সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় জটিলতা বৃদ্ধি। শরীর-স্বাস্থ্য দুর্বল হতে পারে। বিদ্যাশিক্ষায় বাধাবিঘ্ন। হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য আফশোস বাড়তে ... বিশদ
ধানঘরার বাসিন্দা বারিকুল শেখ, জাহিদুল শেখরা বলেন, বিগত পাঁচ বছরে প্রায় এক হাজার বিঘা জমি গঙ্গার গর্ভে চলে গিয়েছে। চার-পাঁচটি গ্রামের কয়েকশো বাড়িও তলিয়ে গিয়েছে। এবছর এখনও সেভাবে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়নি। তবুও গঙ্গার পাড় ভাঙতে শুরু করেছে। নদীতে জল বাড়লে কী হবে তা বোঝা যাচ্ছে না। এলাকার বাসিন্দা ফিরদৌসী বেওয়া বলেন, আমাদের চার বিঘা জমি তলিয়ে গিয়েছে। বাড়িও ভেঙে গিয়েছে। নদী থেকে কিছুটা দূরে ছোট ঘর তৈরি করেছিলাম। সেটাও মনে হচ্ছে তলিয়ে যাবে। আগে জমিতে চাষ করেই সংসার চলে যেত। এখন বিড়ি শ্রমিকের কাজ করতে হচ্ছে। দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা রোকেয়া বিবি বলেন, নদী থেকে কিছুটা দূরে বহু কষ্টে বাড়ি তৈরি করেছিলাম। তখন গঙ্গা অনেকটাই দূরে ছিল। এখন নদী অনেকটাই এগিয়ে এসেছে। বাড়ি তলিয়ে গেলে পথে আশ্রয় নেওয়া ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বালির বস্তা ফেলে ভাঙন রোধ করা করা কখনোই সম্ভব নয়। নদীর পাড়ে বস্তা ফেলার পর দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু জলের ঢেউয়ে বস্তা নদীতে চলে যাচ্ছে। এই কাজে বাসিন্দারা উপকৃত হবেন না। শুধু ঠিকাদারদের পকেট ভরবে। বস্তা বেঁধে তার দিয়ে আটকে রাখা হলে তাও কিছুদিন ভাঙন রোধ করা যেত। কিন্তু সুতোর দড়ি দ্রুত পচে যাচ্ছে। তাই সুতোর দড়ি বাঁধার কোনও যুক্তি থাকছে না। বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, বালির বস্তাও বৈজ্ঞানিকভাবে ফেলা হচ্ছে না। চর থেকে নৌকায় তুলে বস্তা নিয়ে আসা হচ্ছে। বস্তার মুখ ঠিকমতো বাঁধা হচ্ছে না। অনেক বস্তা ফেলার সঙ্গে সঙ্গেই সেই কারণে তলিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া বস্তা ফেলার কাজ অনেক আগেই শুরু করা উচিত ছিল। নদীতে জল কম থাকলে ভালোভাবে কাজ করা যায়। পাড়ে দাঁড়িয়ে কাজ দেখছিলেন সেচ দপ্তরের এক আধিকারিক। তিনি বলেন ৭৫ লক্ষ টাকার কাজের টেন্ডার করা হয়েছিল। এখন ৩৬ লক্ষ টাকার কাজ হচ্ছে। বালির বস্তা ফেলে বাসিন্দাদের সাময়িক স্বস্তি দেওয়া যাবে। সামশেরগঞ্জের বিডিও কৃষ্ণচন্দ্র মুণ্ডা বলেন, সেচদপ্তর ভাঙন রোধের জন্য কাজ করছে। ১২টি জায়গায় এই কাজ হচ্ছে। পরবর্তীকালে ভাঙন রোধের জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।