই ভোট মোদিকে বিদায় দেওয়ার ভোট। আমাকে একবার সুযোগ দিন মানুষের পাশে থাকার।’ এদিন সকালে সৃজন সোনারপুর দক্ষিণে প্রচার করেন। তারপর বিকেলে এসএফআইয়ের ডাকে সৃজনের মিছিল শেষে জনসভা হয় গড়িয়াতে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র, অভিনেতা বাদশা মৈত্র, রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীরামপুরের সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর, এসএফআইয়ের সভাপতি ভি পি শানু, এসএফআইয়ের সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস প্রমুখ। সৃজন বলেন, ‘তৃণমূল ভয় পেয়েছে স্পষ্ট। আমাকে পঞ্চসায়রে তৃণমূল আটকেছে। যত ভোট এগবে, এরা হিন্দু-মুসলমান করবে। আমাদের রুজি-রুটির কথা বলতে হবে।’ এরপর গাঙ্গুলিবাগান, পালবাজারেও সভা করেন দীপ্সিতা। এদিকে, বাঘা যতীন থেকে একই সময় শোভাযাত্রা করেন বিজেপি প্রার্থী। হুড খোলা জিপে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা ও রাহুল সিনহাকে নিয়ে তিনি প্রচার চালান। এরপর রানিকুঠি মোড়ে জনসভা করেন তিনি। বাঘা যতীন থেকে মিছিল, গড়িয়া থেকে মিছিল, রানিকুঠি, গাঙ্গুলিবাগান, পালবাজারে সন্ধ্যায় সভা হওয়ার ফলে সার্বিকভাবে ব্যাহত হয় যান এই অঞ্চলের যান চলাচল। নাকাল হতে হয় নিত্যযাত্রী থেকে সাধারণ পথচারীদের।