ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
মঙ্গলবার চাঁচল বিধানসভার আটটি পঞ্চায়েতের গ্রামীণ এলাকায় রোড শোয়ের পাশাপাশি হেঁটে জনসংযোগ ও প্রচার সারেন তিনি। চাঁচল হাটখোলা থেকে এদিন সকালে প্রচার শুরু হয়। ভগবানপুর, খরবা, মতিহারপুর ও কলিগ্রাম সহ বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় চাঁদিফাটা রোদে প্রচার চালিয়ে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন চাঁচলের প্রাক্তন বিধায়ক আসিফ মেহবুব ও ব্লক কংগ্রেস কমিটির সভাপতি আঞ্জারুল হক প্রমুখ।
আগে চাঁচল এলাকা কংগ্রেসের দুর্গ বলে পরিচিত ছিল। চাঁচল বিধানসভা রায়গঞ্জ লোকসভায় থাকাকালীন সেখানে কংগ্রেসের সাংসদ ছিলেন গোলাম ইয়াজদানি ও প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। চাঁচল বিধানসভা কেন্দ্রে (খরবা) সাতবার কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন মহবুবল হক। তাঁর মৃত্যুর পর তিনবারের বিধায়ক আসিফ মেহবুব। রাজ্যে পালাবদলের পরও দু’বার বিধায়ক থেকেছেন তিনি। তবে গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী নীহাররঞ্জন ঘোষের কাছে বিপুল ভোটে হেরে যান আসিফ।
কংগ্রেসের দাবি, তাদের আমলেই চাঁচলে উন্নয়ন হয়েছে। বিজেপি ও তৃণমূল কাজ করতে পারেনি। মালদহ ও দুই দিনাজপুরের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করার জন্য উদ্যোগ নেন তৎকালীন সাংসদ গোলাম ইয়াজদানি। মহানন্দা নদীর উপর মাধবপুরে পাকা সেতু নির্মিত হয়। চাঁচলে স্টেডিয়াম নির্মাণের উদ্যোগ নেন প্রয়াত সাংসদ প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি। একাধিক সরকারি স্কুল ভবন নির্মিত হয়। কেন্দ্রীয় জলসম্পদ ও নদী উন্নয়ন মন্ত্রী থাকাকালীন গনিখান কুশিদা থেকে চাতর পযর্ন্ত ৪৭ কিমি বাঁধরোড নির্মাণে উদ্যোগী হন। এতে মহানন্দা নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পায় লক্ষাধিক পরিবার।
কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম বলেন, যা কাজ হয়েছে কংগ্রেসই করেছে। দুই ফুল শুধু মানুষকে ধোঁকা দিয়ে ভোট নিয়েছে। মোস্তাকের আশা, এবার জনগণ আমাদের কাজ করার সুযোগ করে দেবেন।
মালদহ জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিরা এত উন্নয়ন করে থাকলে কি এভাবে দুর্গহারা হতে হতো? আব্দুরের সংযোজন,আমাদের আমলেই চাঁচলে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল হয়েছে। কৃষক বাজার, নতুন বাস ডিপো, একাধিক সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মিত হয়েছে। বলা শুরু করলে উন্নয়নের তালিকা শেষ হবে না। কংগ্রেসের বক্তব্যকে পাত্তা দিতে নারাজ বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মুও।
চাঁচলে প্রচারে মালদহ উত্তরের কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম। - নিজস্ব চিত্র।