একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নৈসরাই এলাকায় তৃণমূল ও সিপিএমের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘাত ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে চাপা উত্তেজনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তৃণমূল কর্মী ইমরান খান বলেন, নৈসরাই বাজার এলাকায় আমার ইমিটেশনের দোকান রয়েছে। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ দোকান বন্ধ করে একটি দোকানে মিষ্টি কিনতে ঢুকি। দোকানদারের সঙ্গে সামান্য কথাকাটি হয়। আশেপাশের কয়েকজন দোকানদার ছুটে আসে। এনিয়ে আমাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। ওই ঘটনার পর বাড়ি চলে আসি। তারপর সিপিএমের কর্মী-সমর্থকরা কিছুক্ষণ পর বাড়ি এসে আমাকে বেধড়ক মারে।
ব্যবসায়ী মুন্সি মহম্মদ হোসেন বলেন, ইমরান তৃণমূলের কর্মী। এলাকায় দাদাগিরি করে বেড়ায়। ওই রাতে আমার দোকানে এসে হুজ্জতি করছিল। তার জেরেই অশান্তি হয়েছে। ও বাঁশ দিয়ে আমার পায়ে মেরেছে। ভালো করে দাঁড়াতে পারছি না। ইমরানকে মারধরের ঘটনায় কারা জড়িত, সেটা নিয়ে কিছু বলতে পারব না।
সিপিএমের হুগলি জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূলকর্মী ইমরান খান নৈসরাই এলাকায় দাদাগিরি করে বেড়ায়। ওই রাতে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীকে মারধরের প্রতিবাদে অন্য ব্যবসায়ীরা ও এলাকার লোকজন প্রতিরোধ করেন। সিপিএমের কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে মারধরের যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোঘাটের পশ্চিমপাড়ায় গলায় ব্লেড চালিয়ে তৃণমূল কর্মী জনার্দন দত্তকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর জখম ওই তৃণমূল কর্মীকে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
স্থানীয় তৃণমূল নেতারা জানান, মিতালি বাগের প্রচারের জন্য এলাকায় তৃণমূলের পতাকা, ফেস্টুন লাগানো হচ্ছিল। জনার্দন সবার আগে হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। সেই সময় বিজেপি কর্মী সুভাষ সাঁতরা ও তাঁর দলবল জনার্দনবাবুকে মারধর করে। গলায় ব্লেড চালিয়ে দেয়। গোঘাট-২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সৌমেন দিগার বলেন, বিজেপির তিন কর্মী-সমর্থক জনার্দনকে একা পেয়ে মারধর করে। বিজেপি কর্মী সুভাষ সাঁতরা গলায় ব্লেড চালায়। থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। দোষীদের আমরা কঠোর শাস্তি চাইছি।
বিজেপি নেত্রী দোলন দাস বলেন, ওই ঘটনার সঙ্গে আমাদের দলের কোনও কর্মী- সমর্থক জড়িত নয়। তৃণমূল মিথ্যা অভিযোগ করে আমাদের কর্মীদের ফাঁসাতে চাইছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত করুক। তাহলেই আসল সত্য বেরিয়ে আসবে।
আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী বলেন, ভোটের সময় বিরোধীরা আমাদের কর্মী সমর্থকদের মারধর করছে। ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করছে। এই ঘটনায় আমার উদ্বিগ্ন। পুলিস প্রশাসন পরিস্থিতি সামলাতে কঠোর পদক্ষেপ নিক। জখম দলীয় কর্মীকে দেখতে হাসপাতালে তৃণমূল প্রার্থ মিতালি বাগ। নিজস্ব চিত্র