মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
রায়গঞ্জ ব্লকের কমলাবাড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের এই পিরোজপুরে ৮৫টি পরিবারের বাস। অধিকাংশ বাসিন্দাই কৃষিকাজ করেন। প্রত্যেকের বাড়িতেই রয়েছে গরু, ছাগল, মুরগি। দিন আনা দিন খাওয়া এই পরিবারগুলির এমনিতেই দৈনন্দিন জীবন সংগ্রামের অন্ত নেই। তার ওপর প্রতি বছর বর্ষা এলেই তাঁদের নতুন করে সমস্যায় পড়তে হয়। বৃষ্টি শুরু হওয়া মানেই আতঙ্কের শুরু। পরিবারগুলির কারও বাড়ির ভিতরে সিলিং, আবার অনেকে মাচা করে রেখেছেন। বর্ষা আসা মাত্রই প্রত্যেকটি পরিবার বাসনপত্র, জামাকাপড়, বইপত্র থেকে শুরু করে ব্যবহারের যাবতীয় সামগ্রী তুলে দেন সেই সমস্ত নিরাপদ জায়গায়। আর মনে মনে দুর্দিনের কথা ভাবতে থাকেন। পিরোজপুর গ্রামের মনুয়ারা বেগম বলেন, বর্ষা মানেই আমাদের জীবন বিপন্ন। এখন থেকেই আতঙ্ক নিয়ে দিন কাটছে। একটু বেশি বৃষ্টি হলেই কুলিকের জল গ্রামে ঢুকে যাবে। প্রতি বছর এখানে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে আমাদের বাঁধের উপর আশ্রয় নিতে হয়। গবাদি পশু, হাঁস, মুরগি নিয়ে বাঁধে চলে যাই। যতদিন গ্রামে জল থাকে, পশুদের সঙ্গে বাঁধেই থাকি।
সারা বছর কার্যত শুকিয়ে থাকা এবং নাব্যতা হারানো কুলিক বর্ষায় রূদ্রমূর্তি ধারণ করে। মূলত বাংলাদেশ এবং আশপাশের সমস্ত অঞ্চলের বর্ষার জল বয়ে নিয়ে আসে কুলিক। রায়গঞ্জ ব্লকের শেরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বামুয়া সেতুর কাছে অনেকটা অংশে বাঁধ নেই। মূলত সেখান দিয়েই হুহু করে জল ঢুকে প্লাবিত হয় প্রতি বছর। চেউটিয়া গ্রামেও কুলিকের বেশ কিছুটা অংশে বাঁধ নেই। যা নিয়ে বর্তমান পত্রিকায় খবরও প্রকাশিত হয়েছে। বামুয়ার পর চেউটিয়া দিয়েও গ্রামে জল ঢুকে যায়। তখনই বাঁধে আশ্রয় নিতে হয় গোটা গ্রামকে। গ্রামের আরএক বাসিন্দা নাজিমুল হক বলেন, প্রত্যেক বছর আমরা বন্যায় ভাসি। বাঁধে আশ্রয় নেওয়া ছাড়া আমাদের আর কোনও রাস্তা নেই। নিজস্ব চিত্র