পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
এবার সরকার গঠনের সঙ্গে সঙ্গে ঠেলায় পড়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বার্তা দিতে চাইছেন যে, তিনি কর্মসংস্থান বাড়াতে চান। আর সেই লক্ষ্যে প্রতিটি মন্ত্রককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোন সম্ভাব্য প্রকল্প অথবা পরিকল্পনায় কর্মসংস্থানের বেশি সুযোগ মিলবে তা চিহ্নিত করতে হবে। লোকসভা ভোটের আগে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়েছিল, প্রত্যেক মন্ত্রক যেন সরকারের প্রথম ১০০ দিনের রোডম্যাপ তৈরি করে। সরকার গঠনের পর সেই সক্রিয়তার অভিমুখ কর্মসংস্থানের দায়ে পরিণত হয়েছে। কারণ বেকারত্ব আর মূল্যবৃদ্ধির ইস্যুতে বিরোধীরা অনড় থাকছে এখনও। আসন্ন সংসদীয় অধিবেশনেও এই একই ইস্যুতে সরব হবে বিরোধীরা। সামনেই কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা ভোট। সেখানেও এই ইস্যু উঠবে। তাই প্রত্যেক মন্ত্রককে বলা হয়েছে, ১০ থেকে ২০ লক্ষ কর্মসংস্থানের টার্গেটের প্রকল্প নির্মাণ করা হোক। সবটাই যে সরাসরি সরকারি চাকরি হবে, এমন নয়। ইতিমধ্যেই ইলেকট্রনিক্স মন্ত্রকের মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বৈঠক করেছেন। তিনি বণিকসভার সঙ্গে বৈঠক করার পর টার্গেট স্থির করে দিয়েছেন ইলেকট্রনিক্স পণ্যের সেক্টরে ৫ বছরে ২৫ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। বর্তমানে ২৫ লক্ষ জীবিকা রয়েছে এই সেক্টরে। পাঁচ বছরে তা দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বন্দর মন্ত্রকের পক্ষ থেকে স্থির করা হয়েছে,দেশের কয়েকটি বন্দরে নতুন কিছু কন্টেনার টার্মিনাল তৈরি করা হবে। সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে নতুন ড্রাফট বন্দর নির্মাণের টার্গেট রাখা হয়েছে ১২ লক্ষ সরাসরি কর্মসংস্থানের। এরকমই আরও চারটি বন্দর পাঁচ বছরে নির্মাণ করা হবে। সড়ক ও পরিবহণ, রেল, পঞ্চায়েতিরাজ, ইস্পাত, ভারী শিল্প ইত্যাদি মন্ত্রককে বলা হয়েছে বিশেষ জোর দিতে লক্ষ্য স্থির করে প্রকল্প নির্মাণে। কারণ এই মন্ত্রকগুলিতেই কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা বেশি। যদিও সরকারের অন্দরে এখন প্রশ্ন উঠছে, এই অতি সক্রিয়তা ১০ বছরে ছিল না কেন? তাহলে তো এতদিনে ফলাফল পাওয়া যেত।