ছোট ও মাঝারি ব্যবসার প্রসার ও বিক্রয় বৃদ্ধি। অর্থাগম ক্রমশ বাড়বে। মানসিক অস্থিরতা। ... বিশদ
জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) ধীমান বাড়ই বলেন, বোয়ালমারিতে ১২০০ জনকে ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছে। চ্যাংমারিতে ত্রাণ শিবিরে রয়েছেন ২৮০ জন। নেওড়াবস্তিতে ৯ জন আটকে পড়েছিলেন। তাঁদের উদ্ধার করে ত্রাণ শিবিরে রাখা হয়েছে। বাগরাকোটের টটগাঁওয়ে ফ্লাড শেল্টারে রয়েছেন ১০ জন। গবাদিপশু রাখার জন্য আলাদা ক্যাম্প করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যশিবির চলছে। পানীয় জল দিচ্ছে পিএইচই।
পাহাড়ে প্রবল বৃষ্টির জেরে কালীঝোরা ড্যাম থেকে জল ছাড়া অব্যাহত। গজলডোবা ব্যারেজের গেট খোলা। তিস্তায় লাল সতর্কতা। জলপাইগুড়ির বোয়ালমারি নন্দনপুর, প্রসন্নপুর এলাকায় জলমগ্ন বহু বাড়ি। বিপর্যস্ত ক্রান্তির চ্যাংমারি এলাকা। চ্যাংমারি পঞ্চায়েতের নেওড়াবস্তি, সাহেববাড়ি, পশ্চিম দলাইগাঁও সহ একাধিক এলাকায় বেশকিছু বাড়ি জলের তলায়। সবমিলিয়ে জলপাইগুড়ি জেলায় তিস্তাপাড়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে সরানো হয়েছে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষকে। তিস্তাপাড়ে মোতায়েন রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। প্রশাসনের তরফে চলছে মাইকিং। শনিবার ক্রান্তির রাজাডাঙা পঞ্চায়েতে প্লাবিত এলাকা ঘুরে দেখেন রাজ্যের মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক। দুর্গতদের হাতে তুলে দেন শুকনো খাবার, পলিথিন।
মাল মহকুমার বাগরাকোট পঞ্চায়েতের টোটগাঁও বস্তিতে তিস্তার জল ঢুকেছে। আতঙ্কে কিছু মানুষ এদিন ত্রাণ শিবিরে উঠে এসেছেন। বাকিরা গবাদিপশু, ঘরের জিনিসপত্র ছেড়ে যেতে চাইছেন না। প্রশাসনের তরফে তাঁদের বোঝানো হচ্ছে। এদিন টাকিমারির বীরেনবস্তিতে গিয়ে দেখা যায়, একটি জায়গায় বাঁধের অনেকটা অংশ ভেঙে গিয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ভাঙা বাঁধ মেরামতির চেষ্টা চলছে। পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসে সেচদপ্তরের উত্তরপূর্বের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিফ ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক বলেন, বেশকিছু জায়গায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। কিছু জায়গায় জরুরি ভিত্তিতে বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে। শুক্রবার রাতে জলপাইগুড়ির বোয়ালমারি নন্দনপুর ও প্রসন্নপুরে তিস্তার জল ঢোকে। জলমগ্ন হয়ে পড়ে প্রায় ২৬২টি বাড়ি। রাতেই সেখানে যান জলপাইগুড়ি সদরের মহকুমা শাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী ও জলপাইগুড়ি সদরের বিডিও মিহির কর্মকার। দুর্গতদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হয়। শনিবার বিকেলে ময়নাগুড়ির ধর্মপুরের ১০৫ নম্বর বাঁধ ঘুরে দেখেন মহকুমা শাসক।