সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
আলিপুরদুয়ার জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা হাসপাতালে কোভিড সংক্ৰমিত শিশুদের চিকিৎসার জন্য আলাদা করে দু’টি ওয়ার্ডে বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই ব্লকের কোনও শিশু সংক্রামিত হলে তাকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা দেওয়া হবে।
কুমারগ্রামের বিএমওএইচ ডাঃ অতনু ভট্টাচার্য বলেন, কোভিড আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসা করার মতো পরিকাঠামো এখানে নেই। সংক্ৰামিত হয়ে কোনও শিশু এলে তাকে চিকিৎসার জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এ জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রেখেছি। গ্রামীণ এলাকায় আশাকর্মীরা কাজ করছেন। তাঁরা এ ব্যাপারে খোঁজখবর রাখছেন। কোথাও কোন শিশুর কোভিড উপসর্গ দেখা দিলে তাঁরা স্বাস্থ্যদপ্তরে রিপোর্ট করবেন। প্রয়োজনে ওই শিশুকে বাড়ি থেকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।
আলিপুরদুয়ার-২’র বিএমওএইচ ডাঃ তন্ময় দেবনাথ বলেন, করোনা আক্রান্ত মা, বাবার থেকে শিশুদের মধ্যে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়, সে দিকটিতেই প্রথম জোর দেওয়া হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে মাইকিং করে এ ব্যাপারে সচেতন করছি। ব্লক হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসার পরিকাঠামো নেই। জেলা হাসপাতালে ওরকম পরিকাঠামো গড়া হয়েছে।
তবে তুফানগঞ্জ মহকুমা স্বাস্থ্যদপ্তর এখন থেকেই যথাযথ ব্যবস্থা করে রেখেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সংক্রমিত শিশুকে নির্দিষ্ট বিভাগে ভর্তি রেখে চিকিৎসা করা হবে। তার পরিকাঠামো গড়া হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তর এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়ায় তুফানগঞ্জ মহকুমাবাসী কিছুটা স্বস্তিতে।
তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাঃ মৃণালকান্তি অধিকারী বলেন, আমাদের হাসপাতালে শিশু বিভাগ আগে থেকেই আলাদাভাবে আছে। সেখানে আটটি বেড রয়েছে। শিশু বিভাগেই কোভিড সংক্রামিত শিশুদের জন্য আলাদা করে পরিকাঠামো গড়া হয়েছে। অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মহকুমা হাসপাতালে পাঁচজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ আছেন। কোভিড সংক্রামিত শিশুদের চিকিৎসার জন্য তাঁদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছে।