সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
পুলিস সূত্রের খবর, জেলার প্রতিটি থানায় যে তালিকা বিজেপির তরফ থেকে দেওয়া হয়েছে, তার অধিকাংশকেই ঘরে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত ঘরে না ফেরার তালিকায় ছিলেন খণ্ডঘোষের ১১ জন, জামালপুরে ১৪ জন, মাধবডিহির ১৯ জন, মেমারির ২৫ জন, বর্ধমান থানায় সংখ্যাটা আরও বেশি। বৃহস্পতিবারও তাঁদের মধ্যে অনেককে ঘরে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তবে বর্তমানে অধিকাংশ বাইরে কাজ করতে চলে গিয়েছেন। তাই এখন তাঁরা ফিরতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন।
ডিএসপি(হেড কোয়ার্টার) সৌভিক পাত্র বলেন, এই তালিকায় অনেকেই আছেন যাঁরা কাজের জন্য বাইরে চলে গিয়েছেন। বাইরের রাজ্যে সারা বছর কাজ করেন। তাঁদেরও এই তালিকায় ঢোকানো হয়েছে। বলা হচ্ছে, ওঁরা নাকি ঘরে ফিরতে পারছেন না। তালিকা ধরে আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেকের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের ঘরে ফিরে আসার জন্য অনুরোধ করেছি। অনেকেই জানাচ্ছেন, আমরা কাজে চলে এসেছি। তাই এখন ফিরতে পারব না।
যদিও বৃহস্পতিবার বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল আউশগ্রাম, গলসি ও ভাতার থানার প্রায় ৪৫০ জন মানুষকে ঘরে ফেরানোর দাবি করেছেন। তিনি বলেন, যতগুলো নাম আমার কাছে এসেছে, তা আমি দিয়েছি। জেলা থেকে পরবর্তীতে যে নাম দেওয়া হয়েছে, সেগুলি আগের তালিকায় ছিল না। প্রতিটি থানায় নতুন করে আবার তালিকা তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। সমস্ত কর্মীই ঘরে ফিরতে চাইছেন। বাইরে কাজে কেউ যাননি। ওঁরা ভয় পেয়ে পুলিসকে এরকম কথা বলছিলেন। দলের লোকজন ওঁদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন। এখন ওঁরা মনে সাহস পেয়েছেন। সকলেই ঘরে ফিরতে রাজি আছেন।
বিজেপির তরফে এই দাবি করা হলেও পুলিস আধিকারিকরা অবশ্য অন্য কথা বলছেন। বর্ধমান(সদর) দক্ষিণের এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান বলেন, যাঁরা বাড়িতে ফিরতে চান না, তাঁদেরও ঘরছাড়াদের নামের তালিকায় রাখা হচ্ছে। তালিকার প্রত্যেককে থানা থেকে ফোন করে ঘরে ফেরানোর চেষ্টা করা হলেও অনেকে বলছেন অন্যত্র কাজে চলে গিয়েছেন। এভাবে উল্টোপাল্টা নামের তালিকা দেওয়া হয়েছে। বাড়ি ফিরতে না চাইলেও তালিকায় ওঁদের নাম থেকেই যাচ্ছে।
ঘরছাড়ার তালিকায় নাম থাকা রায়নার এক বিজেপি কর্মী রাজীব বাগ বলেন, আমি চেন্নাইয়ে কাজে এসেছি। থানা থেকে ফোন এসেছিল। আপাতত ফিরব না বলে জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে বিজেপির ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। জেলা তৃণমূল সভাপতি স্বপন দেবনাথ বলেন, বিজেপি নোংরা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করছে। সম্পূর্ণ মিথ্যা একটি তালিকা তৈরি করে প্রশাসনের কাছে দেওয়া হয়েছে।