শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
বিডিও বলেন, গরম পড়তেই ভূগর্ভস্থ জলের সমস্যা তৈরি হয় এখানে। তারউপর যদি পরিকল্পনা ছাড়াই অবৈধভাবে মাটির নীচের জল তোলা হয়, তাহলে তো সঙ্কট দেখা দেবে। এদিন গোপন সূত্রে জানতে পারি, খড়িয়া পঞ্চায়েত এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে দু’টি জায়গায় ব্যাপক হারে ভূগর্ভস্থ জল তোলা হচ্ছে। পাথর ধোয়ার ক্ষেত্রে, মাছের গাড়িতে ট্যাঙ্ক ভরার ক্ষেত্রে, গাড়ি ধোয়ার ক্ষেত্রে ওই জল ব্যবহার হচ্ছে। সাইন বোর্ড লাগানো হয়েছিল মাছের গাড়ি, অন্যান্য গাড়ির জন্য জল বিক্রি করা হয় বলে। এরপরই এদিন ব্লকের কয়েকজন কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে সরেজমিনে অভিযানে বের হই। আমি নিজে এলাকায় এসে তাজ্জব বনে গিয়েছি। দেখি, অত্যন্ত শক্তিশালী মোটর লাগিয়ে যথেচ্ছভাবে ভূগর্ভস্থ জল তোলা হচ্ছে। আর এই কারবারের কোনও সরকারি অনুমতি বা অনুমোদন নেই। কোনও নথি ওরা দেখাতে পারেনি। ওদের বলেছি, সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে ভূগর্ভস্থ জল তোলার অনুমতি নিতে হবে। তা না হলে এই কারবার করা যাবে না। মেশিনপত্র খুলে নিতে বলা হয়েছে। এরপর এই কারবারিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে খড়িয়া পঞ্চায়েত এলাকার জল কারবারি মনোরঞ্জন দাস, সুবল দাস বলেন, আমরা জানতাম না এই কারবার করতে সরকারি অনুমতি লাগে। কিন্তু ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা যেহেতু বলে গিয়েছেন তাই আমরা মেশিনপত্র, পাম্প সেট খুলে নিচ্ছি।
খড়িয়া পঞ্চায়েতের অধীনে জল সঙ্কট নিয়ে ইতিমধ্যে দু’দফায় দু’টি জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে সাধারণ মানুষ। সেখানে এ ধরনের জলের কারবার রীতিমতো বিপদসঙ্কেত। যদিও খড়িয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মনোজ ঘোষ বলেন, আমাদের কাছে জলের কারবার নিয়ে আগে থেকে কোনও অভিযোগ ছিল না। কিন্তু এদিন বিডিওর পদক্ষেপের পর আমরাও এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেব, যাতে ভূগর্ভস্থ জল তোলার ক্ষেত্রে মানুষ সরকারি নিয়ম মেনে কাজ করে।