সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
জানা গিয়েছে, এদিন সকালেই শুকদেবের মৃতদেহ দেখতে পান তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মৃতের শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশীরা জানান, সকালেই চিৎকার শুনে গিয়ে দেখা যায় বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি গাছের গোড়ায় দেহটি পড়ে রয়েছে। মৃতের গলায় একটি ফাঁস দেওয়া দড়ি ছিল। গাছের উপরে একটি দড়ির অংশ দেখা যায়। স্থানীয়রাই খবর দিলে পুলিস ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে মৃতদেহ তুলতে গেলে স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, শুকদেবকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। ক্ষিপ্ত জনতা মৃতের শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুরও চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে র্যাফও নামানো হয়।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুকদেব ভিনরাজ্যে সোনার কাজ করতেন। লকডাউনের জন্য বর্তমানে বাড়িতেই ছিলেন। বছর সাতেক আগে তাঁর সঙ্গে ঘাটাল শহর লাগোয়া শ্রীপুরের মনসার বিয়ে হয়। তাঁদের বছর চারেকের এক পুত্রসন্তানও রয়েছে। বছর পাঁচেক তাঁদের বৈবাহিক সম্পর্ক ভালোই ছিল। তারপরই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। বেশ কয়েক মাস ধরে মনসা শ্বশুরবাড়ি যাননি। কিন্তু শুকদেব নিয়মিত শ্বশুরবাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। শ্বশুরবাড়ি এলে জামাইয়ের উপর নানাভাবে অত্যাচারও করা হতো বলে প্রতিবেশীদের একাংশের অভিযোগ।
মৃতের দাদা স্বপন পুইলা বলেন, জামাইষষ্ঠীতে ভাই শ্বশুরবাড়ি আসার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। এদিন সকালে ভাই আর বেঁচে নেই বলে খবর পাই। ওর শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই ভাইকে খুন করেছে।
এদিকে পুলিস প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, মনসা কয়েক মাস আগে শুকদেবের বাড়ি থেকে বাপের বাড়ি চলে আসেন। মাস চারেক আগে শুকদেবের বাড়িতে কিছু না জানিয়েই পাশের গ্রামের এক যুবককে মনসা ফের বিয়ে করেন। জামাইষষ্ঠীর দিন মনসা নতুন স্বামীকে নিয়ে বাপের বাড়িতে আসেন। বিকেলে শুকদেব শ্বশুরবাড়িতে এসে জানতে পারেন তাঁর স্ত্রী আবার বিয়ে করেছেন। নতুন স্বামীকে নিয়ে ষষ্ঠীতে বাপের বাড়ি এসেছেন। তখনই উভয়পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। এদিন সকালে শুকদেবের দেহ উদ্ধার হয়।
এদিন সকালে মনসা এবং তাঁর নতুন স্বামীকে বাপের বাড়িতে দেখা যায়নি। মনসার মা শ্যামলী দোলই বলেন, শুকদেব কখন আমাদের বাড়ি এসেছিল জানি না। আমিই এদিন সকালে মৃতদেহটি প্রথম দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ি। তবে ও আমার মেয়েকে মারধর করত বলে তার আবার অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়েছি। পুলিস জানিয়েছে, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত শুরু হবে।