সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
এদিকে, তৃতীয় ঢেউ রুখতে স্বাস্থ্যদপ্তর আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল ও তপসিখাতা কোভিড হাসপাতালে পেডিয়েট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের (পিকু) জন্য আলাদা করে ২০টি বেড থাকছে। এছাড়াও জেলার ওই দু’টি হাসপাতালে নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (নিকু) খোলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, রাজ্যের নির্দেশে জেলায় কন্টেইনমেন্ট জোন চালু করা হচ্ছে। কন্টেইনমেন্ট জোনের এলাকা বাছাইয়ের জন্য যেসব এলাকায় সংক্রমণের হার বেশি, সেসব এলাকার সংক্রামিতদের নাম ও ঠিকানার তালিকা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হচ্ছে। সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের কথা মাথায় রেখে দু’টি হাসপাতালে পিকু’র জন্য ১০টি করে বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। আলাদা করে নিকু ইউনিট খোলা হচ্ছে। আলিপুরদুয়ার জেলায় করোনা সংক্রমণের গ্রাফ এখন অনেকটাই নিম্নমুখী। এ কারণে স্বাস্থ্যদপ্তরেও স্বস্তির আবহ। জেলায় প্রতিদিনের সংক্রমণের সংখ্যা এখন তিনঅঙ্কের নীচে নেমে এসেছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের দেওয়া তথ্য বলছে, জেলায় সোমবার ৫৬ জন, মঙ্গলবার ৪২ জন এবং বুধবার ৬৩ জনের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছিল। সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী হলেও করোনার ঢেউয়ের শৃঙ্খল ভাঙতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। তারজন্য রাজ্যের নির্দেশে জেলায় এবার কন্টেইনমেন্ট জোনের এলাকা বাছাইয়ের কাজ শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন। জেলায় সংক্রমণের হার বেশি থাকা এলাকাগুলিকে চিহ্নিত করে প্রশাসন সেই তালিকা দ্রুত ঘোষণা করবে। তারপর সেখানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ওসব এলাকায় সাধারণের যাতায়াতের ক্ষেত্রে ১৪ দিনের জন্য বিধিনিষেধ চালু হবে।
স্বাস্থ্যদপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, আজ শুক্রবার অথবা কাল, শনিবারের মধ্যে জেলায় কন্টেইনমেন্ট জোনের তালিকা ঘোষণা করতে পারে প্রশাসন। অন্যদিকে, সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ থেকে শিশু ও কম বয়সিদের রক্ষা করতে আগামী দিনে ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালেও পিকু ও নিকু ইউনিট চালু হতে পারে।