Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। একথা ঠিক, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তৃণমূল কংগ্রেসকে ব্যাপক ডিভিডেন্ট দিয়েছে। কিন্তু তাতে কি মোদি সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে গ্রাম বাংলার ক্ষোভ লঘু হয়ে যায়? মোটেই না। তাই এই রায় যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পরিষেবার স্বীকৃতি, তেমনই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বাংলার অনাস্থাও।
৪ জুনের পর বিজেপি, সিপিএম সহ সমস্ত বিরোধী দল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে লেটার মার্কস দিচ্ছে। কিন্তু তাতে কি বিন্দুমাত্র কমে ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের গুরুত্ব? মমতার এই প্রকল্প বাংলার চাষিদের জুগিয়েছে ভরসা। প্রান্তিক কৃষকদের বাঁচিয়েছে মহাজনী ঋণের খপ্পর থেকে। যাঁরা এই সুযোগ পান তাঁরা প্রত্যেকে না হোক, একটা বড় অংশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘কৃষকদরদি’ বলেই মনে করে। তাই চাষিদের মধ্যে মমতার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অবশ্যই একটা বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেছে। কিন্তু তারজন্য বাংলার প্রতি মোদি সরকারের বঞ্চনাকে খাটো করে দেখা ঠিক হবে না। ১০০ দিনের কাজ বন্ধ করে বিজেপি সরকার গরিবের পেটে লাথি মেরেছে। দফায় দফায় অনুরোধ সত্ত্বেও চিড়ে ভেজেনি। আবাস যোজনার টাকা আটকে কেড়ে নিয়েছে গরিবের মাথার উপর ছাদ। বাংলা যত বেশি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার হয়েছে বঙ্গ বিজেপির উল্লাস চড়েছে ততই। এবারের নির্বাচনে সেই অবিচারের জবাব দিয়েছে বাংলা। একেবারে কড়ায়গন্ডায় হিসেব চুকিয়ে দিয়েছে। এরপরেও যদি মোদির সরকার বাংলার প্রাপ্য না মেটায়, তাহলে ছাব্বিশে বঙ্গ বিজেপির জন্য অপেক্ষা করছে আরও বড় থাপ্পড়।
নির্বাচনের আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সৌজন্যে তৃণমূল এবার প্রচুর মহিলা ভোট পেতে চলেছে। বহু বামপন্থী এবং বিজেপি সমর্থকও জানিয়ে ছিলেন, তাঁরা কট্টর মমতা বিরোধী। এতদিন গোটা পরিবার এক সুরে কথা বলেছে। কিন্তু এবার স্ত্রী ও মায়ের ভোট যাবে তৃণমূলে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকায় সংসারের জরুরি প্রয়োজন মেটানোর পাশাপাশি পূরণ করতে পারছে ছোটখাটো শখ। 
ফলে এবার পরিবারের সব ভোট আর এক জায়গায় যাবে না। উত্তরবঙ্গের এক বিজেপি নেতা একান্ত আলাপচারিতায় বলেছিলেন, ‘এটা দেশের ভোট। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নরেন্দ্র মোদির ধারেকাছে কেউ নেই। বাংলার ৪২টি আসন জিতলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। ফলে পরিস্থিতি খুবই অনুকূল। তা সত্ত্বেও আমরা জিতবই, এমন জোর দিতে পারছি না। কারণ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।’ 
বাংলার বাস্তব পরিস্থিতি বুঝেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রচারকরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কিছুই নয়, এমন একটা প্রচারের কৌশল নিয়েছিলেন। তাঁরা বুঝিয়ে ছিলেন, হাজার টাকায় সংসার চলে না। চাই কাজ। তাঁদের সেই শেখানো বুলি শোনা গিয়েছিল বিজেপির ছোট, বড় সব নেতার মুখে। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্ব ভুলে গিয়েছিল, বিন্দু বিন্দুতেই হয় সিন্ধু। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাই হয়ে উঠেছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যাদের পুঁজি। তাতেই ফিরছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য।
একথা ঠিক, চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তৃণমূল কংগ্রেসকে বিপুল সাফল্য এনে দিয়েছে। তবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে শুধুই ভোটব্যাঙ্ক ভাবাটা হবে মস্ত বড় ভুল। বরং লক্ষ্মীর ভাণ্ডার হল দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর নারী সশক্তিকরণের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। যুগান্তকারীও বলা চলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের জন্য অনেক প্রকল্প এনেছেন। তবে, বাংলার মা, বোনেদের জন্য চালু করা প্রতিটি প্রকল্পই বিপুল সাড়া ফেলেছে। তাঁর কন্যাশ্রী পেয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এই প্রকল্পের জন্য স্কুলছুট তো কমেছেই, বাড়ছে মেয়েদের উচ্চশিক্ষার হার। এখন আর প্রাথমিকের পর থেমে যায় না মেয়েদের পড়াশোনা। 
রূপশ্রী প্রকল্পের জন্য কন্যাসন্তান আর দুঃস্থ পরিবারের ‘বোঝা’ নয়, বরং ‘সম্পদ’। মেয়ে জন্মালেই ৫০ হাজার টাকার সরকারি সাহায্য নিশ্চিত। কন্যাশ্রী দিয়ে শুরু হয়েছিল মমতার নারী সশক্তিকরণের পথ চলা। সেই বৃত্তকে সম্পূর্ণ করেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। সেটা বাংলার মা, বোনেরা উপলব্ধি করেছেন। তারজন্যই রাজনীতির চালিকা শক্তি হিসেবে উঠে আসছেন মহিলারাও। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের হাত ধরে বাংলার রাজনীতিতে সূচনা হয়েছে এক নতুন অধ্যায়ের। 
যুগ যুগ ধরে মহিলারা ছিলেন শুধুই ‘ভোটার’। তাঁরা স্বামীর ‘নির্দেশ’ মেনে অথবা পারিবারের রাজনৈতিক ঐতিহ্য মতো নির্দিষ্ট একটি দলের প্রার্থীকেই ভোট দিতেন। ফলে পরিবারের সব ভোট যেত একদিকে। একটা সময় ছিল যখন পরিবার গুনে বলে দেওয়া যেত, কোন বুথে কার কত লিড হতে পারে। কিন্তু এখন আর সেই অঙ্ক মেলে না। কারণ ভেঙেছে ‘পারিবারিক ভোট’ প্রথা। এখন মহিলারা দেখেন, কাকে ভোট দিলে তাঁদের লাভ। সেই অঙ্ক কষেই তাঁরা ভোট দিচ্ছেন। চেতনার জন্ম হয় এভাবেই। 
এতদিন সকালে ভোটের লাইনে ভিড় হতো মূলত পুরুষদেরই। মা, বোনেরা রান্না করে, সংসারের কাজ সেরে দুপুরের পর ভোট দিতেন। কিন্তু, এবার উল্টো ছবি। মা, বোনেরাই সাতসকালে দাঁড়িয়েছিলেন ভোটের লাইনে। তাই মহিলাদের লাইন ছিল পুরুষদের চেয়েও লম্বা। কোনও কোনও জেলায় পুরুষদের চেয়েও মহিলাদের ভোট পড়েছে বেশি। ঝাড়গ্রামে ৯২ শতাংশ মহিলা ভোট দিয়েছেন। এতদিন তাঁরা শুধুই গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতেন। এবার তার পাশাপাশি পালন করেছেন ‘কর্তব্য’ও। ভোট দিতে আসা মহিলাদের অনেককেই বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘দিদি আমাদের জন্য অনেক করছেন। তাই দিদির পাশে দাঁড়ানোটা আমাদের কর্তব্য। সেই কর্তব্যটা পালন করে গেলাম।’
এবার আরও একটা বৈশিষ্ট্য অনেকের নজর কেড়েছে। এতদিন বুথের বাইরে রাজনৈতিক দলের ক্যাম্পে থাকতেন মূলত পুরুষরাই। এবার সেখানে ছিল বহু মহিলা পরিচালিত ক্যাম্প। তাঁরা ভোট দিয়ে বাড়ি না গিয়ে ভোটাদের বুথ স্লিপ দিয়েছেন। বয়স্কদের বুথে যেতে সাহায্য করেছেন। এটা গ্রাম বাংলার নতুন ছবি।
সব রাজনৈতিক দলেরই মহিলা সংগঠন আছে। সিপিএমের মহিলা সমিতি। বাম আমলে মহিলা সমিতির সদস্যরা নারী নির্যাতনের কোনও ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটলে তবেই রাস্তায় নামতেন। আর ভোটে মহিলা সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী দেওয়ার জন্য তাঁদের খোঁজ পড়ত। সংরক্ষণের জোরে মহিলারা প্রধান, উপ প্রধানের চেয়ারে বসতেন। কিন্তু অধিকাংশই ছিলেন ‘রাবার স্ট্যাম্প’।
রাজ্যে ক্ষমতা পরিবর্তনের পর অনুব্রত মণ্ডল বীরভূম জেলায় প্রতিটি ব্লক ধরে মহিলা সম্মেলন করতেন। তাঁর প্রতিটি সভায় প্রচুর মহিলা ভিড় করতেন। কিন্তু রাজনীতিতে মহিলাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ হাতে গোনা দু’একটি জেলাতেই সীমাবদ্ধ ছিল। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালুর পর ছবিটা দ্রুত বদলাতে থাকে। রাজ্যে তৃণমূলের মহিলা সংগঠনে জোয়ার এসেছে। লোকসভা ভোটের আগে মিটিংয়ে, মিছিলে মহিলাদের উপস্থিতি অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। তৃণমূলের প্রমীলা বাহিনী এখন এতটাই শক্তিশালী যে তারা এককভাবে মিটিং, মিছিল করার ক্ষমতা রাখে। আরামবাগে মহিলা তৃণমূলের পদযাত্রায় জনস্রোত বয়ে গিয়েছিল। তৃণমূলের জন্য রাজ্যের কঠিনতম আসন ছিল আরামবাগ। সেখানে তৃণমূল জিতেছে। মিতালি বাগের এই জয়ের পিছনে মহিলাদের অবদান অনস্বীকার্য। 
মহিলারা এবারের ভোটে ডিসাইডিং ফ্যাক্টর হতে চলেছে, সেটা টের পেয়ে ছিলেন নরেন্দ্র মোদিও। তাই সন্দেশখালির রেখা পাত্রকে দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা বলে অভিহিত করে মহিলাদের পাশে টানার কৌশল নিয়েছিলেন।  নির্বাচনের মুখে পাশ করিয়েছিলেন মহিলা সংরক্ষণ বিল। বিজেপি ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণের কথা বলছে। কিন্তু 
এবার তারা ৪২৯জনের মধ্যে মাত্র ৬৯ জন মহিলা প্রার্থী দিয়েছিল। শতাংশের হিসেবে মাত্র ১৬। এককথায় মোদিজির সংরক্ষণ আইন পাশ করা ছিল মহিলা ভোট টানার ‘গাজর’। তবে, শতাংশের নিরিখে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মহিলা প্রার্থী দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ৪২ প্রার্থীর মধ্যে ১২জনই মহিলা। প্রায় ৩০ শতাংশ। এতেই বাংলার মা, বোনেরা বুঝে গিয়েছেন, বিজেপির কাছে মহিলারা ‘কাব্যে উপেক্ষিতা’ হলেও মমতার রাজত্বে নায়িকা তাঁরাই।
15th  June, 2024
জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।
বিশদ

মোদির চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী!
মৃণালকান্তি দাস

জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার শেষ দিকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। নেহরু তাঁকে একবার অসমে পাঠাতে চাইলেন। সফরের সবকিছু বুঝে নিয়ে শাস্ত্রী নেহরুর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। নেহরুর হঠাৎ খেয়াল হল, অসমে তো এখন হাড় কাঁপানো শীত।
বিশদ

20th  June, 2024
বাংলা দখলের গেরুয়া স্বপ্ন, লক্ষ্য অতীত
হারাধন চৌধুরী

সমস্যা ভিতর থেকে বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সাতচল্লিশে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে পূর্ববঙ্গের মানুষের ভূমিকা দেশের বাকি অংশের তুলনায় কম ছিল না। সকলেই লড়াই করেছিলেন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে। সে-বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্য রাত্রি তাঁদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল।
বিশদ

19th  June, 2024
মোদির ভোট-দিদির ভোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টি পোর্তো আলেগ্রেতে ক্ষমতায় আসে ১৯৯০ সালে। তখন শহরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষই ঝুপড়িবাসী। রাস্তা নেই, জল নেই। বিদ্যুৎ বলে একটা বস্তু আছে বটে, কিন্তু তার সংযোগ নেই। বাড়িতে শৌচাগার বা নিকাশি ব্যবস্থাও নেই। পোর্তো আলেগ্রের অধিকাংশই নিরক্ষর।
বিশদ

18th  June, 2024
প্রত্যাখ্যাত নীতিতেই ফের আস্থা মোদির
পি চিদম্বরম

গত ৯ জুন যে নতুন সরকার শপথ নিল, তার গল্পটি অল্প কয়েকটি শব্দে বেঁধে ফেলা যেতে পারে: মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি বেছে নিয়েছেন তাঁর ধারাবাহিকতা। 
বিশদ

17th  June, 2024
সরকার গড়েও মুষড়ে কেন বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জয়, টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার অতুল কীর্তি, তবু বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এত ডিফেন্সিভ কেন? শপথ নিয়েও শাসকের অন্দরে উল্লাস নেই, স্বতঃস্ফূর্ত হাসিটুকুও উধাও, উপর থেকে নিচুস্তর পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত আত্মরক্ষায়। বিশদ

16th  June, 2024
মানুষকে অপমান করা হচ্ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা আউশগ্রামের প্রেমগঞ্জ অথবা বাবুইসোল কিংবা প্রতাপপুরে থাকি। সকাল ৬টার মধ্যে বাড়ির সব কাজ সেরে জঙ্গলে চলে যাই। খেজুর পাতা আনতে। ব্যাপারটা কঠিন। সেই পাতা রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। ঝাঁটা তৈরি হবে। বিশদ

14th  June, 2024
গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিনোদন!
মৃণালকান্তি দাস

চার্চিল নাকি বলেছিলেন, ‘পাবলিক ওপিনিয়ন’ বলে কিছু হয় না, পুরোটাই ‘পাবলিশড ওপিনিয়ন’! বিশদ

13th  June, 2024
পরমাত্মা এখন পরজীবী, প্রণত শরিক পদে
সন্দীপন বিশ্বাস

হে পরমাত্মা, হে নন বায়োলজিক্যাল প্রাণ, ধ্যানের খেলা যখন ভাঙল, তখন আপনি উঠে দেখলেন আপনার একচ্ছত্র সাম্রাজ্য চুরমার, আপনার শৌর্যের ঢক্কানিনাদ মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। দীর্ঘ ভোটপর্বের সমাপ্তি হয়েছে। আপনিও শপথ নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিশদ

12th  June, 2024
 ভোট, শেয়ার বাজার এবং কিছু শিক্ষা
 শান্তনু দত্তগুপ্ত

অধৈর্যদের টাকা ধৈর্যশীলদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম কী? উত্তরটা দিয়ে গিয়েছেন ওয়ারেন 
বাফে—স্টক মার্কেট। তাঁর কথাটা বাজার দুনিয়ায় প্রায় মিথ হয়ে গিয়েছে। তা সে মার্কিন মুলুক হোক, বা ভারত। নিউটনের তৃতীয় সূত্রের মতো জীবনের নানা ওঠাপড়ার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে বাফের বিশ্লেষণ।
বিশদ

11th  June, 2024
নয়া অবতারে চ্যালেঞ্জের মুখে মোদি
পি চিদম্বরম

‘সমগ্র পৃথিবীটাই একটা রঙ্গমঞ্চ .../ এবং সমস্ত নরনারীই নিছক অভিনয় শিল্পী।/ নিজ নিজ ভূমিকা অনুসারে মঞ্চে তাদের সকলেরই প্রবেশ এবং প্রস্থান ঘটে;/ এমনকী, একই মানুষকে প্রয়োজনমতো অনেক ভূমিকার চিত্রায়ণ করতে হয়।’ বিশদ

10th  June, 2024
শরিকি মেহফিলে এবার মুজরো কার?
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছেন, এটা এখন সারা বিশ্বের জানা। চোখ ধাঁধানো মন্দির গড়েও উত্তরপ্রদেশে বিপর্যস্ত হয়েছেন, তাও অজানা নয়। কিন্তু যেটা আজানা, তা হচ্ছে জোট সরকারে দ্রুত রং বদলে ফেলা শরিকদের মেহফিলে ‘বিশ্বগুরু’র ‘মুজরো’টা শুরু হতে কতটা সময় লাগবে? বিশদ

09th  June, 2024
একনজরে
একটি ভুয়ো বিজ্ঞপ্তি ভাইরাল হওয়ায় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়্গপুর ডিভিশনের নিত্যযাত্রীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। ...

জুয়ার আসরে টাকা হেরেও জেতার আশা ছাড়তে পারেনি। অতিরিক্ত টাকা জেতার আশায় প্রতিবেশী যুবকের কাছে ধার নিয়েছিল ৮০০ টাকা। বেশ কয়েকদিন ধরে তাগাদা করেও সেই টাকা কিছুতেই দিচ্ছিল না। এনিয়ে বচসাও হয়। ...

বয়স মাত্র ২৪। কিন্তু, চুল সাদা করে বড় দাঁড়ি লাগিয়ে বিমানে ওঠার ‘ছক’ কষেছিল এক যুবক। কিন্তু, কর্মরত সিআইএসএফ জওয়ানদের তত্পরতায় ভেস্তে গিয়েছে তার পরিকল্পনা। ...

ফিল সল্ট যেদিন ফর্মে থাকেন, কোনও টার্গেটই কঠিন মনে হয় না। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে ঝড় তুলেছিলেন তিনি। তাঁর ব্যাটিং তাণ্ডবে ম্লান হয়েছিলেন বিপক্ষ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব সংগীত দিবস
বিশ্ব যোগব্যায়াম দিবস
১৯০৫: ফরাসি সাহিত্যিক জাঁ পল সার্ত্রের জন্ম
১৯৪০: আর এস এসের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের মৃত্যু
১৯৪৫: কবি নির্মলেন্দু গুণের জন্ম
১৯৫৩: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর জন্ম
১৯৫৫: প্রাক্তন ফুটবলার মিশেল প্লাতিনির জন্ম
১৯৮২: ডিউক অব কেমব্রিজ প্রিন্স উইলিয়ামের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭৮ টাকা ৮৪.৫২ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৫২ টাকা ১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো ৮৮.১০ টাকা ৯১.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ আষাঢ়, ১৪৩১, শুক্রবার, ২১ জুন, ২০২৪। চতুর্দ্দশী ৬/২৮ দিবা ৭/৩২। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র ৩৩/০ অপরাহ্ন ৬/১৯। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৪০, সূর্যাস্ত ৬/১৯/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ১২/৫ গতে ২/৪৫ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৩ গতে ২/৫০ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৩ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৫০ গতে ৬/৪৪ মধ্যে পুনঃ ৯/২৫ গতে ১০/১৮ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৭ গতে ১১/৩৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫৯ গতে ১০/১৯ মধ্যে। 
৬ আষাঢ়, ১৪৩১, শুক্রবার, ২১ জুন, ২০২৪। চতুর্দ্দশী দিবা ৬/৫০। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৬/২৯। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ১২/৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ মধ্যে ও ১২/৪৬ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৬ গতে ৬/৪৯ মধ্যে ও ৯/২৯ গতে ১০/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৭ গতে ১১/৩৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/১ গতে ১০/২০ মধ্যে। 
১৪ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি-২০ বিশ্বকাপ: ইংল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতল দঃ আফ্রিকা

11:36:31 PM

ইউরো কাপ: পোল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারাল অস্ট্রিয়া

11:31:03 PM

ইউরো কাপ: পোল্যান্ড ১-অস্ট্রিয়া ৩ (৭৮ মিনিট)

11:15:17 PM

ইউরো কাপ: পোল্যান্ড ১-অস্ট্রিয়া ২ (৬৭ মিনিট)

11:04:07 PM

ইউরো কাপ: পোল্যান্ড ১-অস্ট্রিয়া ১ (হাফটাইম)

10:25:03 PM

ইউরো কাপ: পোল্যান্ড ১-অস্ট্রিয়া ১ (৩১ মিনিট)

10:09:10 PM