পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
গত বছর ২ অক্টোবর জাতিগত সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করে নীতীশ কুমারের সরকার। তাতে বলা হয়, অনগ্রসর (ওবিসি) ও অতিঅনগ্রসরের (ইবিসি) সংখ্যা রাজ্যের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৩ শতাংশ। পাশাপাশি, তফসিলি জাতি-উপজাতি জনসংখ্যার একত্রিত হার ২১ শতাংশের বেশি। এই তথ্য সামনে আসার পরই নভেম্বরে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সরকারি চাকরি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ ৫০ শতাংশের থেকে বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ রয়েছে, সংরক্ষণ কোনওভাবেই ৫০ শতাংশের বেশি হবে না। সংরক্ষণের হার বাড়ানোর সময় নীতীশ সরকার পাল্টা যুক্তি দেয় যে, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়াদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা চালুর পর ইতিমধ্যেই ঊর্ধ্বসীমা বেড়ে গিয়েছে। বিহারের এই সিদ্ধান্তের পরই হাইকোর্টে একগুচ্ছ জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। সেগুলির একসঙ্গে শুনানি চলছিল। এদিন ওই মামলার রায়ে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। এদিনের রায়ের পর আবেদনকারীদের আইনজীবী নির্ভয় প্রশান্ত জানিয়েছেন, আদালতে জাতিগত সমীক্ষাকে ঢাল করেছিল বিহার সরকার। কিন্তু, এব্যাপারে ইন্দ্র সোহানে মামলা, মারাঠা সংরক্ষণ মামলায় রায়ের উল্লেখ করা হয়। সেখানে শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, কোনওভাবেই রাজ্য সরকার সংরক্ষণের ঊর্ধ্বসীমা ৫০ শতাংশের বেশি করতে পারবে না।