কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
মুরারই বিধানসভাতে প্রায় ২ লক্ষ ৭৫ হাজার ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট। একসময় বাম জমানার ঘাঁটি ছিল এই এলাকা। এর মধ্যে কংগ্রেসের প্রভাবও ছিল বেশ ভালো মতোই। ২০০৯ সাল থেকেই সেই হাওয়া ঘুরতে থাকে। তবে অবশ্য ঠিক এখনকার মতো এতটা শক্ত ঘাঁটি ছিল না তৃণমূলের। এই যেমন, গত ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে প্রায় ৩ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন সিপিএম প্রার্থী। পরে ২০১৯ সালে শতাব্দী সবাইকে পিছনে ফেলে প্রায় ৬৯ হাজার ভোটে লিড দেন। এরপর ২০২১ সালের বিধানসভাতেও তৃণমূল প্রার্থী মোশারফ হুসেন ৯৮ হাজার ২৫৬ ভোটে জিতেন। ফলে, বছর যত বদলাচ্ছে ততই মুরারই হয়ে উঠেছে তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্ক। আর তা ফাটল ধরাতে বিরোধী দলগুলিও মাঠে কোমর বেঁধে নেমেছে। কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টন রশিদ, বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্য একের পর এক প্রচার কর্মসূচি করেছেন এই এলাকাতে। তবে অঙ্কের হিসাবে মুরারই ১ ব্লক শাসকদলের বাক্সে ভালো ফল দেবে বলে আশা করছেন দলের নেতারা। নিজেরাই বেঁধে নিয়েছেন তাঁদের টার্গেট। ৪০ হাজার লিড কেবলমাত্র এই ব্লক থেকেই দেওয়ার জন্য ঝাঁপিয়েছেন নেতারা। আর মুরারই ২ ব্লক থেকেও কমপক্ষে ৩০ হাজার লিড দেওয়ার ভাবনা নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷ এই ভোট আবহাওয়ার মাঝেই কথা হচ্ছিল মুরারই ১ ব্লকের সভাপতি বিনয়কুমার ঘোষের সঙ্গে। তিনি বলছিলেন, আমাদের জেতা নিয়ে সংশয় নেই, লিড কতটা বাড়াতে পারব সেটা নিয়ে লড়াই। ২০২১ বিধানসভাতে আমরা ৫২ হাজার লিড দিয়েছিলাম। এবারও সেই লক্ষ্যেই এগচ্ছি। ব্লকের আরেক নেতা তথা দলের রাজ্য সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদক মহম্মদ আলি খান বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট না পেয়ে যাঁরা অন্য দলে গিয়েছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই ফিরে এসেছেন। ৩০ থেকে ৩৫ জন নেতা আমাদের দলে ফের যোগ দিয়েছেন। যদি ৮০ শতাংশ ভোট পড়ে তো আমাদের আর ভাবার দরকার নেই। রাজ্য সরকারের এতগুলি যে প্রকল্পের মানুষ সুবিধা পাচ্ছেন, তার সুফল ভোটবাক্সে মিলবে। একই বক্তব্য বিধায়কেরও।
প্রার্থী শতাব্দীও হাসিমুখে বলছিলেন, আমার তহবিল থেকে গোটা এলাকাতে যা যা করা সম্ভব তা করেছি। আগামীতেও সুযোগ পেলে করব। মুরারইয়ের মানুষ আমাদের পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সেই সঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে এলাকায় লাগাতার যে কাজ করে চলেছেন, তার অ্যাডভান্টেজ পাচ্ছে দল। যদিও বিরোধী শিবিরের দাবি, আগের থেকে অনেক ভালো ফলাফল করবে তারা। মুরারইয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই তাদের দলকে বিপাকে ফেলবে। কংগ্রেস প্রার্থী মিল্টনের গলাতেও একই সুর শোনা যাচ্ছে।