ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে লেবার রুম সহ মোট চারটি ওয়ার্ডে জিডিএ কর্মীদের মধ্যে রোটেশন চালু করার সিদ্ধান্ত হয়। তিনমাস অন্তর সংশ্লিষ্ট চারটি বিভাগের কর্মীদের ওয়ার্ড পরিবর্তন করা হবে। এই সিদ্ধান্ত আগামী শনিবার থেকে কার্যকর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, বৃহস্পতিবার হাসপাতালের একটি কর্মী ইউনিয়নের তরফে এ নিয়ে বিরোধিতা করা হয়। হাসপাতাল সুপারকে জিডিএ কর্মীদের একটি বড় অংশ এই রোটেশন পদ্ধতি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। ঠিকাকর্মীদের আরএকটি অংশ এই রোটেশনকে সমর্থন জানায়। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা ও সামান্য হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
হাসপাতাল সুপার সঞ্জয় মল্লিক বলেন, রোগী কল্যাণ সমিতিতে লেবার রুমে প্রসূতির পরিবারের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে দিনের পর দিন টাকা চাওয়ার অভিযোগ এসেছিল। ওই বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছিল এক বিভাগে কাউকেই দীর্ঘদিন কাজ করানো হবে না। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সবাইকে বিভিন্ন বিভাগে কাজ করানো হবে। সেইমতো আমরা উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এদিন কর্মীদের একটি অংশ এর প্রতিবাদে নির্বাচনী আচরণ বিধির মধ্যে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর না করার দাবি জানায়।
হাসপাতাল সুপার আরও বলেন, বছরের পর বছর একই কর্মী এক জায়গায় কাজ করতে পারেন না। সরকারি কর্মচারীদেরও বদলি করা হয়। তাহলে এক্ষেত্রে কেন এই রোটেশন নিয়ে কর্মীদের একটি অংশ বিরোধিতা করছে বুঝতে পারছি না।
সবথেকে আশ্চর্যের ঘটনা ওই ঠিকাকর্মীরা হাসপাতাল সুপারের অধীনে নেই। এঁরা ঠিকাদার সংস্থার অধীনে নিযুক্ত। তাঁদের রোটেশন নিয়ে হাসপাতালের কর্মীদের একটি অংশ বিরোধিতা করছে। হাসপাতাল সুপার বলেন, আমি রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে বিষয়টি তুলব। বিষয়টি ঠিকাদার সংস্থার দেখার কথা। তারাও হাত তুলে দিয়েছে। তাই হাসপাতাল তথা রাজ্য সরকারের সুনামের কথা ভেবে এভাবে দিনের পর দিন প্রসূতিদের পরিবারের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ মেনে নেওয়া যায় না।