Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদির ভোট-দিদির ভোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টি পোর্তো আলেগ্রেতে ক্ষমতায় আসে ১৯৯০ সালে। তখন শহরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষই ঝুপড়িবাসী। রাস্তা নেই, জল নেই। বিদ্যুৎ বলে একটা বস্তু আছে বটে, কিন্তু তার সংযোগ নেই। বাড়িতে শৌচাগার বা নিকাশি ব্যবস্থাও নেই। পোর্তো আলেগ্রের অধিকাংশই নিরক্ষর। ওয়ার্কার্স পার্টি এমন অবস্থায় একটা পরীক্ষা শুরু করল। তারা সিদ্ধান্ত নিল, পুরসভার ঠান্ডা ঘরে বসে বাজেট হবে না। রাস্তায় নামতে হবে। পোর্তো আলেগ্রেকে তারা কয়েকটা ছোট ছোট এলাকায় ভেঙে ফেলল। নির্দিষ্ট একটা পয়েন্ট ঠিক করা হল। এলাকার সাধারণ মানুষ সেখানে আসবে, তাদের প্রয়োজনের কথা জানাবে, আর তার উপর ভিত্তি করে তৈরি হবে এলাকার জন্য বাজেট। মানুষের প্রয়োজন মানুষের থেকেই সরাসরি জেনে নিয়ে সরকার ঠিক করবে, কোন খাতে, কোন পরিষেবায় টাকা খরচ করতে হবে। অর্থাৎ, নাগরিককে আর সরকারের দরজায় গিয়ে হত্যে দিয়ে পড়ে থাকতে হবে না। পরিষেবা আসবে মানুষের কাছে। মানুষের দরজায়। পোর্তো আলেগ্রেতে এই ব্যবস্থার নাম কী ছিল, জানা নেই। কিন্তু আমাদের এই বাংলায় এমন পরিষেবার নাম? দুয়ারে সরকার।
সদ্য একপ্রস্থ ভোট শেষ হল। আড়াই মাসের মহাযজ্ঞ, কর্মহীনতা, সরকারি কাজকর্ম বন্ধ, রাজনীতির নামে কাদা ছোড়াছুড়ি, সংখ্যার লড়াই... এসব এখন ভারতের গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। আমরা আবার মারাত্মক রাজনীতি সচেতন। সেনায় কাজ করবে বলে ছেলেটা চার বছর ধরে নিজেকে তৈরি করার পর অগ্নিবীর নামক এক প্রহসনের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে, সে নিয়ে আমরা আলোচনা করি না। মেয়েটা বিয়ে হয়ে উত্তরপ্রদেশের ছোট একটা শহরে গিয়েছে। আর গিয়েই দেখেছে, এলাকার লোকজন বাড়ি এসে ঠিক করে দিচ্ছে, সে কী খাবে, আর কী খাবে না। এটাও আমাদের আলোচ্য বিষয়বস্তু নয়। আমাদের আড্ডা বা বৈঠকের অভিমুখ কী? ভোট এবং ভোটের ইস্যু। পরিষেবা নয়। শ্রেণি বা সমাজের বাস্তবিক উন্নতি নয়। অথচ সেটাই একজন সুনাগরিকের হওয়া উচিত। দল বা রাজনীতির দাঁড়িপাল্লায় না তুলে শুধু পরিষেবাকে মাপকাঠি ধরলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধারেকাছে পা ফেলা মুশকিল। তারপরও তাহলে বিজেপি কীভাবে ১২টি আসন বাংলায় জিতল? 
বাঁকুড়ার ছাতনায় মুদি দোকান চালান শ্যামল সেনাপতি। ভোটের আগে ওই এলাকায় গিয়ে কথা হচ্ছিল তাঁর সঙ্গে। আলোচনা যে বাঁকেই নিয়ে যাওয়া হোক না কেন, অবস্থান থেকে তিনি কিছুতেই নড়েন না। তাঁর কথায়, ‘এটা তো মোদির ভোট।’ অর্থাৎ, তাঁর মতো সাধারণ মানুষের চিন্তাভাবনাও এবার একদিকে বয়েছে—নরেন্দ্র মোদি। মোদির হার-জিতটাই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। কী বলা যায় একে? বিজেপির সাফল্য? এর উপর ভর করেই কি ১২টি আসন লাভ? আসলে দু’টি অঙ্ক এখানে কাজ করেছে। প্রথমত, বহু মানুষই প্রধান বিরোধী হিসেবে কংগ্রেসকে ভরসা করতে পারেনি। মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও সরকারে তাদের ভবিষ্যৎ কতটা মজবুত হবে, সে নিয়ে সংশয় ছিল অনেকের। তার কারণ, কয়েকটি রাজ্যে জোট শরিকরাই নিজেদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। অর্থাৎ, মতবিরোধ ছিল। তার উপর বিরোধী জোট ক্ষমতায় এলে যদি রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে যান, সেই ছবিটাও মোদির বিকল্প হিসেবে মেনে নিতে পারেননি অনেক ভোটার। তাই প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া সত্ত্বেও বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে পুরোপুরি ধস নামেনি। আর বহু চেষ্টা সত্ত্বেও কংগ্রেস ১০০ পেরতে পারেনি। দ্বিতীয়ত, আরএসএস। সংসদীয় রাজনীতিতে তাদের অস্ত্র ভারতীয় জনতা পার্টি নামক দলের নেতৃত্বের সঙ্গে যতই মতবিরোধ থাকুক না কেন, ভোটের সময় ফিল্ড ওয়ার্কটা তারাই করে থাকে। অন্তত যে কেন্দ্রগুলিতে সঙ্ঘের পছন্দের প্রার্থী টিকিট পেয়েছে, সেই সব আসনে তো বটেই। বাংলার বেশ কয়েকটি জেলার ঘরে ঘরে গিয়ে সঙ্ঘের ‘সেবক’রা বুঝিয়েছেন, রাজ্য সরকারের থেকে পরিষেবা তো আপনাদের প্রাপ্য! কিন্তু তাতে কি কাজ মিলেছে? লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বার্ধক্য ভাতা পেলে নেবেন না কেন? ওটা আপনার অধিকার। কিন্তু কাজটাও আপনার প্রাপ্য। মানুষ শুনেছে, অনেকেই বুঝেছে, অনেকে তাতে ভেসে গিয়েছে। তারা প্রশ্ন করেনি, একই বিষয় তো কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ১০ বছরে তারা আমাদের জন্য কিছু করেনি কেন? 
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মোদির ভোট এবং সঙ্ঘের উদ্যোগ সত্ত্বেও কিন্তু উত্তরবঙ্গের প্রায় সব আসনে বিজেপির দাপট কমেছে। বেড়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিষেবার প্রভাব। তা সে চা-বাগান হোক বা আদিবাসী এলাকা—উত্তরবঙ্গের ছ’টি আসন কিন্তু হেলায় জেতেনি বিজেপি। উপরন্তু দক্ষিণের যে আসনগুলিতে তারা জয় পেয়েছে, সেই সবেও তাদের জোর লড়াই হয়েছে মমতার পরিষেবার সঙ্গে। বেশ কয়েকটি আসনে কান ঘেঁষে বেরিয়ে গিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। ওই কেন্দ্রগুলিতে তৃণমূলের সংগঠন যদি আরও মজবুত হতো, কিংবা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফ্যাক্টর হয়ে না দাঁড়াত, গেরুয়া ব্রিগেডের আট পেরনো মুশকিল ছিল। তাহলে একে মোদির সাফল্য বলব? নাকি ব্যর্থতা? লোকসভা তো মোদির ভোট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব আসন পেলেও একক গরিষ্ঠ হতে পারতেন না। জোটের উপরই আস্থা রাখতে হতো। অন্যদিকে একটি করে আসনে জয় মানে মোদির আরও একটি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিকে এগিয়ে যাওয়া। তার মানে একটা বিষয় স্পষ্ট, বাংলাতেও দিনের শেষে ‘মোদির ভোট’ ব্যাখ্যাটা কাজে আসেনি। আজ ফল বেরনোর পর মরিয়া হয়ে কয়েকটি বিষয়ের উপর জোর দিচ্ছে বিজেপি। তার মধ্যে প্রধান হল, বিধানসভা আসনের নিরিখে ৮৮টিতে জয় পেয়েছে তারা। আর শহর তথা পুর এলাকায় তৃণমূলের লিড প্রায় সর্বত্র কমেছে। এই উদ্বাহু প্রচারের কারণ কী? ৮৮ বিধানসভা আসন সামনে খাড়া করেও তো বাংলায় নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়া যাবে না। আবার এই একই অঙ্কে তৃণমূলের ১৯৪ আসন প্রাপ্তির গরিমাও কিন্তু ক্ষুণ্ণ হবে না। তাহলে হঠাৎ কেন এই মরিয়া চেষ্টা। উত্তর একটাই—২০২৬। 
আর দু’বছরের মধ্যেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। এর মাঝে আরও একটি মাইলস্টোন গেরুয়া শিবিরের জন্য অপেক্ষা করছে। আগামী বছর সঙ্ঘের শতবর্ষ। তাই চব্বিশের ভোটে বিজেপির জিতে সরকারে ফেরাটা আরএসএসের জন্য খুব দরকারি ছিল। ২৪০’এ নরেন্দ্র মোদির থমকে যাওয়াটা কিন্তু সঙ্ঘের জন্য শাপে বরই হয়েছে। এই ফলাফলে সবার আগে অপমৃত্যু ঘটেছে ব্যক্তিসর্বস্ব হয়ে ওঠা বিজেপির। এবং আরএসএস ফিরে এসেছে স্বমহিমায়। ১০০ বছর ধরে বেশ কিছু এজেন্ডা মনের মধ্যে পুষে রেখেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। তার মধ্যে যেমন রয়েছে হিন্দুরাষ্ট্রের স্বপ্ন, তেমনই আছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। বিজেপি সরকারে থাকলেও সেই প্রশাসনে যদি সঙ্ঘের প্রখর ভূমিকা না থাকে, এমন এজেন্ডা কখনও সফল হবে না। পথ মসৃণ করেছে ২৪০। নতুন সরকার গঠনের পর কয়েকটি সিদ্ধান্তে নজর করা যাক—১) জনকল্যাণমূলক যাবতীয় মন্ত্রক তুলে দেওয়া হয়েছে আরএসএস ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতাদের হাতে। যেমন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক, স্বাস্থ্য, পরিবহণ। ২) মোহন ভাগবত থেকে ইন্দ্রেশ কুমার, সঙ্ঘের প্রথম সারির সব নেতা খড়্গহস্ত হয়ে রয়েছেন নরেন্দ্র মোদির ঔদ্ধত্য ও অহঙ্কারের বিরুদ্ধে। ৩) দলীয় সংগঠনের ব্যাপারে সরাসরি বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে, অনেক হয়েছে... এবার সঙ্ঘই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সোজা কথায়, তৃতীয়বার এনডিএ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর খোলস ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছে আরএসএস। আর এই নিয়ন্ত্রণ শুধু কেন্দ্রে নয়, রাজ্যগুলির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হচ্ছে। বাংলায় রাজ্য সভাপতি পদে সুকান্ত মজুমদারের বিদায় সময়ের অপেক্ষা। তাঁকে দু’টি রাষ্ট্রমন্ত্রক দিয়ে মোটামুটি পুনর্বাসনের ব্যবস্থা পাকা হয়ে গিয়েছে। সুকান্তবাবুর জায়গায় এবার এমন কাউকে সঙ্ঘ চাইছে, যিনি সরাসরি নাগপুর হেড কোয়ার্টারের সঙ্গে তালমেল রেখে চলবেন। আবার একটু দাপুটেও হবেন। এই নিয়োগের কাজটি কাগজে কলমে করবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি। অর্থাৎ এই মুহূর্তে জে পি নাড্ডা যে পোস্টে আছেন। কিন্তু ঘটনাচক্রে নাড্ডার বদলিও আসন্ন। দেখার বিষয় হল, নাড্ডার জায়গায় এবার কে বসতে চলেছেন। কারণ, তাঁর দাপট অনুযায়ী অন্য রাজ্যগুলির সংগঠনও নিয়ন্ত্রিত হবে। আর সেখানে অবশ্যই নরেন্দ্র মোদির কোনও ইয়েস ম্যানকে চাইছে না সঙ্ঘ। পাশাপাশি বাংলায় সাধারণ সম্পাদক পদে যাঁকে বসানো হবে, তিনি তাঁর টিম নিজের মতো তৈরি করে নেবেন। অর্থাৎ সহ সভাপতি, জেলা, মণ্ডল, শক্তিকেন্দ্র, বুথ এবং অন্যান্যদের নাম প্রস্তাব করবেন তিনি। তবে সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) পদে বদল কিন্তু সভাপতি করতে পারবেন না। এখানেই আর একবার শক্তিশালী হয়ে উঠছে সঙ্ঘ। দিল্লির দরবারে যা শোনা যাচ্ছে, এই পদের অধুনা অধিকারী অমিতাভ চক্রবর্তীকেও অন্য রাজ্যের দায়িত্ব দিয়ে সরিয়ে দেবেন মোহন ভাগবত। তাঁর জায়গায় কে আসবেন, তা নিয়ে এই মুহূর্তে তুমুল জল্পনা চলছে। তবে একটা বিষয় পরিষ্কার—বিরোধী দলনেতা এবং সাধারণ সম্পাদকের (সংগঠন) মিলিজুলি ভেঙে দেওয়ার দিকেই এগচ্ছে আরএসএস। পরিষদীয় দলের নেতাকে বলা হচ্ছে, তুমি তোমার কাজ নিয়ে থাকো। সংগঠনের ব্যাপারে তোমাকে মাথা গলাতে হবে না। পাশাপাশি প্রার্থী ঠিক করার ব্যাপারেও তোমার ডানা ছেঁটে দেওয়া হচ্ছে। ওই সবটাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবং সঙ্ঘ ঠিক করবে। ফলে বঙ্গ বিজেপিতে যে তিনটি গোষ্ঠী তৈরি হয়ে গিয়েছিল, ২০২৬ ভোটের আগে সেটা উপড়ে ফেলতে চাইছে সঙ্ঘ। সেক্ষেত্রে বাংলার আসন্ন বিধানসভা ভোটেও কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী পদে বিজেপির অটোমেটিক চয়েজ বলে কেউ থাকবে না। আরএসএস জানে, বাংলার গেরুয়াকরণের স্বপ্ন সফল করতে গেলে পায়ের নীচে শক্ত মাটি চাই। সেটা সংগঠনের। দলবদলুদের অ্যাম্বিশনের ডানায় চেপে শুধু ভরাডুবিই সম্ভব, মানুষের মনে জায়গা করা নয়।
ও হ্যাঁ, বলা হয়নি যে, পোর্তো আলেগ্রেতে ১৫ বছরের মধ্যে বড়সড় বদল এসে গিয়েছিল। কেমন সেই বদল? বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্ট বলছে, দেড় দশকের মধ্যে ওখানে নিরক্ষরের সংখ্যা শূন্য, ৯৮ শতাংশ বাড়িতে পানীয় জল, ৮৭ শতাংশ বাড়িতে নিকাশি ব্যবস্থা। সাফল্যের কৃতিত্ব? শুধুমাত্র দুয়ারে সরকারের। ব্রাজিল দেখিয়েছিল, পরিষেবা মানুষের কাছে পৌঁছলে ভোট চাইতে ধর্ম, হিংসা, রাজনীতির প্রয়োজন হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কিন্তু সেটাই প্রমাণ করেছেন। তাই ২৬ সালের দিকে নজর বিজেপির থাকতেই পারে, ভোটটা কিন্তু মোদির হবে না। ২০২৬ দিদির ভোট।
18th  June, 2024
জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।
বিশদ

মোদির চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী!
মৃণালকান্তি দাস

জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার শেষ দিকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। নেহরু তাঁকে একবার অসমে পাঠাতে চাইলেন। সফরের সবকিছু বুঝে নিয়ে শাস্ত্রী নেহরুর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। নেহরুর হঠাৎ খেয়াল হল, অসমে তো এখন হাড় কাঁপানো শীত।
বিশদ

20th  June, 2024
বাংলা দখলের গেরুয়া স্বপ্ন, লক্ষ্য অতীত
হারাধন চৌধুরী

সমস্যা ভিতর থেকে বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সাতচল্লিশে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে পূর্ববঙ্গের মানুষের ভূমিকা দেশের বাকি অংশের তুলনায় কম ছিল না। সকলেই লড়াই করেছিলেন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে। সে-বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্য রাত্রি তাঁদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল।
বিশদ

19th  June, 2024
প্রত্যাখ্যাত নীতিতেই ফের আস্থা মোদির
পি চিদম্বরম

গত ৯ জুন যে নতুন সরকার শপথ নিল, তার গল্পটি অল্প কয়েকটি শব্দে বেঁধে ফেলা যেতে পারে: মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি বেছে নিয়েছেন তাঁর ধারাবাহিকতা। 
বিশদ

17th  June, 2024
সরকার গড়েও মুষড়ে কেন বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জয়, টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার অতুল কীর্তি, তবু বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এত ডিফেন্সিভ কেন? শপথ নিয়েও শাসকের অন্দরে উল্লাস নেই, স্বতঃস্ফূর্ত হাসিটুকুও উধাও, উপর থেকে নিচুস্তর পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত আত্মরক্ষায়। বিশদ

16th  June, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

15th  June, 2024
মানুষকে অপমান করা হচ্ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা আউশগ্রামের প্রেমগঞ্জ অথবা বাবুইসোল কিংবা প্রতাপপুরে থাকি। সকাল ৬টার মধ্যে বাড়ির সব কাজ সেরে জঙ্গলে চলে যাই। খেজুর পাতা আনতে। ব্যাপারটা কঠিন। সেই পাতা রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। ঝাঁটা তৈরি হবে। বিশদ

14th  June, 2024
গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিনোদন!
মৃণালকান্তি দাস

চার্চিল নাকি বলেছিলেন, ‘পাবলিক ওপিনিয়ন’ বলে কিছু হয় না, পুরোটাই ‘পাবলিশড ওপিনিয়ন’! বিশদ

13th  June, 2024
পরমাত্মা এখন পরজীবী, প্রণত শরিক পদে
সন্দীপন বিশ্বাস

হে পরমাত্মা, হে নন বায়োলজিক্যাল প্রাণ, ধ্যানের খেলা যখন ভাঙল, তখন আপনি উঠে দেখলেন আপনার একচ্ছত্র সাম্রাজ্য চুরমার, আপনার শৌর্যের ঢক্কানিনাদ মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। দীর্ঘ ভোটপর্বের সমাপ্তি হয়েছে। আপনিও শপথ নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিশদ

12th  June, 2024
 ভোট, শেয়ার বাজার এবং কিছু শিক্ষা
 শান্তনু দত্তগুপ্ত

অধৈর্যদের টাকা ধৈর্যশীলদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম কী? উত্তরটা দিয়ে গিয়েছেন ওয়ারেন 
বাফে—স্টক মার্কেট। তাঁর কথাটা বাজার দুনিয়ায় প্রায় মিথ হয়ে গিয়েছে। তা সে মার্কিন মুলুক হোক, বা ভারত। নিউটনের তৃতীয় সূত্রের মতো জীবনের নানা ওঠাপড়ার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে বাফের বিশ্লেষণ।
বিশদ

11th  June, 2024
নয়া অবতারে চ্যালেঞ্জের মুখে মোদি
পি চিদম্বরম

‘সমগ্র পৃথিবীটাই একটা রঙ্গমঞ্চ .../ এবং সমস্ত নরনারীই নিছক অভিনয় শিল্পী।/ নিজ নিজ ভূমিকা অনুসারে মঞ্চে তাদের সকলেরই প্রবেশ এবং প্রস্থান ঘটে;/ এমনকী, একই মানুষকে প্রয়োজনমতো অনেক ভূমিকার চিত্রায়ণ করতে হয়।’ বিশদ

10th  June, 2024
শরিকি মেহফিলে এবার মুজরো কার?
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছেন, এটা এখন সারা বিশ্বের জানা। চোখ ধাঁধানো মন্দির গড়েও উত্তরপ্রদেশে বিপর্যস্ত হয়েছেন, তাও অজানা নয়। কিন্তু যেটা আজানা, তা হচ্ছে জোট সরকারে দ্রুত রং বদলে ফেলা শরিকদের মেহফিলে ‘বিশ্বগুরু’র ‘মুজরো’টা শুরু হতে কতটা সময় লাগবে? বিশদ

09th  June, 2024
একনজরে
জুয়ার আসরে টাকা হেরেও জেতার আশা ছাড়তে পারেনি। অতিরিক্ত টাকা জেতার আশায় প্রতিবেশী যুবকের কাছে ধার নিয়েছিল ৮০০ টাকা। বেশ কয়েকদিন ধরে তাগাদা করেও সেই টাকা কিছুতেই দিচ্ছিল না। এনিয়ে বচসাও হয়। ...

স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য রান্না হল না। খিচুরি বা ভাতের বদলে তাদের দেওয়া হল ক্রিম বিস্কুট। যদিও বিস্কুট দেওয়ার কোনও নিয়ম নেই। বৃহস্পতিবার মালদহ সার্কেলের কাদিরপুর নিউ জিএসএফ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই অভিযোগ উঠেছে ...

বয়স মাত্র ২৪। কিন্তু, চুল সাদা করে বড় দাঁড়ি লাগিয়ে বিমানে ওঠার ‘ছক’ কষেছিল এক যুবক। কিন্তু, কর্মরত সিআইএসএফ জওয়ানদের তত্পরতায় ভেস্তে গিয়েছে তার পরিকল্পনা। ...

একটি ভুয়ো বিজ্ঞপ্তি ভাইরাল হওয়ায় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়্গপুর ডিভিশনের নিত্যযাত্রীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব সংগীত দিবস
বিশ্ব যোগব্যায়াম দিবস
১৯০৫: ফরাসি সাহিত্যিক জাঁ পল সার্ত্রের জন্ম
১৯৪০: আর এস এসের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের মৃত্যু
১৯৪৫: কবি নির্মলেন্দু গুণের জন্ম
১৯৫৩: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর জন্ম
১৯৫৫: প্রাক্তন ফুটবলার মিশেল প্লাতিনির জন্ম
১৯৮২: ডিউক অব কেমব্রিজ প্রিন্স উইলিয়ামের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭৮ টাকা ৮৪.৫২ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৫২ টাকা ১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো ৮৮.১০ টাকা ৯১.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ আষাঢ়, ১৪৩১, শুক্রবার, ২১ জুন, ২০২৪। চতুর্দ্দশী ৬/২৮ দিবা ৭/৩২। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র ৩৩/০ অপরাহ্ন ৬/১৯। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৪০, সূর্যাস্ত ৬/১৯/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ১২/৫ গতে ২/৪৫ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৩ গতে ২/৫০ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৩ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৫০ গতে ৬/৪৪ মধ্যে পুনঃ ৯/২৫ গতে ১০/১৮ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৭ গতে ১১/৩৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫৯ গতে ১০/১৯ মধ্যে। 
৬ আষাঢ়, ১৪৩১, শুক্রবার, ২১ জুন, ২০২৪। চতুর্দ্দশী দিবা ৬/৫০। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৬/২৯। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ১২/৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ মধ্যে ও ১২/৪৬ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৬ গতে ৬/৪৯ মধ্যে ও ৯/২৯ গতে ১০/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৭ গতে ১১/৩৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/১ গতে ১০/২০ মধ্যে। 
১৪ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি-২০ বিশ্বকাপ: ইংল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতল দঃ আফ্রিকা

11:36:31 PM

ইউরো কাপ: পোল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারাল অস্ট্রিয়া

11:31:03 PM

ইউরো কাপ: পোল্যান্ড ১-অস্ট্রিয়া ৩ (৭৮ মিনিট)

11:15:17 PM

ইউরো কাপ: পোল্যান্ড ১-অস্ট্রিয়া ২ (৬৭ মিনিট)

11:04:07 PM

ইউরো কাপ: পোল্যান্ড ১-অস্ট্রিয়া ১ (হাফটাইম)

10:25:03 PM

ইউরো কাপ: পোল্যান্ড ১-অস্ট্রিয়া ১ (৩১ মিনিট)

10:09:10 PM