সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
হাওড়ায় জমা জল বহু বসতবাড়ি, এমনকী আবাসনের ভিতরেও ঢুকে পড়েছে। মধ্য হাওড়ার ড্রেনেজ ক্যানাল রোডের জমা জল ঢুকে যায় এইচ আই টি আবাসনের ভিতরে। বালি থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেন— চিত্রটা কমবেশি একই। টিকিয়াপাড়া রেল স্টেশন সংলগ্ন ইস্ট-ওয়েস্ট বাইপাস কোমরসমান জলে ডুবে ছিল এদিন সকালে। ওই রাস্তা দিয়ে একটি ফাঁকা অ্যাম্বুলেন্স যাওয়ার সময় ইঞ্জিনে জল ঢুকে সেটি বিকল হয়ে যায়। দেশপ্রাণ শাসমল রোড, বেলিলিয়াস রোড ও বেলিলিয়াস লেনে বাড়ি বাড়ি জল ঢুকে গিয়েছে। জগাছা, সাঁতরাগাছি সাবওয়ের নীচে প্রচুর জল জমে ছিল প্রায় সারাদিন। উত্তর হাওড়ার নস্করপাড়া রোড, হনুমান কুলি লাইন, জিটি রোড, সালকিয়া-ধর্মতলা রোড, ছোটেলাল মিশ্র রোডের নানা অংশ জলমগ্ন ছিল। হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অরূপ রায় বলেন, জমা জল সরানোর জন্য বিভিন্ন জায়গায় মোট ৪৫টি পোর্টেবল পাম্প কাজে লাগানো হয়েছে। পুরসভার পাম্পিং স্টেশনগুলি পুরোদমে কাজ করছে। এখন ভরা কোটালের ব্যাপার না থাকায় গঙ্গার লকগেটগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে বৃষ্টিও হচ্ছে। আমরা সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছি। কয়েকটি বড় নিকাশি থেকে পলি তোলার কাজও এর মধ্যেই করা হচ্ছে যাতে দ্রুত সুফল পাওয়া যায়।
এদিকে, হুগলিতে সবচেয়ে বেশি জল জমতে দেখা যায় ডানকুনি, চুঁচুড়া, ভদ্রেশ্বর পুর-এলাকায়। কেন বর্ষার আগে নিকাশিনালার সংস্কার করা হল না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন বহু নাগরিক। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, কিছু জায়গায় জল জমার সমস্যা রয়েছে। আমরা এজন্য অনেক অতিরিক্ত পাম্প ব্যবহার করছি। বৃষ্টি একটু ধরলেই পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে বলে জানান তিনি।