ঘরে বা পথেঘাটে পড়ে গিয়ে শরীরে বড় আঘাত পেতে পারেন। আমদানি রপ্তানির ব্যবসা ভালো হবে। ... বিশদ
২০২২ সালে এই ব্লকে ডেঙ্গু ব্যাপক আকার ধারণ করেছিল। ওই বছর ব্লকে ৫০০ জনের বেশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। যদিও পরের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ২০২২ সালের থেকে প্রায় অর্ধেক হয়। ওই বছর আড়াইশো জন আক্রান্ত হয় ডেঙ্গুতে। যদিও মাটিগাড়া ব্লক স্বাস্থ্যদপ্তর চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দুই অঙ্কের মধ্যে আটকে রাখার টার্গেট নিয়েছে।
মাটিগাড়া ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ অরিন্দম দে বলেন, ডেঙ্গু রুখতে স্বাস্থ্যদপ্তর বধ্যপরিকর। তবে মানুষকেও সচেতন হতে হবে। মানুষের অসচেতনতায় এই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানান বিএমওএইচ। তিনি বলেন, কিছুটা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে আমাদের। তবে কারও জ্বর হলে প্রথমেই রক্ত পরীক্ষা করা দরকার। জেলা হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে এই পরীক্ষা করা হয়। ডেঙ্গু ঠেকাতে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি ও স্বাস্থ্যদপ্তর একযোগে কাজ করছে। প্রথমেই রোগ চিহ্নিত হওয়ায় আক্রান্তরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন।
দার্জিলিং জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্বর হলেই প্রথম চারদিনের মধ্যে এনএস-১ অ্যান্টিজেন টেস্টের পরামর্শ দিচ্ছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এই টেস্টে একদিকে যেমন আক্রান্ত হওয়ার শুরুতেই প্রথম ধাপে ডেঙ্গু সনাক্ত করা সম্ভব। অন্যদিকে, সতর্কতা অবলম্বন করে গণসংক্রমণ আটকানো যায়। ডেঙ্গু জ্বরের দ্বিতীয় ধাপ পঞ্চম দিন থেকে। জ্বরের প্রথম চারদিন এনএস-১ পরীক্ষা না করা হলে পঞ্চম দিন থেকে নবম দিনের মধ্যে টিজিএম অ্যালাইজা পরীক্ষা করতে হবে। জ্বরের তৃতীয় ধাপ শুরু দশম দিন থেকে। সেসময় আইজিজি অ্যালাইজা পরীক্ষা করে ডেঙ্গু সনাক্ত করা হয়। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, বছরের এপ্রিল মাস থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত মাশাবাহিত এই রোগের প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। সুতরাং ওই সময় মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। মাটিগাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি ভোলা ঘোষ বলেন, গ্রাম পঞ্চায়েতস্তরে প্রতিটি এলাকায় ভিসিটি এবং ভিএসটি দলের সদস্যরা কাজ করছেন। পঞ্চায়েত সমিতি এবং ব্লক প্রশাসন মিলে ডেঙ্গু রুখতে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। খোলাপাত্রের জমা জল নিয়মিত পরিষ্কার করা হচ্ছে। সমস্ত এলাকায় ব্লিচিং পাউডার ছড়ানো হচ্ছে। বেশকিছু চা বাগান এলাকায় মশারি প্রদান করা হবে। ডেঙ্গু ঠেকাতে আমরা প্রস্তুত আছি।