Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

 ভোট, শেয়ার বাজার এবং কিছু শিক্ষা
 শান্তনু দত্তগুপ্ত

অধৈর্যদের টাকা ধৈর্যশীলদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম কী? উত্তরটা দিয়ে গিয়েছেন ওয়ারেন 
বাফে—স্টক মার্কেট। তাঁর কথাটা বাজার দুনিয়ায় প্রায় মিথ হয়ে গিয়েছে। তা সে মার্কিন মুলুক হোক, বা ভারত। নিউটনের তৃতীয় সূত্রের মতো জীবনের নানা ওঠাপড়ার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে বাফের বিশ্লেষণ। আর ৪ জুন তারিখটার পর তো বটেই। ওয়ারেন বাফে আজকের ভারতের অর্থনীতিতে মোক্ষমভাবে লাগসই। একদিনে শেয়ার বাজারের ক্ষতির পরিমাণ ৩০ লক্ষ কোটি টাকা। এখানে ধৈর্যশীল ব্যক্তি কে? কারা এতে ‘ইন্ধন’ দিল? কারা এই বাজারে লগ্নি না করেও স্রেফ মধ্যসত্ত্বভোগী হিসেবে প্রচুর কামিয়ে নিল? প্রশ্ন অনেকগুলো। উত্তর কিছু জানা, কিছু অজানা। কিন্তু যদি প্রশ্ন করা হয়, এই গোটা প্রক্রিয়ায় অধৈর্য কারা? উত্তর নিয়ে সংশয় নেই—মধ্যবিত্ত। 
এই একটি শ্রেণি, চিরকাল যারা সমাজে নন্দ ঘোষ হয়েই থেকে গেল। তারা সবচেয়ে বেশি আয়কর দেবে, ভোগ্যপণ্য কিনে বাজার অর্থনীতি সচল রাখবে, চাকরির আশায় দরজায় দরজায় ঘুরবে, কোভিডে কমে যাওয়া মাইনে আগের জায়গায় না আসায় হা-পিত্যেশ করবে, আর তারপরও সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকবে। এদেশে মধ্যবিত্ত হয়ে জন্মালে, দেশের সব মন্দের দায় নেওয়ার মতো কাঁধটাও তৈরি করতে হবে তাদের। শুধু মন্দ কেন? কারণ, ভালোর যে দায় হয় না! শুধুই কৃতিত্ব। আর সেটা বরাদ্দ থাকে ক্ষমতার আনাচে কানাচে ঘোরাফেরা করা বাবুদের জন্য। এই যে লোকসভা নির্বাচন শেষ হল... আড়াই মাসের এই মহাযজ্ঞে খরচ কত হয়েছে? ১.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা। ২০১৯ সালে অঙ্কটা ছিল ৬০ হাজার কোটি। অর্থাৎ, তৃতীয় এনডিএ সরকারের জন্য গতবারের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি খরচ করেছে ভারত। কারা দিয়েছে সেই টাকা? আপনি, আমি, মধ্যবিত্ত, আম আদমি। যে নামে খুশি ডাকা যায়। তারপরও চাকরিজীবীদের জন্য আলাদা করে কিছু ভাবা হবে না, আয়করে ছাড় মিলবে না, নিত্যপণ্যের উপর চড়া হারে জিএসটি চাপবে, সাতদিনের চিকিৎসার খরচ ছাপিয়ে যাবে এক একজন মধ্যবিত্তের ছ’মাসের আয়কে। তারপরও তাদেরই বাধ্য করা হবে শেয়ার বাজারের অনিশ্চয়তায় নিজেদের সর্বস্ব বিনিয়োগের জন্য। সর্বস্ব কেন? ধরে নেওয়া যাক একটা বড় কোম্পানির শেয়ারের দাম ৬৩ টাকা ৫০ পয়সা। এক বছরের মধ্যে খুব ভালো পরিস্থিতিতে এর দাম কতটা বাড়তে পারে? ৪০ পয়সা! ৫০ পয়সা! এক টাকা! ওই শেয়ার থেকে যদি ৫ হাজার টাকা লাভ করতে হয়, তাহলে একজন মধ্যবিত্তকে কত টাকা লগ্নি করতে হবে? ৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা। এই টাকাটা যদি এখনও তিনি ফিক্সড ডিপোজিট করেন, তাহলে এক বছরে নয় নয় করে ২১ হাজার টাকা সুদ মিলবে। কিন্তু সেই মধ্যবিত্তকে  বোঝানো হয়েছে, এক বছরে এর থেকেই ৫ লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। দর বাড়লে শুধু মনে করে শেয়ার বিক্রি করে দিতে হবে। সেই আশায় তিনি ৫ হাজার শেয়ার কিনে বসেছিলেন। কিন্তু ভোটের ফল বেরনোর দিন তিনি দেখলেন, তাঁর সাধের শেয়ারের দাম ৫০ টাকায় নেমে গিয়েছে। অর্থাৎ, সেই মুহূর্তে বাধ্য হয়ে যদি তাঁকে বাজার থেকে টাকা তুলতে হয়, তিনি আড়াই লাখের বেশি পাবেন না। মানে, সোজা কথায় মাথায় হাত। আর তাঁকে এই ঝুঁকি নিতে বাধ্য কে করল? মোদি সরকার। ২০১৪ সালেও স্বল্প সঞ্চয়ের সুদের হার যা ছিল, তাতে একটা বুড়োবুড়ির সংসার চলে যেতে অসুবিধা হতো না। আর এখন? এমআইএস করলে সুদের টাকায় কষ্টেসৃষ্টে ডালটুকু কেনা যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু সেটা জলে ফুটিয়ে নেওয়ার জন্য গ্যাস কিনতে নাভিশ্বাস উঠছে। ফল? শেয়ার বাজার, মিউচুয়াল ফান্ড। সরকার বলছে, উৎসাহ দিচ্ছে, মোটিভেট করছে মধ্যবিত্তকে... শেয়ার বাজারে ইনভেস্ট করুন। এখানেই শেষ নয়, ভোট প্রচারে দাঁড়িয়ে দেশের সব চ্যানেলের সামনে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহ আম জনতার কাছে আবেদন জানাচ্ছেন, এখনই লগ্নি করে রাখুন। ৪ তারিখ বিপুল লাভ হবে! স্টক মার্কেটের ব্রোকাররা পর্যন্ত এভাবে দিনক্ষণ ধরে ভবিষ্যদ্বাণী করেন না। প্রধানমন্ত্রী কি সেই ক্ষমতারও অধিকারী? তিনি না হয় ঈশ্বরের বরপুত্র। জৈবিকভাবে তাঁর জন্ম হয়নি। ঈশ্বর তাঁকে সরাসরি ভূমিষ্ঠ করিয়েছেন। তারপরও এমন ভবিষ্যদ্বাণী করার মতো অবস্থায় বোধহয় তিনি পৌঁছননি। তাহলে কীসের ভিত্তিতে এই ঢিল ছুড়েছিলেন তিনি? কে নিশ্চিত করেছিল? এই প্রশ্নগুলির উত্তরই খোঁজার সময় এসেছে। আর সেইসঙ্গে এক্সিট পোল। কীভাবে প্রায় সব মিডিয়া একই ফর্মুলায় কপি-পেস্ট মার্কা ফল দেখাল? কোন কোন এলাকার ভোটারদের প্রশ্ন করা হল? সবাই কীভাবে বিজেপিকেই প্রায় ৪০০ পার করিয়ে দিল? সত্যিই কি এই সমীক্ষা ভোটের পর করা হয়েছে? নাকি বিরোধীদের অভিযোগ মতো ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে? তখন সদ্য নির্মিত রামমন্দির হাওয়া ছিল, নরেন্দ্র মোদির ৪০০ পারের স্লোগান ছিল, আর সমীক্ষকদের আশপাশে ঘুরে বেড়ানো অনেক ঠান্ডা চাউনি ও ‘সম্ভাবনা’ ছিল। মধ্যবিত্ত ঘরের খেটে খাওয়া মানুষ দেখলেন, প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং বলছেন শেয়ার বাজারে লগ্নি করুন, ফলপ্রকাশের দিন অনেক লাভ হবে। তারপরই তাঁরা দেখলেন, এক্সিট পোল দেখিয়ে দিল, মোদি সরকার একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকারে ফিরছে। ব্যস! সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগ। প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বাস করব না? সব এক্সিট পোলকে বিশ্বাস করব না? সত্যিই তো সরকার এবং মিডিয়াকে বিশ্বাস না করতে পারলে আর কাকে করব? আর কবে অধৈর্য হব? আর কবে বিনিয়োগ করব? কোনও বাবা হয়তো ভেবেছিলেন, এখান থেকে টাকা তুলে মেয়ের বিয়েটা হয়ে যাবে। কোনও সন্তান হয়তো ভেবেছিলেন মায়ের দুরারোগ্য অসুখটার চিকিৎসা এবার হবে। কোনও ঘরহারা আশায় ছিলেন মাথার উপর ছাদের। তাঁদের ঠাঁই এখন কোথায়? এর উত্তর সরকার দেবে তো?
কয়েকমাস আগে হলেও সংশয় ছিল না—উত্তরটা ‘না’ই হতো। কিন্তু এখন আচমকা পরিস্থিতি বদলেছে। সংসদে এখন বিরোধীরা শক্তিশালী। আর একটু হলে সরকার গঠনের চ্যালেঞ্জটাও দিয়ে দিতে পারত মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’। প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার সমীকরণে অন্য সব রাজ্যই প্রায় বিরোধী জোটের পাশে দাঁড়িয়েছিল। ব্যতিক্রম শুধু চার—বিহার, ঝাড়খণ্ড, দিল্লি এবং ওড়িশা। এই চারটি রাজ্যে বিজেপি অপ্রত্যাশিত ফল করেছে। বিহারে একমাত্র আরজেডি কড়া চ্যালেঞ্জ দেওয়া সত্ত্বেও শুধু ভাগ্যের ফেরে ভোটকে আসনে রূপান্তরিত করতে পারেনি। 
প্রচুর ভোট পেয়েছিলেন তেজস্বী যাদব। কিন্তু বহু ক্ষেত্রে জেডিইউ এবং বিজেপি গায়ে গায়ে বেরিয়ে গিয়েছে। দিনের শেষে শুধু সংখ্যা বিচার্য। তাই বিহারে বিজেপির বিজয়রথ ছুটছে। ওড়িশা এবং দিল্লিও আশ্চর্যজনকভাবে ‘এক দলে’ আচমকা বিশ্বাসী হয়ে পড়েছিল। তারই ফল বিজেপির ২০০ পেরনো। কিন্তু এটা বিষয় মানতেই হবে, তৃতীয় মোদি সরকার, থুড়ি এনডিএ সরকার গঠনের পরও স্বস্তিতে নেই নরেন্দ্র মোদি। একে তো শরিকদের বিস্তর চাপ। আর দ্বিতীয়ত, আস্তিন গুটিয়ে প্রস্তুত হওয়া বিরোধীরা। তদন্ত বা বিবৃতির দাবি এখন আর মোদি সরকার চাইলেই ‘চল ফোট’ বলে ভাগিয়ে দিতে পারবে না। তাদের শুনতে হবে। সাড়াশব্দ করতে হবে। বিবৃতি দিতে হবে। আর চাইলে তদন্তও। 
তাহলে লোকসভা নির্বাচন, ২০২৪ আমাদের কী শেখাল? ১) ঈশ্বর অনেক পরে, আগে মানুষ হতে হবে। ২) ধর্ম নয়, মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্বের ইস্যুতেই প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোট হয়েছে। ৩) একনায়কতন্ত্রের আগে গণতন্ত্রই। শতবর্ষ আগে ছিল, আজ আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। ৪) মহাজোট ইন্ডিয়াকে ভোটের আগে থেকে আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে লড়তে হতো। তাহলে আরও বেশ কয়েকটি আসনে তাদের জয় নিশ্চিত ছিল। কয়েকটি রাজ্যে শরিক দলগুলিই নিজেদের মধ্যে লড়াই করে ভোট কেটেছে। সেটা কাম্য ছিল না। ৫) টাকা নিজের, তাই গদি-তোষক কারও অন্ধ ভরসায় বিনিয়োগ করা যায় না। 
গণতন্ত্র শিখিয়েছে, শাসকের সঙ্গে বিরোধীরাও যদি শক্তিশালী হয়, তাতে উপকার মানুষের। সংস্কার হবে, কিন্তু তা মানুষের স্বার্থে। শাসকের প্রয়োজনে বা খামখেয়ালে নয়। এই ভোট একনায়কতন্ত্রকে ছুটি দিয়েছে, আর এক্সিট পোলকেও। এরপর কোনও ভোটে এক্সিট পোলের উপর দেশবাসী ভরসা রাখতে পারবে তো? তারা যদি ভবিষ্যতে বলে, সবটাই টাকার খেলা, সবটাই ‘ফ্রেম’ করা, টিআরপি তাহলে কোথায় নামবে?
ও হ্যাঁ, ছুটি দিতে হবে আরও একজনকে—প্রশান্ত কিশোর। প্রথম থেকেই তিনি কিন্তু নরেন্দ্র মোদির নিরঙ্কুশ সিদ্ধিলাভের পক্ষেই সায় দিয়ে এসেছিলেন। ভোটের ফল দেখাল, সবটাই ছিল তাঁর ছেড়ে আসা সংস্থার পেনিট্রেশনের ফল। এখন তাঁর যোগাযোগ আর ভবিষ্যদ্বাণী করার মতো অবস্থায় নেই। তাই আপাতত তিনি ছুটিতে গেলেই ভালো। বাণীবর্ষণের দিন শেষ। এখন কাজের সময়। শাসক, বিরোধী দু’পক্ষেরই।
11th  June, 2024
জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।
বিশদ

মোদির চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী!
মৃণালকান্তি দাস

জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার শেষ দিকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। নেহরু তাঁকে একবার অসমে পাঠাতে চাইলেন। সফরের সবকিছু বুঝে নিয়ে শাস্ত্রী নেহরুর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। নেহরুর হঠাৎ খেয়াল হল, অসমে তো এখন হাড় কাঁপানো শীত।
বিশদ

20th  June, 2024
বাংলা দখলের গেরুয়া স্বপ্ন, লক্ষ্য অতীত
হারাধন চৌধুরী

সমস্যা ভিতর থেকে বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সাতচল্লিশে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে পূর্ববঙ্গের মানুষের ভূমিকা দেশের বাকি অংশের তুলনায় কম ছিল না। সকলেই লড়াই করেছিলেন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে। সে-বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্য রাত্রি তাঁদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল।
বিশদ

19th  June, 2024
মোদির ভোট-দিদির ভোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টি পোর্তো আলেগ্রেতে ক্ষমতায় আসে ১৯৯০ সালে। তখন শহরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষই ঝুপড়িবাসী। রাস্তা নেই, জল নেই। বিদ্যুৎ বলে একটা বস্তু আছে বটে, কিন্তু তার সংযোগ নেই। বাড়িতে শৌচাগার বা নিকাশি ব্যবস্থাও নেই। পোর্তো আলেগ্রের অধিকাংশই নিরক্ষর।
বিশদ

18th  June, 2024
প্রত্যাখ্যাত নীতিতেই ফের আস্থা মোদির
পি চিদম্বরম

গত ৯ জুন যে নতুন সরকার শপথ নিল, তার গল্পটি অল্প কয়েকটি শব্দে বেঁধে ফেলা যেতে পারে: মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি বেছে নিয়েছেন তাঁর ধারাবাহিকতা। 
বিশদ

17th  June, 2024
সরকার গড়েও মুষড়ে কেন বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জয়, টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার অতুল কীর্তি, তবু বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এত ডিফেন্সিভ কেন? শপথ নিয়েও শাসকের অন্দরে উল্লাস নেই, স্বতঃস্ফূর্ত হাসিটুকুও উধাও, উপর থেকে নিচুস্তর পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত আত্মরক্ষায়। বিশদ

16th  June, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

15th  June, 2024
মানুষকে অপমান করা হচ্ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা আউশগ্রামের প্রেমগঞ্জ অথবা বাবুইসোল কিংবা প্রতাপপুরে থাকি। সকাল ৬টার মধ্যে বাড়ির সব কাজ সেরে জঙ্গলে চলে যাই। খেজুর পাতা আনতে। ব্যাপারটা কঠিন। সেই পাতা রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। ঝাঁটা তৈরি হবে। বিশদ

14th  June, 2024
গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিনোদন!
মৃণালকান্তি দাস

চার্চিল নাকি বলেছিলেন, ‘পাবলিক ওপিনিয়ন’ বলে কিছু হয় না, পুরোটাই ‘পাবলিশড ওপিনিয়ন’! বিশদ

13th  June, 2024
পরমাত্মা এখন পরজীবী, প্রণত শরিক পদে
সন্দীপন বিশ্বাস

হে পরমাত্মা, হে নন বায়োলজিক্যাল প্রাণ, ধ্যানের খেলা যখন ভাঙল, তখন আপনি উঠে দেখলেন আপনার একচ্ছত্র সাম্রাজ্য চুরমার, আপনার শৌর্যের ঢক্কানিনাদ মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। দীর্ঘ ভোটপর্বের সমাপ্তি হয়েছে। আপনিও শপথ নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিশদ

12th  June, 2024
নয়া অবতারে চ্যালেঞ্জের মুখে মোদি
পি চিদম্বরম

‘সমগ্র পৃথিবীটাই একটা রঙ্গমঞ্চ .../ এবং সমস্ত নরনারীই নিছক অভিনয় শিল্পী।/ নিজ নিজ ভূমিকা অনুসারে মঞ্চে তাদের সকলেরই প্রবেশ এবং প্রস্থান ঘটে;/ এমনকী, একই মানুষকে প্রয়োজনমতো অনেক ভূমিকার চিত্রায়ণ করতে হয়।’ বিশদ

10th  June, 2024
শরিকি মেহফিলে এবার মুজরো কার?
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছেন, এটা এখন সারা বিশ্বের জানা। চোখ ধাঁধানো মন্দির গড়েও উত্তরপ্রদেশে বিপর্যস্ত হয়েছেন, তাও অজানা নয়। কিন্তু যেটা আজানা, তা হচ্ছে জোট সরকারে দ্রুত রং বদলে ফেলা শরিকদের মেহফিলে ‘বিশ্বগুরু’র ‘মুজরো’টা শুরু হতে কতটা সময় লাগবে? বিশদ

09th  June, 2024
একনজরে
স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য রান্না হল না। খিচুরি বা ভাতের বদলে তাদের দেওয়া হল ক্রিম বিস্কুট। যদিও বিস্কুট দেওয়ার কোনও নিয়ম নেই। বৃহস্পতিবার মালদহ সার্কেলের কাদিরপুর নিউ জিএসএফ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই অভিযোগ উঠেছে ...

জুয়ার আসরে টাকা হেরেও জেতার আশা ছাড়তে পারেনি। অতিরিক্ত টাকা জেতার আশায় প্রতিবেশী যুবকের কাছে ধার নিয়েছিল ৮০০ টাকা। বেশ কয়েকদিন ধরে তাগাদা করেও সেই টাকা কিছুতেই দিচ্ছিল না। এনিয়ে বচসাও হয়। ...

একটি ভুয়ো বিজ্ঞপ্তি ভাইরাল হওয়ায় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়্গপুর ডিভিশনের নিত্যযাত্রীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। ...

ফিল সল্ট যেদিন ফর্মে থাকেন, কোনও টার্গেটই কঠিন মনে হয় না। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে ঝড় তুলেছিলেন তিনি। তাঁর ব্যাটিং তাণ্ডবে ম্লান হয়েছিলেন বিপক্ষ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব সংগীত দিবস
বিশ্ব যোগব্যায়াম দিবস
১৯০৫: ফরাসি সাহিত্যিক জাঁ পল সার্ত্রের জন্ম
১৯৪০: আর এস এসের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের মৃত্যু
১৯৪৫: কবি নির্মলেন্দু গুণের জন্ম
১৯৫৩: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর জন্ম
১৯৫৫: প্রাক্তন ফুটবলার মিশেল প্লাতিনির জন্ম
১৯৮২: ডিউক অব কেমব্রিজ প্রিন্স উইলিয়ামের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭৮ টাকা ৮৪.৫২ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৫২ টাকা ১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো ৮৮.১০ টাকা ৯১.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ আষাঢ়, ১৪৩১, শুক্রবার, ২১ জুন, ২০২৪। চতুর্দ্দশী ৬/২৮ দিবা ৭/৩২। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র ৩৩/০ অপরাহ্ন ৬/১৯। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৪০, সূর্যাস্ত ৬/১৯/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ১২/৫ গতে ২/৪৫ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৩ গতে ২/৫০ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৩ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৫০ গতে ৬/৪৪ মধ্যে পুনঃ ৯/২৫ গতে ১০/১৮ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৭ গতে ১১/৩৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫৯ গতে ১০/১৯ মধ্যে। 
৬ আষাঢ়, ১৪৩১, শুক্রবার, ২১ জুন, ২০২৪। চতুর্দ্দশী দিবা ৬/৫০। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৬/২৯। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ১২/৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ মধ্যে ও ১২/৪৬ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৬ গতে ৬/৪৯ মধ্যে ও ৯/২৯ গতে ১০/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৭ গতে ১১/৩৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/১ গতে ১০/২০ মধ্যে। 
১৪ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি-২০ বিশ্বকাপ: ইংল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতল দঃ আফ্রিকা

11:36:31 PM

ইউরো কাপ: পোল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারাল অস্ট্রিয়া

11:31:03 PM

ইউরো কাপ: পোল্যান্ড ১-অস্ট্রিয়া ৩ (৭৮ মিনিট)

11:15:17 PM

ইউরো কাপ: পোল্যান্ড ১-অস্ট্রিয়া ২ (৬৭ মিনিট)

11:04:07 PM

ইউরো কাপ: পোল্যান্ড ১-অস্ট্রিয়া ১ (হাফটাইম)

10:25:03 PM

ইউরো কাপ: পোল্যান্ড ১-অস্ট্রিয়া ১ (৩১ মিনিট)

10:09:10 PM