Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মূল্যবৃদ্ধির যন্ত্রণা: আত্মনির্ভরতার নতুন থিম সং
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সেপ্টেম্বর ১, সাল ২০১৩। দিল্লিতে বিজেপির বাইক র‌্যালি। প্রতিবাদ চলছে পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে... ঠুঁটো কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। সেই বাইক মিছিল সেদিন রওনা দিয়েছিল দিল্লির তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের বাসভবনের উদ্দেশে। পথ রুখেছিল পুলিস। তাণ্ডব ঠেকাতে জলকামানও ব্যবহার করতে হয়েছিল সেদিন। গোটা দেশে সেদিন তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল এই ঘটনা। কারণ, প্রত্যেকটা টিভি চ্যানেল এই ‘প্রতিবাদে’র সম্প্রচার করেছিল। আর তার সঙ্গে চোখা চোখা ভাষায় ইউপিএ সরকারের তুলোধোনা। সাধারণ মানুষ খেপে উঠেছিল কেন্দ্রের উপর। এবং এই প্রতিবাদ যে একদিন শুরু হয়েই থেমে গিয়েছিল, তা নয়! বারেবারে... দেশের প্রায় প্রতিটা রাজ্যে কেন্দ্রবিরোধী এই আওয়াজ ছড়িয়ে দিতে পেরেছিল বিজেপি। মানুষ দেখেছিল তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বাংলা বন্‌ধ। বিজেপি বলেছিল, কংগ্রেস তেলের দামে ভর্তুকি ধীরে ধীরে তুলে দেবে বলছে? আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তেলের দাম ঠিক হবে? এ আবার হয় নাকি? সাধারণ মানুষ তাহলে বাঁচবে কীভাবে? কিন্তু এই প্রতিবাদ মানুষের কাছে পৌঁছেছিল কী করে? উপায় ছিল একটাই—মিডিয়া। তখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। পেট্রল তখন ছিল কলকাতায় ৭০ টাকা ৩৫ পয়সা, আর ডিজেল ৫২ টাকা ৯১ পয়সা। এখন আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেল পিছু অপরিশোধিত তেলের দাম ৭০ ডলার। কিন্তু পেট্রল প্রতি লিটার ৯৬ টাকা ৩৪ পয়সা। আর ডিজেল? ৯০ টাকা ১২ পয়সা। কিন্তু বিজেপির সেই জনদরদী মূর্তি আজ কোথায়? সংসদে নম্বরের নিরিখে বিরোধীদের মধ্যে প্রধান দলের নাম এখনও কংগ্রেস। কিন্তু সেই বিরোধী ‘হাইকমান্ডে’রও কি প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে? কংগ্রেস বলবে, আমরা প্রতিবাদ করছি। টিভি চ্যানেলগুলো দেখাচ্ছে না। আর মিডিয়া বলবে, কংগ্রেস তেমন কিছু করছে কই, যে আমরা দেখাব! এই জাঁতাকলে পড়ে আসলে প্রতিবাদের ভাষা হারিয়েছে দেশবাসী। দেশ নির্বাচিত করে জনপ্রতিনিধিদের। যে দলের বা জোটের জনপ্রতিনিধির সংখ্যা বেশি থাকে, তারা বসে শাসকের আসনে। বাকিরা বিরোধী। গণতন্ত্রের ভিত মজবুত করে বিরোধীরা। কারণ, মানুষের যন্ত্রণা, প্রতিবাদ তারা তুলে ধরে সরকারের কাছে। দিল্লির দরবারে। বিরোধীপক্ষ দুর্বল হওয়ার অর্থ, দেশবাসীর মুখে কুলুপ পড়ে যাওয়া। তাই তেলের দাম ১০০ টাকায় পৌঁছে যাওয়া সত্ত্বেও আমরা নির্বাক। মোদি সরকারের জনদরদী ভাবমূর্তির প্রত্যাশা বদলে গিয়েছে জনবিরোধিতায়। মেরুদণ্ড ভেঙে যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। গত এক বছরে... কোভিডকালে যা অভিশাপের মতো প্রতিটি ঘরে হানা দিয়েছে। আমরা এখন ভাবছি, কংগ্রেস জমানা কি এর থেকেও খারাপ ছিল? 
উত্তরটা ‘না’ ছাড়া আর কিছু হবে না। অন্তত তেলের দামের পরিসংখ্যান সেই কথাই বলছে। শুধু পেট্রল-ডিজেলের দাম মাপকাঠি কেন? কারণ, এই ক্ষেত্রটির প্রভাব সরাসরি পড়ে মূল্যবৃদ্ধিতে। তেলের দাম বাড়লে পরিবহণ খরচ বাড়বে। বৃদ্ধি পাবে বিভিন্ন ক্ষেত্রের উৎপাদন খরচও। সেই ধাক্কা খোলা বাজারে আসবেই। অর্থাৎ, বাড়বে নিত্য প্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম। ইতিমধ্যেই পণ্য পরিবহণ সেক্টর থেকে দাবি উঠছে, টাকা বাড়াতে হবে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। অর্থাৎ, সোজা অঙ্কে তার প্রভাব পড়বে জিনিসপত্রের দামে। এরপরও কি আমরা বলব, আচ্ছে দিন এসে গিয়েছে? সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি সম্প্রতি একটি সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই অনুযায়ী, ২০২০ সালের তুলনায় গত মে মাস পর্যন্ত দেশজুড়ে কাজ হারিয়েছেন ১ কোটির বেশি মানুষ। আর আয় কমেছে বা একই থেকেছে ৯৭ শতাংশ মানুষের। মানেটা সাফ, মাত্র ৩ শতাংশ মানুষ বলেছেন, এই পর্বে তাঁদের ইনকাম বেড়েছে। তার উপর সোমবার প্রকাশিত পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হিসেব সর্বকালীন রেকর্ড ছুঁয়েছে—১২.৯৪ শতাংশ। আকাশছোঁয়া দামের পাহাড়ে চাপা পড়ছে মানুষ। আর কেন্দ্রীয় সরকার দর কষছে... আগে রাজ্য তাদের ভ্যাট কমাক, তারপর আমরা তেলের এক্সাইজ ডিউটি বা সেস নিয়ে ভেবে দেখব।
কোন কোন ক্ষেত্র থেকে রাজস্ব আসে কেন্দ্রের? উপায় মূলত চারটি—কর্পোরেট ট্যাক্স, ব্যক্তিগত আয়কর, জিএসটি এবং তেলের উপর এক্সাইজ ডিউটি। হিসেব কষে দেখা যাচ্ছে, ২০১৮-১৯ সালে কেন্দ্রের রাজস্বের ১২ শতাংশ এসেছিল পেট্রল-ডিজেলের উপর চাপানো শুল্ক থেকে। ২০১৯-২০ সালে সেই পরিমাণটা ছিল ১৪ শতাংশ এবং ২০২০-২১ সালে উল্লেখযোগ্যভাবে ২০ শতাংশ।  গত এক বছরেই এক্সাইজ ডিউটি পেট্রলে ১৩ টাকা প্রতি লিটার এবং ডিজেলে ১৬ টাকা লিটার পিছু বাড়ানো হয়েছে। অথচ, ২০১৪ সালের মে মাসে ডিলারদের যে দামে কোম্পানিগুলি তেল বিক্রি করত, তা ২৪ শতাংশ কমেছে। কারণ এখন আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম সেই বছরের তুলনায় ব্যারেলে প্রায় ৩০ ডলার কম। তারপরও দাম কেন কমেনি? উত্তর সহজ, মোদি সরকারের এক্সাইজ ডিউটি বেড়েছে তিন গুণ। অর্থাৎ, এই মন্দার বাজারেও তেলের দাম থেকে মোদিজি ভাঁড়ার সমৃদ্ধ করছেন। গত অর্থবর্ষে গোটা দেশই কিন্তু থমকে গিয়েছিল লকডাউনে। গাড়ি কম চলেছে, উৎপাদন ক্ষেত্রও ধাক্কা খেয়েছে। তারপরও এই ‘শ্রীবৃদ্ধি’ নজর করার মতো। তার সুফল কি মানুষ পেয়েছে? পরিকাঠামো খাতে উন্নয়ন কতটা হয়েছে? করোনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে, গ্রামীণ স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আমরা আজও ধুঁকছি। শুধু পকেট না ভরে সাধারণের স্বার্থে এগিয়ে আসার, সাধারণের মধ্যে টাকার জোগান বাড়ানোর দায়িত্ব কি কেন্দ্রের নয়? তাও কেবল রাজ্যের? 
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেসামাল দেশ। কেন্দ্রীয় সরকার এবার আর লকডাউনের ঝুঁকি নেয়নি। কিন্তু বিধিনিষেধ চালু হয়েছে কার্যত সব রাজ্যে। যেখানে সংক্রমণের হার বেড়েছে, সেই রাজ্যই হেঁটেছে কঠোর অনুশাসনের পথে। অর্থাৎ, বাস-ট্রেন নেই। অফিস বন্ধ, কারখানার ঝাঁপ ফেলা। পেটের দায়ে বাড়ির বাইরে বেরতে হলে ভরসা ব্যক্তিগত যান। ফলে মাসের বাজেট বাড়ছে অনেকটা। তবে তেলের দাম বৃদ্ধি শুধু ঘর-গৃহস্থে নয়, প্রভাব ফেলছে সর্বত্র। যার মধ্যে প্রধান হল অটোমোবাইল সেক্টর। গাড়ি বিক্রি কমলে ধাক্কা শুধু শিল্পের বহরে নয়, কাজ হারাচ্ছেন বহু মানুষও। অথচ, এই সেক্টরেই অগুনতি কর্মসংস্থান হয়। এই আঁচ এড়াতে পারে না ক্ষুদ্র ও অতি ক্ষুদ্র শিল্প সংস্থাগুলিও। কারণ, গাড়িশিল্পের বহু ছোটখাট যন্ত্রাংশ সরবরাহ করে এমএসএমই। ‘আচ্ছে দিনে’ তালা পড়ছে এখানেও। পেট্রল-ডিজেলের মাত্রাতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধিতে ভেঙে পড়ছে কর্মসংস্থানের মেরুদণ্ড। 
তাও আমরা চুপ। প্রতিবাদ নেই। বিহারের আরারিয়া বা কিষানগঞ্জের অনেকেই এখন বেআইনিভাবে নেপাল থেকে পেট্রল-ডিজেল সংগ্রহ করছে। শুরু হয়েছে স্মাগলিং। ‘আত্মনির্ভর ভারতের’ নতুন কর্মসংস্থান। কেন? কারণ, নেপালে পেট্রলের দাম লিটার পিছু ৬৯ টাকা ৫০ পয়সা, আর ডিজেল ৫৮ টাকা ৮৮ পয়সা। কিছুটা সাশ্রয় হল, আবার ব্যবসাও। উপায়ই বা কী? কারণ জন্ম হয়েছে নতুন এক আশঙ্কার—চলতি অর্থবর্ষে মাথাপিছু আয় (পার ক্যাপিটা ইনকাম) কমতে চলেছে আরও ৯ শতাংশ। বাংলাদেশের পরিসংখ্যানও আমাদের থেকে ভালো। তাই চাল, ডাল, ভোজ্য তেল কিনতে হাত পুড়ছে আম জনতার। কেন্দ্রীয় সরকারি তথ্যই বলছে, এক বছরে ভোজ্য তেলের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। কেন? মোদি সরকারের যুক্তি অকাট্য, যে পরিমাণ তৈলবীজের উৎপাদন আমাদের দেশে হয়, তার তুলনায় চাহিদা অনেকটাই বেশি। ফলে আমদানি ছাড়া উপায় নেই। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, ভারত এখন মোট চাহিদার ৬০ শতাংশ তৈলবীজই আমদানি করে। ফল—চড়চড় করে দাম বাড়ছে। ‘আত্মনির্ভরতা’ গুলি মারো... কেন্দ্র বলছে, ব্যবস্থা নেওয়া উচিত রাজ্যের। আর সাধারণ মানুষের টান পড়ছে পকেটে। শুধু ভোজ্য তেলের হিসেবটা দেখা যাক নীচের টেবিলে:
ভোজ্য তেল    ২০২০    ২০২১
সূর্যমুখী    ১১০ টাকা    ১৭৫ টাকা
বনস্পতি    ৯০ টাকা    ১৪০ টাকা
সর্ষের তেল    ১১৫ টাকা    ১৭০ টাকা
সয়া তেল    ১০০ টাকা    ১৫৫ টাকা

এই সবই পাইকারি দাম। খোলা বাজারের দাম এর থেকে বেশি। যেমন কলকাতার বাজারে এখন সর্ষের তেলের দাম ১৯০ টাকার আশপাশে। 
কংগ্রেস চেয়েছিল রাজস্ব বাড়াতে। অর্থনীতি যাতে খানিকটা চাঙ্গা হয়, তাই ধীরে ধীরে তেলের থেকে ভর্তুকি তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার। এর প্রেক্ষিতে নতুন পরিকল্পনাও ছিল। মনমোহন সিং সরকার জানিয়েছিল, যে বাড়তি রাজস্ব এর থেকে আসবে, তা খরচ হবে পরিকাঠামো উন্নয়নে। সহ্য হয়নি বিজেপির। আর এখন সেই পথেই ছুটছে তারা। হাতে তরবারি নিয়ে। নাম তার সংস্কার। দিনান্তে মাথা কাটা যাচ্ছে মানুষের। 
২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস। বিজেপির সেই বাইক মিছিলে হেলমেট না পরার জন্য ট্রাফিক কেস হয়েছিল দিল্লির তৎকালীন বিজেপি সভাপতি বিনয় গোয়েল এবং গেরুয়া শিবিরের আর এক নেতা বিজেন্দর গুপ্তার। কিন্তু বিপুল হম্বিতম্বি এবং অশান্ত পরিস্থিতির জন্য ট্রাফিক সার্জেন্ট তাঁদের ১০০ টাকার স্পট ফাইন করতে পারেননি (যদিও সেটাই নিয়ম)। কেস পাঠানো হয়েছিল বাইকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর অনুযায়ী... বাড়িতে। পরে দেখা গেল, বাইকের মালিক তাঁরা ছিলেনই না! কাজেই ফাইন দিয়েছিলেন অন্য কেউ। বিজেপির ওই দুই নেতা নন। 
ধাপ্পা-ট্র্যাডিশন যে সরকারে এসেও বদলাল না!
15th  June, 2021
ভারতের প্রশাসনের স্থাপত্য
গোপালকৃষ্ণ গান্ধী

রাজনীতিক-সিভিল সার্ভেন্ট সম্পর্কের মজবুত ভিতটা নির্মাণ করে গঠন, বিশ্বাস ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা। সর্দার প্যাটেল এটা অনুধাবন করেছিলেন।
বিশদ

বিরুদ্ধ মত মানেই
দেশদ্রোহ নয়
সমৃদ্ধ দত্ত

 

১৮৭৬ থেকে ১৯০০ সালের মধ্যে অন্তত ১৮টি দুর্ভিক্ষ হয়েছে। প্রায় ২ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়। তা সত্ত্বেও মানুষের উপর ল্যান্ড ট্যাক্সের বোঝা না কমিয়ে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছিল ব্রিটিশ।
বিশদ

লাক্ষাদ্বীপে গেরুয়া অ্যাজেন্ডার আতঙ্ক!
মৃণালকান্তি দাস

টলিউড বা বলিউডের মতো প্রচুর ছবি তৈরি হয় না এখানে। নামমাত্র ছবিতেই বিনোদন খোঁজে এই প্রবাল দ্বীপ। তবুও সংবাদ শিরোনামে দ্বীপের এক অভিনেত্রী এবং পরিচালক আয়েশা সুলতানা।
বিশদ

17th  June, 2021
মুখরক্ষা করল উত্তরবঙ্গ,
পোড়াচ্ছে তাকেই!
হারাধন চৌধুরী

সম্ভাবনা ছিল দু’টো। মমতা ফিরবেন অথবা নতুন শক্তি হিসেবে উঠে আসবে বিজেপি। বিজেপি ফেল করেছে। ফিরেছেন মমতা। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হ্যাট্রিকের শক্তি এতটা প্রবল হবে, অনেকেই বোঝেনি।
বিশদ

16th  June, 2021
দায়িত্ব নিন, আলোচনা
করুন, প্ল্যান বানান
পি চিদম্বরম

টিকাকরণ নিয়ে যে বিশৃঙ্খলা হল, তা ইতিহাসে লেখা থাকবে। ৭ জুন, টেলিভিশন ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু’টো ভুল শুধরে নিয়েছেন। আমি মনে করি, এটাই তাঁর ভুল স্বীকার করে নেওয়ার কায়দা।
বিশদ

14th  June, 2021
মমতার নির্দেশে
অভিষেকের মাস্টারস্ট্রোক
হিমাংশু সিংহ

এতদিন বাংলার রাজনীতিতে মাস্টারস্ট্রোক কথাটা শুধু জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই সমার্থক ছিল ষোলোআনা। কিন্তু এখন তার আর এক দাবিদার উপস্থিত। পুত্রসম অভিষেক।
বিশদ

13th  June, 2021
সেলিব্রেটি থেকে সংগঠক,
রাজনীতির নতুন ধারা
তন্ময় মল্লিক

অনেকেই বলে থাকেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতদিন, তৃণমূল ততদিন। তারপর পার্টিটাই আর থাকবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার জবাবও দিয়েছেন। তিনি বহুবার বলেছেন, ‘যাঁরা ভাবছেন, আমি চলে গেলে দলটা উঠে যাবে, তাঁরা ভুল ভাবছেন। তৃণমূলের পরবর্তী প্রজন্ম তৈরি।’ এতদিন তিনি যে কথা মুখে বলতেন, এবার সেটা করে দেখাচ্ছেন।
বিশদ

12th  June, 2021
পুরুষ আধিপত্যের ভিড়ে
সফল শাসক দুই বাঙালি নারী
সমৃদ্ধ দত্ত

রাজনীতির হিসেব-নিকেশ বাদ দিয়ে নিছকই জাতিগত আকাঙক্ষার তাগিদে ২০২৪ সালের দিকে আমরা বাঙালিরা অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে লক্ষ করব এই জাতিটির জার্নিতে সত্যিই কি একটি নতুন ইতিহাস রচিত হবে? একদা একসঙ্গে থাকা দু’টি পাশাপাশি দেশের দুই প্রধানমন্ত্রীই কি বাঙালি নারী হবেন? বিশদ

11th  June, 2021
অবলুপ্তির আত্মঘাতী
পথে সিপিএম
মৃণালকান্তি দাস

গোটা দেশের লোক যখন মোদি-মমতার মরণপণ দ্বৈরথ দেখছে, সিপিএম তখন চোখ বন্ধ রেখে বলেছে, ও-সব ‘সেটিং’। আসলে দল তো একটাই, তার নাম বিজেমূল। ছায়ার সঙ্গে এই পুরো যুদ্ধটাই করা হয়েছে বিজেপি-তৃণমূল বাইনারি ভাঙার নাম করে। ফল যা হওয়ার তাই হয়েছে। বিজেমূল নামক এই বকচ্ছপ ধারণাটাকে জনতা স্রেফ ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে।
বিশদ

10th  June, 2021
দেশ নিয়ে মোদির ভাবার
এত সময়ই নেই
সন্দীপন বিশ্বাস

মোদির জনপ্রিয়তার পাড় ভাঙছে। অন্য পাড়ে ক্রমেই জেগে উঠছে মমতা নামের এক নতুন সবুজ, স্বপ্নের ভূমি। সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে চোখে চোখ রেখে পাঙ্গা লড়ার শক্তি তিনি আপন ক্ষমতাবলে অর্জন করেছেন। বিশদ

09th  June, 2021
হোক প্রোপাগান্ডা!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

হোক প্রোপাগান্ডা! মন্ত্র লিখতে হবে, কৃষকের জন্য এক। শ্রমিকের জন্য এক। শিক্ষকের জন্য আর এক। কমোন মন্ত্র অবশ্য একটাই—আচ্ছে দিন। ভ্যাকসিন নীতির ঠিকঠিকানা নেই, রাজ্য সরকার প্রাপ্য টাকা পাচ্ছে না, হাসপাতালে বেড নেই, পেট্রল-ডিজেল রোজ ঊর্ধ্বমুখী, জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া... আচ্ছে দিনের ভালো নমুনা বটে।
বিশদ

08th  June, 2021
হাঁড়ির হাল নিয়ে বৃহৎ,
ক্ষুদ্র দু’পক্ষই একমত
পি চিদম্বরম

সার্বিকভাবে পুরো জাতি এবং গড়পড়তা ভারতবাসী, ২০১৭-১৮ সালের যে পজিশন ছিল তারও পিছনে পড়ে গিয়েছে। অর্থনীতিটা ঘেঁটে গিয়েছে এবং তাতে ক্ষতেরও সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রথম কারণ—বিপর্যয় সৃষ্টিকারী নীতিগুলো (যেমন বিমুদ্রাকরণ, বিশৃঙ্খল জিএসটি)। দ্বিতীয় কারণ—কোভিড-১৯। আর তৃতীয় কারণ—অর্থনীতি সামলাতে সরকারের লেজেগোবরে অবস্থা। 
বিশদ

07th  June, 2021
একনজরে
রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলায় লাক্ষাদ্বীপের চিত্রপরিচালক আয়েষা সুলতানাকে এক সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তী জামিন দিল কেরল হাইকোর্ট। তবে, তাঁকে পুলিসি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ...

একেই বলে, ভাতে মারার চেষ্টা। সর্বশক্তি নিয়োগ করেও বঙ্গজয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে বিজেপির। তারপর থেকেই একের পর এক রাজ্যের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের প্রতিহিংসামূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে। ...

কাঁথির দেশপ্রাণ মহাবিদ্যালয়ে স্টেট এইডেড কলেজ টিচার নিয়োগ ও বিল্ডিং নির্মাণের ক্ষেত্রে ওঠা অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিশন গঠন করল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়। ...

‘ডাক্তারবাবু, অন্য ভ্যাকিসন পরে নেব। আগে গোগোলকে করোনা ভ্যাকসিনটা দিয়ে দিন।’ ডাক্তার চোখ তুলে গোগোলের দিকে তাকালেন। দেখলেন, চিওয়াওয়া প্রজাতির কুকুর কোলে সামনে দাঁড়িয়ে এক ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৩৬- রুশ সাহিত্যিক ম্যাক্সিম গোর্কির মৃত্যু
১৯৮৭- পরিচালক হীরেন বসুর মৃত্যু
২০০৫- ক্রিকেটার মুস্তাক আলির মৃত্যু
২০০৯- প্রখ্যাত সরোদ শিল্পী আলি আকবর খানের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৮৪ টাকা ৭৪.৫৫ টাকা
পাউন্ড ১০১.৩৯ টাকা ১০৪.৮৯ টাকা
ইউরো ৮৬.৮৩ টাকা ৮৯.৯৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৪০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৯০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭০,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭০,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৩ আষাঢ় ১৪২৮, শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১।  অষ্টমী ৩৯/১৯ রাত্রি ৮/৪০। উত্তরফল্গুনী নক্ষত্র ৪২/১৩ রাত্রি ৯/৩৭। সূর্যোদয় ৪/৫৬/৫, সূর্যাস্ত ৬/১৯/৩।  অমৃতযোগ দিবা ১২/৩ গতে ২/৪৪ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৬ মধ্যে পুনঃ ১২/৪১ গতে ২/৪৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৩১ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৪৯ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১০/১৭ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৭ গতে ১১/৩৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৫৮ গতে ১০/১৮ মধ্যে। 
৩ আষাঢ় ১৪২৮, শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১। অষ্টমী অপরাহ্ন ৪/২১। উত্তরফল্গুনী নক্ষত্র সন্ধ্যা ৬/৬। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২২। অমৃতযোগ দিবা ১২/৮ গতে ২/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ মধ্যে ও ১২/৪৫ গতে ২/৫৩ মধ্যে ও ৩/৩৪ গতে ৪/৫৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৪ গতে ৬/৪৭ মধ্যে ও ৯/২৮ গতে ১০/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/১৭ গতে ১১/৩৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৯/০ গতে ১০/১৯ মধ্যে। 
৭ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: ক্রোয়েশিয়া ০ : চেক রিপাবলিক ১ (হাফটাইম)

10:20:17 PM

ইউরো কাপ: ক্রোয়েশিয়া ০ : চেক রিপাবলিক ১ (৩৭ মিনিট)

10:08:10 PM

ইউরো কাপ: স্লোভাকিয়াকে ১-০ গোলে হারাল সুইডেন

08:22:52 PM

ইউরো কাপ: সুইডেন ১-স্লোভাকিয়া ০ (৭৭ মিনিট)

08:07:38 PM

বৃষ্টির জমা জলে মাছ ধরার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু যুবকের
রাস্তায় বৃষ্টির জমা জলে মাছ ধরাই কাল হল। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ...বিশদ

07:57:16 PM

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল: বৃষ্টির কারণে ম্যাচের প্রথম দিনের খেলা বাতিল ঘোষণা

07:21:48 PM