কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
হচ্ছে প্রবল।
বিহার রাজনীতিতে বস্তুত ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। গত শতকের আট এবং নয়ের দশকে লালুপ্রসাদ যাদব, নীতীশ কুমার, রামবিলাস পাসোয়ানের উত্থান হয়েছিল। এই ত্রিশক্তি বিহার ভোটে পৃথক তিন আইডেন্টিটি রাজনীতির সূচনা করেন। ২০২৪ সালের ভোটে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, নতুন তিন যুবশক্তি তাঁদের দলের প্রধান সেনাপতি। তেজস্বী যাদব, চিরাগ পাসোয়ান, সম্রাট চৌধুরী। তেজস্বী যাদব এই তিনজনের মধ্যে দলের একচ্ছত্র নেতা। চিরাগ বাবা রামবিলাস পাসোয়ানের দলকে ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর কাকা পশুপতি পাসোয়ান একঝাঁক এম পি ও বিধায়ক নিয়ে নয়া দল গড়েছেন। বাধ্য হয়ে দুর্বল চিরাগ বিজেপির হাত আবার ধরেছেন। তবে পশুপতি পাসোয়ানকে বিজেপি ক্রমেই দুর্বল করে দিয়েছে। সুতরাং চিরাগের লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস) এখন মূল দল। পক্ষান্তরে বিজেপির সঙ্কট বেড়েছে ঠিক ভোটের আগে। বিজেপির বিহারের প্রধান মুখ সুশীল মোদি ক্যান্সোরে আক্রান্ত হয়ে রাজনীতি থেকে সরে গেলেন আচমকা। নতুন মুখ সম্রাট চৌধুরী এখন বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী। নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী হলেও তিনিই সরকারের চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছেন। কিন্তু তাঁর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা অথবা ক্যারিশমা এমন নয় যে, বিহারে এককভাবে অনেক আসনের নির্ণায়ক হবেন। সুতরাং বিজেপির একমাত্র ভরসা মোদি ফ্যাক্টর। সরাসরি মোদি বনাম তেজস্বীই এবার বিহার যুদ্ধের ভরকেন্দ্র।
নীতীশ কুমার কুর্মি-ভূমিহার ও কৈরী ভোটব্যাঙ্ককে একজোট করার চেষ্টা করেছিলেন। সেই জোট এখন শেষ। লালুপ্রসাদ যাদবের এম-ওয়াই অর্থাৎ মুসলিম-যাদব ভোটব্যাঙ্ক বরং আরও সংঘবদ্ধ হয়েছে। উচ্চবর্ণ এবং অতি পিছড়ে বর্গই প্রধান হাতিয়ার বিজেপির। যদিও বাংলার মতোই বিহারে নির্ণায়ক শক্তি হতে চলেছে একটিই ভোটশ্রেণি। মহিলা ভোটার। বিহারের প্রথম তিন দফার পর বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে, দেশজুড়ে কাজের জন্য চলে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরের মেয়েরা দলে দলে ভোট দিচ্ছে এবার। মহিলা ভোটারের ভোট প্রদান হার বেড়েছে তুলনামূলকভাবে। এই ভোট কোনদিকে যাচ্ছে?