গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
ঘটনার দিন পুনের ওমকারেশ্বর ব্রিজে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিলেন মহারাষ্ট্র অন্ধশ্রদ্ধা নির্মূলন সমিতির প্রধান দাভোলকর (৬৭)। তিনি ছিলেন মহারাষ্ট্রে যুক্তিবাদী আন্দোলনের অন্যতম মুখ। হঠাৎ বাইকে চড়ে দু’জন দুষ্কৃতী দাভোলকরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। মৃত্যু হয় তাঁর। সিবিআই জানায়, দাভোলকরকে গুলি করেছিল শচীন আন্দুরে এবং শারদ কালাস্কর। কিন্তু, এই খুনের পিছনে মাস্টারমাইন্ড ছিলেন হিন্দু দক্ষিণপন্থী সংগঠন সনাতন সংস্থার অন্যতম নেতা চিকিৎসক তাওড়ে। এই সনাতন
সংস্থা ছিল দাভোলকরের সংস্থার কুসংস্কার বিরোধী অভিযানের ঘোরতর বিরোধী। চার্জশিট থেকে স্পষ্ট, আদর্শগত কারণেই খুন করা হয় দাভোলকরকে। এই হত্যাকাণ্ডের পর ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোলাপুরে গুলি করে মারা হয় কমিউনিস্ট নেতা গোবিন্দ পানসারেকে। সেই বছরই আগস্টে কোলাপুরে গুলিতে খুন হন বিশিষ্ট কন্নড় বুদ্ধিজীবী ও লেখক এম এম কালবুর্গি। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে বেঙ্গালুরুতে বাড়ির বাইরে খুন করা হয় সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশকে। তদন্তকারীদের সন্দেহ, এই চারটি মামলার সঙ্গেই দোষীদের নিবিড় যোগ রয়েছে। আদালত পর্যবেক্ষণ, বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ), সন্ত্রাস বিরোধী আইনের কিছু ধারা এই মামলায় প্রয়োগ করা হয়েছিল, কিন্তু সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী অফিসারের ব্যর্থতার কারণে এই অভিযোগগুলি প্রমাণিত হয়নি।
রায় ঘোষণার পর দাভোলকরের মেয়ে মুক্তা জানিয়েছেন, এই হত্যার মূল ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও অধরা। এই রায়ের বিরদ্ধে তাঁরা হাইকোর্টে আবেদন করবেন। অপরদিকে, দাভোলকরের ছেলে হামিদ বলেছেন, এই খুনের মূল ষড়যন্ত্রকারীরা ছাড়া পেয়ে গেলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে।