Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মানুষকে অপমান করা হচ্ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা আউশগ্রামের প্রেমগঞ্জ অথবা বাবুইসোল কিংবা প্রতাপপুরে থাকি। সকাল ৬টার মধ্যে বাড়ির সব কাজ সেরে জঙ্গলে চলে যাই। খেজুর পাতা আনতে। ব্যাপারটা কঠিন। সেই পাতা রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। ঝাঁটা তৈরি হবে।  সেই সময়টায় আকাশে মেঘ করলে আমাদের আনন্দ হয় না। আতঙ্ক হয়। কারণ, মেঘের ছায়ায় খেজুর পাতা থেকে কষ্ট করে যে ঝাঁটা তৈরি করি, সেগুলি  কালো হয়ে যাবে। কালো ঝাঁটা মহাজনেরা কিনতে চায় না। আবার এত কষ্ট করার পরও সেরকম দাম পাই না আমরা। পেলেও সঙ্গে সঙ্গে নয়। বেশ কিছুদিন পর চেয়েচিন্তে নিতে হয়। নগদ টাকা হাতে থাকা দরকার। পুরুষেরা তো সবসময় ঘরে থাকে না। কাজের জন্য অন্য জায়গায় চলে যায়। আমাদের চলবে কীভাবে? 
ডকঘাট থেকে প্রথমে মাতলা পেরিয়ে ক্যানিং। তারপর লোকাল ধরে যাদবপুর, ঢাকুরিয়া, বাঘা যতীন নেমে যাই আমরা। আপনাদের বাড়িতে 
বাড়িতে সকালে পৌঁছে কেউ রান্নায়, কেউ ঘরের কাজে লেগে পড়ি। ফিরতে প্রায় বিকেল। ফিরতি 
ট্রেনে গেটের কাছে ঘুমাই! অথবা উচ্চস্বরে হাসাহাসি করি সকলে মিলে। 
আমরা চাঁপাডাঙ্গা থেকে সব্জি কিনে তাড়াতাড়ি তারকেশ্বর এসে চলে যাই শেওড়াফুলি, শ্রীরামপুর। আবার কেউ কেউ মণিরামপুর ঘাট পেরিয়ে বারাকপুরেও। সেইসব বাজারে গিয়ে ওইসব নিয়ে বসি। একটু ভিতরের দিকে। বড় বিক্রেতাদের আড়ালে। 
আমাদের অনেকরকম দুঃখ। বাড়ির লোকের সঙ্গে ট্রেনে যেতে যেতে দেখি সারাক্ষণ কোনও না কোনও হকার উঠছে। চুলের ক্লিপ, সেফটিপিন, শশা, পেয়ারা, এমনকী একবার দেখলাম আয়ুর্বেদ শ্যাম্পু। আমাদের চুলে খুব জট পড়ে। তাই এটা মাখলে নাকি ওটা সেরে যাবে। কিন্তু স্বামীর দিকে সেই সময় তাকালে কেমন যেন রাগ রাগ মুখ করে তাকায়। কিনে দেয় না। কেনা হয় না। ‘৫০ রকমের ব্রত কথা’ বই দেখেছিলাম একজনের হাতে। জ্যৈষ্ঠ মাসে জয়মঙ্গলবার ব্রত করার জন্য ওই মঙ্গলচণ্ডী ব্রতও ছিল সেখানে। ওটা পড়তে হয়। আগের বইটা ছিঁড়ে গিয়েছে। তাই নতুন হলে ভালো হয়। দাম অবশ্য একটু বেশি। ৩০ টাকা। কিন্তু ‘এখন কিনতে হবে না এসব’ বলে আমাদের স্বামী ট্রেনের জানালার বাইরে তাকিয়ে থাকে। তার চোখে বাইরের ঘরবাড়ি গাছ রাস্তার ছবি। আমাদের চোখে গোপন জল। না পাওয়ার। আর অপমানের। নিজের হাতে টাকা থাকলে...।  
সেই গুমা থেকে হাবরা লোকাল ধরে আসতে হয় আমাদের দমদম ক্যান্টনমেন্ট অথবা জংশনে। তারপর এদিক ওদিক ছড়িয়ে যাই আমরা। এখান থেকে দমদম, লেকটাউন, কালিন্দী, উল্টোডাঙ্গায়। আবার কেউ কেউ যাই শিয়ালদহে। সেখান থেকে পার্কসার্কাস বা বালিগঞ্জের ট্রেন। ওসব জায়গায় ছোট মাঝারি নার্সিংহোম থাকে। আয়ার ডিউটি। সেন্টারেও নাম লেখানো আছে। তবে সেন্টারে নাম লেখাতেও কমিশন দিতে হয়। 
আমাদের সেলাই স্কুলে যাওয়া আছে। মানকরে। স্বনিযুক্তি গ্রুপেও কাজ করি আমরা গলসীতে। আমরা ফুল তুলি পাঁশকুড়া লোকালে। আমাদের কারও স্বামী চলে গিয়েছে আমাদের ছেড়ে। কারও স্বামী হারিয়ে গিয়েছে। কেউ কেউ বিধবা। 
আবার আমাদের কেউ কেউ হয়তো কোনও কাজ করি না। শুধুই ঘরের কাজ। সকাল থেকে সারাদিন। কিন্তু সেই কাজকে কেউ গুরুত্ব দেয় না। আমাদের বলা হয় বাড়ির বউ। সব করতেই হবে। আমরা সব ব্যাপারেই অন্যের মুখাপেক্ষী। আনন্দ বলতে সন্ধ্যায় একটু সিরিয়াল দেখা। আমাদের খুব খারাপ লাগে যখন সামান্য ব্যাপারেই বলা হয়, ‘রোজগার করব আমি, তুমি বসে বসে খাবে? যা বলব শুনতে হবে। নয়তো দরজা খোলা আছে, বেরিয়ে যাও। এক পয়সা ঘরে আনার মুরোদ নেই। আর লম্বাচওড়া কথা’...। মা বাবার কথা মনে পড়ে তখন। আমার হাতে যদি টাকা থাকত কিছু। কিন্তু এরা তো বাইরে গিয়ে কাজও করতে দেবে না। বাড়ির বউ নাকি যেতে পারে না বাইরে। হাতখরচের টাকা থাকে না আমার। যখন বাপের বাড়ি যাই।  তখন বাবা একটু করে দেয়। টিপে টিপে লুকিয়ে চালাই। 
এই আমরা কারা? যাদের আপনারা ৪ জুন থেকে অশিক্ষিত আর ভিখারি বলেন। কেন? কারণ আমরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পেয়েছি। আপনাদের সন্দেহ সেই কারণে আপনাদের ভোট দিইনি। তাই সেই টাকার নাম আপনাদের কাছে ভিক্ষা। আর আমরা ভিখারি। আপনারা ক্রমাগত বলে চলেছেন, আমরা এতটাই অশিক্ষিত মূর্খ যে চোরদের ভোট দিয়ে দিয়ে জেতা‌ই। কারণ ওই ভিক্ষা। আজকাল যেহেতু মোবাইল থেকে অনেক কিছু জানা যায়, তাই আমাদের সন্ধ্যাদি বলছিল, এরকম টাকা নাকি দেশের প্রায় সব রাজ্যের মেয়েরাই পায়। মধ্যপ্রদেশে পায় লাডলি বহেনা নামের স্কিমে। মহারাষ্ট্রে একঝাঁক নাকি প্রকল্প আছে। দিল্লি আর কর্ণাটক তো বড়লোক শহর। সেখানে বাস ফ্রি মেয়েদের জন্য। কর্ণাটকের মেয়েদের বাস ফ্রি হওয়ার জন্য তীর্থক্ষেত্র, দর্শনীয় স্থানগুলিতে ব্যবসা উপচে পড়ছে ভিড়ের কারণে। মেয়েদের ভিড়। ওইসব ধনী রাজ্যের মেয়েরাও অশিক্ষিত ভিখারি? 
আপনাদের ভাষায় আমরা অশিক্ষিত আর ভিখারি। কেন? কারণ আপনারা ভোটে  হেরে গিয়েছেন বলে। আচ্ছা, এই যে দেশের বাকি রাজ্যগুলিতে এরকম সব টাকাপয়সার নানারকম সুবিধা দেওয়া হয়, সেখানে যে দল হেরে যায়, তারা কি নিজেদের জাতির নিজেদের রাজ্যের মহিলাদের এরকম অশিক্ষিত, ভিখারি, মূর্খ বলে ডাকে? কখনও তো শুনিনি যে, মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস শূন্য হয়ে গিয়ে বলছে, ভিখারি আর অশিক্ষিতগুলো আমাদের হারিয়ে দিল? আবার দিল্লিতেও তো আম আদমি পার্টি বলছে না যে, ভিখারিদের বাসে ফ্রি চড়ার সুযোগ দিলাম, তাও আমাদের ভোট দিল না! দেশজুড়ে বিরোধী দলগুলি কিন্তু একবারও বলছে না যে, ফ্রি রেশন পেয়ে ভিখারি ভোটার এবারও মোদিকে ভোট দিয়েছে। না হলে ২৪০টা আসনও পেতেন না উনি? এই রাজ্যে আপনারা কিন্তু বলছেন অনায়াসে! কতটা উগ্র মানসিকতা হলে সহনাগরিকদের সম্পর্কে ‘অশিক্ষিত’ ‘ভিখারি’ ‘মূর্খ’ শব্দগুলো বলা যায়? কতটা সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে নির্বোধ হলে ‘আমিই ঠিক, অন্যরা ভুল’ ভাবা যায়? 
আপনাদের কোনও ধারণা আছে এক হাজার কিংবা বারোশো টাকার কতটা দাম আমাদের কাছে? কতটা দরকারি সংসারে? কীভাবে আমাদের ভিতরটাকে বদলে দিয়েছে? জানেন? খুব ছোট ছোট ইচ্ছা কীভাবে পূরণ হচ্ছে? জানেন? আপনারা ভদ্রভাবে বলুন যে, কর্মসংস্থান জরুরি। কাজের সুযোগ বৃদ্ধি হলে সকলেই সম্মানের সঙ্গে রোজগার করবে। সেটাই উচিত। এসব বলুন না, কে বারণ করেছে! কিন্তু এরকম অপমানের কথা কেন বলছেন? এবার  তৃণমূল পেয়েছে কমবেশি ১ কোটি ৪০ হাজার মহিলা ভোট। রাজ্যে ১ কোটি ৯৮ হাজার মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পায়। ওই যে কমবেশি ১ কোটি ৪০ লক্ষ মহিলা, যারা এবার আপনাদের বিরুদ্ধে ভোট দিলেন, এরা সবাই তাহলে অশিক্ষিত আর ভিখারি? আর সব মিলিয়ে রাজ্যে ৪৬ শতাংশ মানুষই অশিক্ষিত আর ভাতাজীবী? কারণ ওটাই তৃণমূলের ভোট। আমরা কিন্তু সক঩লেই তৃণমূলকে ভোট দিইনি। হয়তো সিংহভাগই দিয়েছে। কিন্তু এই যে আপনারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী নেওয়া মানুষদের সরাসরি ভাতাজীবী ভিখারি বলছেন, চোখের পাতা না কাঁপিয়ে বরং উচ্চকণ্ঠে, জিহ্বায় ঘৃণা আর তাচ্ছিল্য এনে এই বিপুল সংখ্যক মানুষকে অশিক্ষিত তকমা দিয়ে ফেলছেন, আমরা কিন্তু এটা মনে রাখছি। 
আমাদের বাড়িতে যারা বয়স্ক মানুষ, তারা আমাদের বলছিল যে, ১৯৭৮ সালের পর থেকে নাকি বেকার ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, কৃষক ভাতা, শ্রমিক ভাতা এসব একে একে চালু হয়। সেগুলো কি ভিক্ষাই ছিল? ২ টাকা কেজি চাল দেওয়া কি ভিক্ষা ছিল? বন্ধ কলকারখানা আর চা বাগানের শ্রমিকদের ভাতা দেওয়া হয়েছিল। ভিক্ষা ছিল?
আপনারা এত শিক্ষিত, অথচ এই দূরদৃষ্টি নেই যে, এটাই শেষ ভোট নয়? আবার পুরসভা, বিধানসভা, পঞ্চায়েত নানারকম ভোট আসবে। আজ যাদের ভিখারি আর অশিক্ষিত বলছেন, আবার আগামী ভোটগুলিতে তাদের পাড়া আর বাড়ির সামনে এসে ভোট চাইবেন তো! সেই সময় এখন যা বলছেন, এগুলো মনে থাকবে? যদি আপনাদের প্রশ্ন করি তখন,যে, আমরা তো ভিখারি, অশিক্ষিত। আমাদের ভোট চাইছেন কেন? কী উত্তর দেবেন? আসলে আপনারা জিতলে আমরা উন্নত চেতনাসম্পন্ন। আপনারা হারলে আমরা ভিখারি! 
একটি বিশেষ উন্নত চিন্তার দলকে আমাদের মতো সামান্য ক্ষুদ্র মানুষদের প্রশ্ন যে, আপনাদের জনপ্রিয় কৃষক নেতা কে এখন? শ্রমিক নেতা কে? শেষ কবে কোথায় শ্রমিক আন্দোলন হয়েছে? কৃষকদের দাবি নিয়ে কবে হয়েছে বড়সড় কর্মসূচি? আপনারা এবার ভোটে যে প্রার্থীদের নিয়ে সবথেকে বেশি মাতামাতি করেছেন, তাঁরা সকলেই নাগরিক শিক্ষিত মিডল বা আপার মিডল ক্লাসের মানুষ কেন? তাঁরা সকলেই উচ্চবর্ণ এবং উচ্চবর্গের কেন? এরকম তো হওয়ার কথা ছিল না! গ্রামীণ কেন্দ্রের কোনও কৃষক প্রার্থী, শ্রমিক প্রার্থী, অনগ্রসর প্রার্থীদের নিয়ে তো এরকম মাতামাতি এবং পরাজিত হওয়ার পর হা-হুতাশ শোনা গেল না? কেন? 
যাঁরা জয়ী হয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও তো বিপুল অংশের মানুষের ভোট পড়েছে। সম্মিলিতভাবে বিরোধীরা কাঁটায় কাঁটায় ভোট পাচ্ছে। সুতরাং সব পক্ষের সমর্থক ও ভোটার আছে। তাহলে মানুষকে অপমান করতে হচ্ছে কেন? মানুষের কাছে যে গ্রহণযোগ্য মনে হচ্ছে, আজ তাকে ভোট দিচ্ছে। আগামী কাল মনে না করলে বিরুদ্ধে ভোট দেবে! এটা তো সহজ সংসদীয় গণতন্ত্রের অঙ্ক। কিন্তু নিজেদের ব্যর্থতার জন্য আপনারা এত রেগে যাচ্ছেন কেন যে, নিজেদের মনুষ্যত্ব আর শিক্ষাদীক্ষাকেই অসম্মান করছেন? আপনারা বেশি বোঝেন, মানুষ কম বোঝে এটা কে ঠিক করে দিল? আপনারা বুদ্ধিমান, প্রায় ৩ কোটি মানুষ বোকা, এটা কীভাবে বোঝা গেল? কোন মেশিনে মাপা হয় এটা?
গণতন্ত্রের কাছে একটা অদৃশ্য মেশিন আছে। ঔদ্ধত্য, অহঙ্কার আর দম্ভ পরিমাপের যন্ত্র। তার প্রমাণ আপনারা অতি সম্প্রতি দেশজুড়ে পেয়েছেন। অতএব আপনারাই স্থির করুন, কোন পথে হাঁটবেন! গণতন্ত্রের সেই মেশিন সদাজাগ্রত! ৭৭ বছর ধরে! 
14th  June, 2024
জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।
বিশদ

মোদির চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী!
মৃণালকান্তি দাস

জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার শেষ দিকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। নেহরু তাঁকে একবার অসমে পাঠাতে চাইলেন। সফরের সবকিছু বুঝে নিয়ে শাস্ত্রী নেহরুর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। নেহরুর হঠাৎ খেয়াল হল, অসমে তো এখন হাড় কাঁপানো শীত।
বিশদ

20th  June, 2024
বাংলা দখলের গেরুয়া স্বপ্ন, লক্ষ্য অতীত
হারাধন চৌধুরী

সমস্যা ভিতর থেকে বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সাতচল্লিশে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে পূর্ববঙ্গের মানুষের ভূমিকা দেশের বাকি অংশের তুলনায় কম ছিল না। সকলেই লড়াই করেছিলেন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে। সে-বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্য রাত্রি তাঁদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল।
বিশদ

19th  June, 2024
মোদির ভোট-দিদির ভোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টি পোর্তো আলেগ্রেতে ক্ষমতায় আসে ১৯৯০ সালে। তখন শহরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষই ঝুপড়িবাসী। রাস্তা নেই, জল নেই। বিদ্যুৎ বলে একটা বস্তু আছে বটে, কিন্তু তার সংযোগ নেই। বাড়িতে শৌচাগার বা নিকাশি ব্যবস্থাও নেই। পোর্তো আলেগ্রের অধিকাংশই নিরক্ষর।
বিশদ

18th  June, 2024
প্রত্যাখ্যাত নীতিতেই ফের আস্থা মোদির
পি চিদম্বরম

গত ৯ জুন যে নতুন সরকার শপথ নিল, তার গল্পটি অল্প কয়েকটি শব্দে বেঁধে ফেলা যেতে পারে: মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি বেছে নিয়েছেন তাঁর ধারাবাহিকতা। 
বিশদ

17th  June, 2024
সরকার গড়েও মুষড়ে কেন বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জয়, টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার অতুল কীর্তি, তবু বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এত ডিফেন্সিভ কেন? শপথ নিয়েও শাসকের অন্দরে উল্লাস নেই, স্বতঃস্ফূর্ত হাসিটুকুও উধাও, উপর থেকে নিচুস্তর পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত আত্মরক্ষায়। বিশদ

16th  June, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

15th  June, 2024
গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিনোদন!
মৃণালকান্তি দাস

চার্চিল নাকি বলেছিলেন, ‘পাবলিক ওপিনিয়ন’ বলে কিছু হয় না, পুরোটাই ‘পাবলিশড ওপিনিয়ন’! বিশদ

13th  June, 2024
পরমাত্মা এখন পরজীবী, প্রণত শরিক পদে
সন্দীপন বিশ্বাস

হে পরমাত্মা, হে নন বায়োলজিক্যাল প্রাণ, ধ্যানের খেলা যখন ভাঙল, তখন আপনি উঠে দেখলেন আপনার একচ্ছত্র সাম্রাজ্য চুরমার, আপনার শৌর্যের ঢক্কানিনাদ মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। দীর্ঘ ভোটপর্বের সমাপ্তি হয়েছে। আপনিও শপথ নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিশদ

12th  June, 2024
 ভোট, শেয়ার বাজার এবং কিছু শিক্ষা
 শান্তনু দত্তগুপ্ত

অধৈর্যদের টাকা ধৈর্যশীলদের অ্যাকাউন্টে পাঠানোর সবচেয়ে ভালো মাধ্যম কী? উত্তরটা দিয়ে গিয়েছেন ওয়ারেন 
বাফে—স্টক মার্কেট। তাঁর কথাটা বাজার দুনিয়ায় প্রায় মিথ হয়ে গিয়েছে। তা সে মার্কিন মুলুক হোক, বা ভারত। নিউটনের তৃতীয় সূত্রের মতো জীবনের নানা ওঠাপড়ার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে বাফের বিশ্লেষণ।
বিশদ

11th  June, 2024
নয়া অবতারে চ্যালেঞ্জের মুখে মোদি
পি চিদম্বরম

‘সমগ্র পৃথিবীটাই একটা রঙ্গমঞ্চ .../ এবং সমস্ত নরনারীই নিছক অভিনয় শিল্পী।/ নিজ নিজ ভূমিকা অনুসারে মঞ্চে তাদের সকলেরই প্রবেশ এবং প্রস্থান ঘটে;/ এমনকী, একই মানুষকে প্রয়োজনমতো অনেক ভূমিকার চিত্রায়ণ করতে হয়।’ বিশদ

10th  June, 2024
শরিকি মেহফিলে এবার মুজরো কার?
হিমাংশু সিংহ

নরেন্দ্র মোদি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা খেয়েছেন, এটা এখন সারা বিশ্বের জানা। চোখ ধাঁধানো মন্দির গড়েও উত্তরপ্রদেশে বিপর্যস্ত হয়েছেন, তাও অজানা নয়। কিন্তু যেটা আজানা, তা হচ্ছে জোট সরকারে দ্রুত রং বদলে ফেলা শরিকদের মেহফিলে ‘বিশ্বগুরু’র ‘মুজরো’টা শুরু হতে কতটা সময় লাগবে? বিশদ

09th  June, 2024
একনজরে
একটি ভুয়ো বিজ্ঞপ্তি ভাইরাল হওয়ায় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়্গপুর ডিভিশনের নিত্যযাত্রীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। ...

জুয়ার আসরে টাকা হেরেও জেতার আশা ছাড়তে পারেনি। অতিরিক্ত টাকা জেতার আশায় প্রতিবেশী যুবকের কাছে ধার নিয়েছিল ৮০০ টাকা। বেশ কয়েকদিন ধরে তাগাদা করেও সেই টাকা কিছুতেই দিচ্ছিল না। এনিয়ে বচসাও হয়। ...

স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য রান্না হল না। খিচুরি বা ভাতের বদলে তাদের দেওয়া হল ক্রিম বিস্কুট। যদিও বিস্কুট দেওয়ার কোনও নিয়ম নেই। বৃহস্পতিবার মালদহ সার্কেলের কাদিরপুর নিউ জিএসএফ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই অভিযোগ উঠেছে ...

গত বছর নববর্ষের দিন বোনকে সাঁতার শেখাতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল দাদার। বৃহস্পতিবার বাবা-মায়ের সঙ্গে মেধাবী দাদার ডিগ্রি প্রাপ্তির শংসাপত্র নিতে বাবার সঙ্গে এল বোন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব সংগীত দিবস
বিশ্ব যোগব্যায়াম দিবস
১৯০৫: ফরাসি সাহিত্যিক জাঁ পল সার্ত্রের জন্ম
১৯৪০: আর এস এসের প্রতিষ্ঠাতা কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারের মৃত্যু
১৯৪৫: কবি নির্মলেন্দু গুণের জন্ম
১৯৫৩: পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর জন্ম
১৯৫৫: প্রাক্তন ফুটবলার মিশেল প্লাতিনির জন্ম
১৯৮২: ডিউক অব কেমব্রিজ প্রিন্স উইলিয়ামের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭৮ টাকা ৮৪.৫২ টাকা
পাউন্ড ১০৪.৫২ টাকা ১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো ৮৮.১০ টাকা ৯১.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,২০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ আষাঢ়, ১৪৩১, শুক্রবার, ২১ জুন, ২০২৪। চতুর্দ্দশী ৬/২৮ দিবা ৭/৩২। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র ৩৩/০ অপরাহ্ন ৬/১৯। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৪০, সূর্যাস্ত ৬/১৯/৪৯। অমৃতযোগ দিবা ১২/৫ গতে ২/৪৫ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৩ গতে ২/৫০ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৩ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৫০ গতে ৬/৪৪ মধ্যে পুনঃ ৯/২৫ গতে ১০/১৮ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৭ গতে ১১/৩৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫৯ গতে ১০/১৯ মধ্যে। 
৬ আষাঢ়, ১৪৩১, শুক্রবার, ২১ জুন, ২০২৪। চতুর্দ্দশী দিবা ৬/৫০। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র সন্ধ্যা ৬/২৯। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২৩। অমৃতযোগ দিবা ১২/৯ গতে ২/৪৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ মধ্যে ও ১২/৪৬ গতে ২/৫৫ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৬ গতে ৬/৪৯ মধ্যে ও ৯/২৯ গতে ১০/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৭ গতে ১১/৩৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/১ গতে ১০/২০ মধ্যে। 
১৪ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি-২০ বিশ্বকাপ: ইংল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতল দঃ আফ্রিকা

11:36:31 PM

ইউরো কাপ: পোল্যান্ডকে ৩-১ গোলে হারাল অস্ট্রিয়া

11:31:03 PM

ইউরো কাপ: পোল্যান্ড ১-অস্ট্রিয়া ৩ (৭৮ মিনিট)

11:15:17 PM

ইউরো কাপ: পোল্যান্ড ১-অস্ট্রিয়া ২ (৬৭ মিনিট)

11:04:07 PM

ইউরো কাপ: পোল্যান্ড ১-অস্ট্রিয়া ১ (হাফটাইম)

10:25:03 PM

ইউরো কাপ: পোল্যান্ড ১-অস্ট্রিয়া ১ (৩১ মিনিট)

10:09:10 PM