সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
‘সিআরপিসি’ লেখা বোর্ড দেখে প্রথমে সন্দেহ হয় লেকটাউনের বাঙ্গুর অ্যাভিনিউয়ে কর্তব্যরত পুলিস কর্মীদের। আটকানো হয় গাড়িটি। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় গাড়িচালক মোহিত শর্মাকে। এই চালক বাঙ্গুর অ্যাভিনিউয়ের ‘বি’ ব্লকের বাসিন্দা। তাঁর কাছ থেকে একটি আইডি কার্ড পায় পুলিস। তাতে লেখা, তিনি নাকি ‘ন্যাশনাল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো’র উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ‘ক্রাইম ইনফরমেশন অফিসার’। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও পদের কোনও অস্তিত্ব নেই। গাড়িতে নীল বাতি এবং ভুয়ো সরকারি দপ্তরের প্লেট লাগিয়ে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করে লেকটাউন থানার পুলিস। অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হলে বিচারক তিনদিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিস সূত্রে খবর, জেরায় মোহিত জানিয়েছেন, গাড়ির মালিক তাঁর দাদা নিশান্ত শর্মা। তিনি ভাঙা পরিত্যক্ত মালপত্র সরবরাহের ব্যবসা করেন। তবে তিনি বা তাঁর দাদা কেউই ভারত সরকারের কর্মচারী নন। বেআইনি জেনেও তিনি গাড়িতে নীল বাতি লাগিয়েছেন। প্রশ্ন উঠছে, সব জেনেও কেন ভুয়ো সরকারি দপ্তরের প্লেট ও নীল বাতি লাগানো হয়েছিল ওই গাড়িতে। তদন্তকারী আধিকারিকদের সন্দেহ, ক্রাইম অফিসারের নাম করে তোলাবাজি চালাত মোহিত। অপরাধ জগতের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে বিধাননগর পুলিস। ‘এনসিআইবি’ লেখা একটি আইডি কার্ড পাওয়া গিয়েছে মোহিতের কাছে। প্রসঙ্গত, গত ১১ ফেব্রুয়ারি একই ভুয়ো সংস্থার আইডি কার্ড সহ ইকোপার্ক থানার অন্তর্গত আকাঙ্ক্ষা মোড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাতজন তোলাবাজকে।